ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা অত্যন্ত বিপজ্জনক ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৮ এপ্রিল ২০১৫

কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা অত্যন্ত বিপজ্জনক ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা মারাত্মক বিপজ্জনক। এরা সরকারের কাছ থেকে কোন বরাদ্দ নেয় না। এ বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে। আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রাক বাজেট আলোচনায় এনজিও প্রতিনিধিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে মানব উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে বাজেট থেকে ১২ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত বাজেট করা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার। প্রাক-বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, পরিকল্পনা সচিব শফিকুল আজম, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অধ্যাপক আবদুল্লা আবু সায়ীদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম, নিজেরা করির খুশি কবির, সুজনের বদিউল আলম মজুমদার, বাপার আবু নাসের ও আএমইডির সচিব শহিদুল্লা খন্দকার প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বেতন বৈষম্য কমানো উচিত। এটা দেখা হবে। যেসব বইয়ের ওপর কর হওয়া দরকার, সেগুলোর ওপর কর হবে। কিন্তু সাধারণ টেক্সট বুকে কর থাকবে না। প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্টেডিয়াম বানাতে চাই। সে জন্য কাজ করা হচ্ছে। সমতলের আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি বরাদ্দ বাড়ানো হবে। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিষয়ে বলেন, এটার কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকল্প মনিটরিং বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। মেট্রোরেল ঢাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্প। এ জন্য এটা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বৈষম্য আমাদের দেশে কমছে। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, নগর দারিদ্র্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ঢাকা শহরের বস্তিতে প্রায় ৫০ লাখ লোক বাস করে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। ড. আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে ১ কোটি ৩৩ লাখ ১০ টাকার এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি এ্যাকাউন্ট খুলেছে কৃষক। বাকি পথশিশুসহ অন্যান্য সেবা গ্রহিতারা খুলেছে। আমরা এই অ্যাকাউন্টগুলো সচল রাখতে ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করেছি। খুশি কবির বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী যাদের আসা দরকার তারা যেন আসে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া খাস জমির বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। মালেকা বানু বলেন, সরকারী ব্যয় এবং পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন করতে হবে যাতে নারীরা দক্ষ হয় এবং বিদেশে দক্ষ নারী শ্রমিক পাঠানো যায়। আবু নাছের বলেন, নদী রক্ষায় পিলার বসানোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। রেলের মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন এবং জেলা পর্যায় পর্যন্ত চার লেনের রেলপথ হওয়া উচিত। জাকিয়া হোসেন বলেন, পিপিপির (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প বেশি বাস্তবায়ন করা দরকার। নারীদের উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার। সাজ্জাত খান বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ দেয়া উচিত। তাছাড়া সমতলের আদিবাসীদের পণ্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আকলিমা খাতুন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নত করতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে বন্ধু চুলার ব্যবহার বাড়ানো উচিত। রেখা সাহা বলেন, বাজেটকে জেন্ডার সেনসেটিভ করতে হবে। নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে স্থানীয় সরকারে আলাদা বাজেট থাকা দরকার। এছাড়া সিএসআর (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিভিলিটিজ) ফান্ড ব্যাংকের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যয় করতে হবে। সুব্রত বাগড়ই বলেন, আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
×