ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায়

খুলে দেয়ার ৬ দিন পরও নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়েনি

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১০ এপ্রিল ২০১৫

খুলে দেয়ার ৬ দিন পরও নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়েনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার ৬ দিন পরও সেখানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়েনি। সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন ছাড়া উল্লেখ করার মতো কোন নেতা এখন পর্যন্ত যাননি। আর সিনিয়র নেতারা না যাওয়ায় সাধারণ নেতাকর্মীরাও যাচ্ছেন না। এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে প্রবেশকারীদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ দিনের মধ্যেই পুরো কার্যালয়টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কার্যালয়ের অধিকতর নিরাপত্তা ও নেতাদের সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনাসহ বিভিন্ন কারণে ১৫ দিনের মধ্যেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলার কয়েক দিন পার হলেও এখনও নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দূর হয়নি। তাই খুব বেশি নেতাকর্মী এখন আসছে না। জনি বলেন, গত তিন মাস ধরে আমাদের অফিসের সামনে যেভাবে জলকামান, সাঁজোয়া যান, প্রিজনভ্যান ও সাদা মাইক্রোসহ বিপুল পরিমাণ পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল এখনও তেমনই রয়েছে। নেতাকর্মীরা দূর থেকে এ চিত্র দেখে মনে করে ওখানে গেলে আগের মতোই পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। তাই অনেকেই দূর থেকে ফিরে যান। তাই সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, নিরাপত্তার প্রয়োজনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাখুন। কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কার্যালয়ের সামনে না রেখে দূরে রাখুন। আমাদের স্বাভাবিকভাবে দলীয় কর্মকা- পরিচালনা করতে দিন। দীর্ঘ ৯২ দিন পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল থেকে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি খুলে দেয়া হয়। ৩ মাস পর কার্যালয়টি খোলার পর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরব হবে এমনটিই অভিজ্ঞমহল মনে করেছিল। কিন্তু সে রকম কিছুই হয়নি। প্রথম দিন হাতে গোনা যে ক’জন নেতাকর্মী কার্যালয়ে প্রবেশ করেছিলেন তার বাইরে খুব বেশি নেতাকর্মী সেখানে প্রবেশ করেনি। ৫ এপ্রিল আদালত থেকে জামিন নিয়ে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বাসায় ফিরে যাবার পথে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কথা থাকলেও তিনি সেদিন সেখানে যাননি। এমনকি গত ৬ দিনে একজন সিনিয়র নেতাকেও তিনি সেখানে যেতে বলেননি। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রেফতার আতঙ্ক থাকায় অনেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে চাচ্ছেন না। বুধবার থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে দলের পক্ষ থেকে ভেতরে প্রবেশকারী নেতাকর্মীদের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যালয়ের গেটে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে ওই কার্যালয়ের স্টাফ শামীম এ দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দিন ২৬ নেতাকর্মী খাতায় নাম তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪১ নেতাকর্মী সেখানে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের একজন স্টাফ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আমাদের কাছে তা ভালই মনে হচ্ছে। কার্যালয়ে যাদের নিয়মিত আসার কথা তাদের মধ্যে সবাই আসেন না। তবে অহেতুক অনেক মানুষ কার্যালয়ে আসে।
×