ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ নেতাকর্মী পুলিশ মুখোমুখি

কলাপাড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে লঙ্কাকা- আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১১ এপ্রিল ২০১৫

কলাপাড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে লঙ্কাকা- আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১০ এপ্রিল ॥ কুয়াকাটা পৌর যুবলীগ সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর সাগর মোল্লাকে মাইকিং করে এলাকা ছাড়তে হুমকির ঘটনায় পর্যটন এলাকার সাধারণ মানুষসহ পর্যটকের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় যুবলীগ নেতাকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট, বিরাজ করে আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ ঘটনায় সচেতন মহল হতবাক বনে যান। খাস জমিতে স্থাপিত দোকানের বর্ধিত কাজের মতো তুচ্ছ ঘটনায় এ লঙ্কাকা-ের ঘটনায় মানুষ নানা প্রশ্ন খুঁজে বেড়াচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন জেলা পরিষদ বাংলোর উল্টোদিকে বেড়িবাঁধের বাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় সাগর মোল্লার তত্ত্বাবধানে থাকা মাহাবুব টেলিকম নামের দোকানের পেছনে বর্ধিত করার কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর পেয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ওই কাজ বন্ধ রাখে। বিকেলে ৩০-৩২ শ্রমিক নিয়ে ফের কাজ শুরু করেন সাগর মোল্লা। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ ফের সেখানে যায়। এ সময় সাগর মোল্লা ট্যুরিস্ট পুলিশকে উদ্দেশ করে ব্যাপক গাল-মন্দ করে। বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলা প্রশাসককে অবহিত করে। জেলা প্রশাসক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেন। রাত ৯টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মীর ফসিউর রহমান ও ওসি মোঃ শাহজাহান দেওয়ান মনিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হ্যান্ড মাইকযোগে প্রথমে সাগর মোল্লাকে তাদের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানান। এ সময় তাকে দেখে নেওয়ার এবং পুলিশী কাজে বাধাদানের অভিযোগ করেন। এমনকি প্রকাশ্যে মাইকে এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেয় ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর শাহজাহান দেওয়ান মনির। এ সময় গোটা এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন। তার অভিযোগ, সাগর মোল্লা তিনটি ঘর তুলে দিয়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়েছে, এমন খবর জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। এ সব অস্বীকার করে সাগর মোল্লা জানান, আমার একটি ঘর আগে থেকেই সেখানে ছিল। কলাপড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপক কুমার রায় বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কুয়াকাটায় সরকারী জমিতে ঘর তোলায় ব্যবস্থা নিতে এসেছেন।
×