ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দু’বছরের নাশকতায় হাজার হাজার আসামি ॥ একজনেরও বিচার হয়নি

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহিংসতা অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৭ এপ্রিল ২০১৫

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহিংসতা অব্যাহত

শংকর কুমার দে ॥ যুদ্ধাপরাধীর মামলায় আদালতের রায়ের আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, হরতাল, সহিংস সন্ত্রাস করা অব্যাহত রেখেছে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর দল জামায়াত-শিবির। দেশের প্রচলিত আইন, আদালত, থানা, পুলিশ, কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না তারা। গত ২ বছরে যুদ্ধাপরাধীর মামলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সহিংস সন্ত্রাসে সারাদেশে ১৫ পুলিশ, ২ বিজিবিসহ ৭১ জন খুন হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, পুলিশের অস্ত্র লুট, পুলিশের গাড়ি, বাড়ি, বিদ্যুত কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবির। এসব ঘটনায় সারাদেশের থানাগুলোতে দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজার হাজার। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না। এমনকি গত ২ বছরে এসব মামলায় একজনেরও বিচার পর্যন্ত হয়নি। কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল ও কার্যকর করার বিষয়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের উচ্চ পর্যায় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় খারিজ করে দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল, পুলিশের ওপর হামলা, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির। নোয়াখালীতে জামায়াত-শিবিরের সশস্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর বোমা হামলা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হলে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটকসহ, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দুই দিনব্যাপী হরতাল ডেকেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াতের আমীর গোলাম আযম থেকে শুরু করে নিজামী, সাঈদী, মুজাহিদ, মীর কাসেম, কাদের, কামারুজ্জামান, যখনই যেই যুদ্ধাপরাধীর রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তখনই তারা সহিংস সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে। ২০১৩ সালের মে মাস থেকে গত ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিগত প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীর রায় ঘোষণা করে আসছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ বা আপীল করে রায় তাদের পক্ষে বা বিপক্ষে যাই হোক না কেন তারা সহিংস সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছেই।গত ২০১৪ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। আদালতের রায়ের প্রতিবাদে রক্তক্ষয়ী সহিংস সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালায় জামায়াত-শিবির। এক বছরে তাদের রক্তক্ষয়ী সহিংস সন্ত্রাসে সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি সদস্যসহ ৭০ জন খুন হয়েছেন। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, পুলিশের অস্ত্র লুট, পুলিশের গাড়িসহ, বাড়ি, বিদ্যুত কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবির। এই ঘটনায় সারাদেশের থানাগুলোতে মামলা হওয়ার পরও আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না। এমনকি তাদের একজনেরও বিচার পর্যন্ত হয়নি অদ্যাবধি।
×