ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে ... নানা আয়োজন বর্ষবরণের

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১১ এপ্রিল ২০১৫

বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে ... নানা আয়োজন বর্ষবরণের

সমুদ্র হক ॥ ‘বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে সুরে সুরে সুর মেলাতে ... কবিগুরুর গানের রেশ ধরেই বর্ষবরণের কত যে আয়োজনের পালা শুরু হয়েছে এবার। ইলিশের দাম তো এখনই গগনচুম্বি। পান্তা ইলিশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙালীর হৃদয়ে বইছে বসন্ত শেষের উড়াল মনের গগনস্পর্শী খেয়ালি কত যে কথা ...। নববর্ষ দুয়ারে টোকা দিয়েছে। চৈত্রের হাওয়ার তরঙ্গে দূর থেকে ভেসে আসছে ‘এসো হে বৈশাখ এসো’ ... সুরের মৃদু ধ্বনী; যা ক্রমেই ভরাট শব্দের ঢেউয়ে পরিণত হচ্ছে। শব্দ যতই নিকটে আসছে মানুষের অনুভূতির জায়গাটিও পূর্ণতা পাচ্ছে। নববর্ষের সুর মেলাতে ধনী গরিবের কোন ভেদাভেদ নেই। ছেলে বুড়ো শিশু সকলেই এক কাতারে। নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ নানা বর্ণের নকশার বাহারি পাঞ্জাবি ও ফতুয়া। শোরুমগুলোতে ছেলে মেয়েদের নববর্ষ উদযাপনের কত যে বাহারি পোশাক এসেছে তার ইয়ত্তা নেই। শাড়িও এসেছে অনেক নকশার। কেনাকাটার জন্য শোরুমগুলোতে প্রবেশ করছে উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ নিউমার্কেট ও হকার্স মার্কেটেই যাচ্ছে। এর পাশাশাশি শহরের প্রধান সড়কের ধারে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী নববর্ষের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে। বগুড়া শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের ধারে নিউমার্কেটের কাছেই শিশু কিশোরদের নববর্ষের মজার পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এইসব পোশাকে শিশু কিশোর মনের উপযোগী নকশা করা আছে বাঙালীর ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। পোশাকে স্থান পেয়েছে বাউলের একতারা, নৌকার মাঝিমাল্লা, নদী ও প্রকৃতি, মাছ ধরার জেলে কলসি কাঁখে গাঁয়ের বধূ, ঢেঁকি পাড়সহ কত কি... ! তার সঙ্গে লেখা শুভনববর্ষ ও এসো হে বৈশাখ। এমন নকশার পোশাকের দাম প্রতিটি দেড় শ’ টাকা থেকে দুই শ’ টাকা। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। ক্রেতাদের কথা বৈশাখ বলে কথা। বিক্রেতারাও মহাখুশি। গ্রামেও বৈশাখ বরণের ধুম পড়েছে। কিষান বধূ বিকেলের সোনারোদে নিত্যদিন উঠানে মাটি ফেলে ঠিকঠাক করে অপেক্ষায় আছে চৈত্রসংক্রান্তির দিনে লেপে ঝকঝকে করবে। নববর্ষের প্রথম সূর্যোদয়ের আভা পড়বে নতুন উঠানে। এই মাটিতেই পা ফেলে নতুন যাত্রা শুরু হবে নতুন জীবনের অনেক আশার ধারায় ...। এমন সুর মেলানোর পালা শুরু হয়েছে পথে মাঠে ঘাটে ...।
×