ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গফরগাঁওয়ে গম কাটার ধুম ॥ চাষীর মুখে হাসি

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৭ এপ্রিল ২০১৫

গফরগাঁওয়ে গম কাটার ধুম ॥ চাষীর মুখে হাসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, ৬ এপ্রিল ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার এবার অন্য বছরের তুলনায় দিগুণ জমিতে গম চাষ হয়েছে। উপজেলায় ইতোমধ্যে গম কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। ভাল ফলনের পাশাপাশি বাজার দর ভাল হওয়ায় গমচাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। যে সব জমিতে গম কাটা এখনও শুরু হয়নি সেগুলোতে সোনালি রং ধারণ করছে। গত ইরি ও আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান চাষে লাভ না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা এবার অধিক জমিতে গম চাষ করেছে। প্রত্যাশিত গমের বাজার দর এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলার গমচাষ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ এবং আবহাওয়া দুটোই কৃষকের অনুকূলে থাকায় প্রয়োজনীয় পরিচর্যার কারণে গমের বাম্পার ফলনে খুশি উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য মতে, এ মৌসুমে উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার দিগুণ জমিতে গম চাষ করেছে কৃষকেরা। গম চাষে তেমন খরচ নেই বলে গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেক কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গম উৎপাদনে সেচ,সার ও শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় এবং পোকা-মাকড় খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারায় কৃষকেরা গম চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। পাশাপাশি এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। রাজশাহীতে পছন্দের ঠিকাদারদের কাছে গোপনে দরপত্র বিক্রির অভিযোগ স্বাস্থ্য বিভাগ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবহৃত সামগ্রী বিক্রির দরপত্রে ঘাপলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন প্রচারণা ছাড়াই গোপনে নিজস্ব লোকের কাছে দরপত্র বিক্রি করা হয়েছে। কমদামে বিক্রির জন্য এ অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ সব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরানো চেয়ার, বৈদ্যুতিক পাখা, বেডসহ চার-পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে কোটেশন আহ্বান করা হয়। ওই সময়ে স্থানীয় কোন লোকজনের কাছে দরপত্র বিক্রি না করে গোপনে শুধুমাত্র রাজশাহী শহরের তিনজনের কাছে বিক্রি করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হওয়ার পর তারা এর প্রতিবাদ করে। তাদের প্রতিবাদের মুখে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তা স্থগিত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। স্থানীয় বাসিন্দা তপন কুমার সরকার জানান, ওই সময়েও কোন কোটেশন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের নোটিস বোর্ডে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝুলানো হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম দাবি করেন নোটিস তিনি আগেই স্বাক্ষর করেছেন, কেন তা ঝোলানো হয়নি তা বলতে পারছেন না। গোপনে নিজস্ব লোকের কাছে দরপত্র বিক্রি প্রসঙ্গে বলেন, এবার স্থানীয় দুইজনের কাছে মালামাল বিক্রি করা হয়েছে, কোন অনিয়ম হয়নি।
×