ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৯ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

পত্রিকা থেকে জানতে পারলাম দ্রুত শিক্ষা খাতে অন্তত ৮৩ হাজার জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আট হাজার জনবল সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হবে। বাকি ৭৫ হাজার নিয়োগ পাবেন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বেসরকারী এই ৭৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীই আবার এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। পাবেন সরকার থেকে বেতন-ভাতা। সে হিসাবে সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে এই ৮৩ হাজার জনবলই সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাবেন। এটি শিক্ষিত বেকারদের জন্য এবং একইসঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের সুসংবাদ। দেশের ২৭৯টি সরকারী কলেজে বর্তমানে চার হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। স্পেশাল বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)-এর মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ৩১৭টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও দেড় হাজার শিক্ষকের পদ এখনও শূন্য। এ ছাড়াও সারাদেশের সব সরকারী স্কুল-কলেজের কর্মচারী পদ বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে তিন হাজারের কিছু বেশি। উপরোক্ত পদগুলো পূরণ করা হলে এবং শিক্ষা খাতে ৮৩ হাজার জনবল নিয়োগ করা হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি একটি জিনিস মনে রাখা দরকার, সেটি হলো দক্ষ ইংরেজী শিক্ষক এবং আইসিটি শিক্ষকের ভীষণভাবে অভাব আমাদের, বিশেষ করে ইংরেজী শিক্ষকের। সারাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজীতে অনার্স-মাস্টারস্ করেছে তাদের যথোপযুক্ত সুবিধাদি দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী করা গেলে ইংরেজী শিক্ষকের এই ভয়ঙ্কর স্বল্পতা দূর হতো। ৪৫০০ ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রী ইংরেজীতে পারদর্শী হতে না পারলে আমরা চলমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব না। এটা আমরা যত দ্রুত অনুভব করব এবং সেই লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেব ততই মঙ্গল। সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। খন্দকার জিয়া হাসান শিক্ষক ও সাংবাদিক ুরধযধংধহ৬৯@মসধরষ.পড়স প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ফরাসী বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮৮৭ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে তৈরি করা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্মৃতিসৌধ আইফেল টাওয়ার। ইস্পাত দিয়ে তৈরি টাওয়ারটি তৈয়ার করতে ২ বছর সময় নেয়। ৩২৫ মিটার উঁচু, সাড়ে সাত হাজার টন ওজনের আইফেল টাওয়ার সারা বিশ্বের টাওয়ার সারা বিশ্বে সুপরিচিত, প্যারিসের অন্যতম আকর্ষণ আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের ট্রেড মার্ক হিসেবে বিশ্বব্যাপী চিহ্নিত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাবলীর স্মরণে আইফেল টাওয়ারের অনুরূপ, একটি টাওয়ার নির্মাণ প্রয়োজন বিধায়, জাতির জনকের নামে ‘বঙ্গবন্ধু টাওয়ার’ নির্মাণের প্রস্তাব রাখছি। এ প্রসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ মহলের এগিয়ে আসা জরুরী। মুর্শেদ উদ্দিন বাদশা মিয়া চকবাজার ঢাকা ড্রাইভার সঙ্কট ২০ দলীয় জোট যেভাবে সারাদেশে সব ধরনের ড্রাইভারদের হত্যাকা-ে লিপ্ত হয়েছে। তাতে আগামী দিনে পরিবহন সঙ্কটে পড়তে পারে। ড্রাইভার সঙ্কটে আগামীতে পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। জনগণকে হত্যা করে, কিংবা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী হতে পারে কি? আমরা বিভিন্ন জরিপে দেখেছি, বিএনপির ৩৪% জনসমর্থন আছে। তাহলে কিন্তু বিএনপি প্রকারান্তরে নিজ দলের ভোটারকে হত্যা করে চলেছেন। নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় পেট্রোলবোমায় এই পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন জরিপের হিসাব অনুযায়ী তাহলে ২০ দলীয় জোট তাদের নিজ দলের সমর্থক তথা ভোটারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তা ছাড়া বোমা বানাতে গিয়ে এবং বোমা নিক্ষেপকালে তাদের নির্দিষ্ট ৬ কর্মীরও অকাল মৃত্যু ঘটেছে। প্রিয় পাঠক, এবং দেশবাসী আমরা চাই না, কোন দোষ না থাকা সত্ত্বেও কোন দলের কোন নেতাকর্মী ভোটারের অকাল মৃত্যু । সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, কাদের জন্য, কী কারণে আমরা নিরপরাধ ভোটার তথাকথিত দলের অনলে অঙ্গার হয়ে চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। আশা করি দেশবাসী সত্যটা উপলব্ধি করতে সমর্থ হবেন। বাবুল পুরানবাজার, চাঁদপুর স্বপ্নপূরণের দায়বদ্ধতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিব তাঁর মহান ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে আর যদি আমার লোকের ওপর হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমাদের অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। এবারের সংগ্রাম, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম ...’ বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে এখনও বাংলার আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে তাঁর অমর কাব্যের কবিতাগুলো। এই বজ্রশব্দ এখনও শোনা যায় বাংলার আনাচে-কানাচে, রাস্তাঘাট, খালবিল, নদী প্রান্তরে। সর্বত্র বিরাজমান এই স্বাধীনতার বাণী। মুক্তিকামী বাঙালীর আশা ছিল গড়ে উঠবে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা। কিন্তু পরাজিত শক্তির প্রথম কলাকৌশলের বলী হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার স্বপ্নস্রষ্টা মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তাঁর পরিবারবর্গ। কয়েকদিন পর ৩ নবেম্বর আবার নির্মম শিকারে পরিণত হন জাতীয় চার নেতাÑ তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল এবং কামরুজ্জামান। ১৯৯৬ সালে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসীন হলেও সামরিক জান্তাসহ পরাজিতদের শাসনের ক্ষত দূর করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আবার কঠিন দুরন্ত পথ পাড়ি দিয়ে ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেন। এখন শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে স্বাধীনতার মূল ধারায় নিয়ে যেতে হবে। তবেই আমরা সফল হব। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী ফেনী
×