ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৪ থেকে ৬ ভাগ ছাড়

বৈশাখের বেচাকেনায় ‘লাড’ কাপড়, উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

বৈশাখের বেচাকেনায় ‘লাড’ কাপড়, উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমে উঠেছে বৈশাখী মূল্যহ্রাসের কেনাকাটা। বিশেষ করে যে সকল দোকানে বছর শেষ উপলক্ষে মূল্যহ্রাস করা হয়েছে, সে সব দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়। কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। আর খরিদ্দারদের মধ্যে নি¤œবিত্ত মানুষের ভিড় সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে চলছে এ অবস্থা। আর এ ভিড় শুধু শহরেই নয়, গাঁয়ের হাটবাজারেও চলছে একই অবস্থা। ব্যবসায়ী-দোকানদার বিশেষ করে বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান মালিক জানিয়েছেন, সারা বছর বেচাকেনা শেষে দোকানগুলোতে পুরনো মালের স্তূপ জমে। এরমধ্যে শাড়ি ও থান কাপড় বেশি। যেগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ‘লাড’ মাল বলা হয়। শাড়ির রং উঠে গেছে অথবা ভাঁজ কিংবা অন্য কোন কারণে একটু ছিঁড়ে গেছে। এমন কাপড় বছর শেষে শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত মূল্যহ্রাসে চৈত্র মাসে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে দিয়ে ব্যবসায়ীরা যতটা সম্ভব লোকসান পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। গার্মেন্টস ও থান কাপড়ের দোকানগুলোতেও একই ধরণের থ্রিপিস-টুপিস থেকে শুরু করে শার্ট-প্যান্ট, মোজা, জাঙ্গিয়াÑ সবই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এসব কাপড় কিনতে বিত্তহীনরা বেশি ভিড় জমায়। উলানিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী অরুণ নাথ জানান, তার দোকানে ভিড় জমানোদের মধ্যে বিত্তহীন এবং নি¤œবিত্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অবস্থাপন্নরাও মাঝে মধ্যে আসে। বিশেষ করে যারা নতুন বছর উপলক্ষে কাপড় বিলি করে। গলাচিপা শহরের একজন ব্যবসায়ী জানান, তার দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার কাপড় জমেছে। যা বিক্রি করে বড় জোর লাখ তিন-চার টাকা পেতে পারেন। যদিও এ নিয়ে তার দুঃখ নেই। পুরনো কাপড় কম দাম হলেও বিক্রি করতে পারছেন, এতেই স্বস্তি। কাপড় কিনে দোকান থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আছিয়া বেগম জানান, নতুন ভাল কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। অথচ বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে স্বামী-সন্তানদের ছেঁড়াফাড়া রঙচটা হলেও নতুন কাপড় দিতে পারছেন, এতেই তিনি খুশি।
×