ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তরমুজের ভাল ফলন ॥ ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষী খুশি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৪ এপ্রিল ২০১৫

তরমুজের ভাল ফলন ॥ ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষী খুশি

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৪৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে। চৈত্রের কাঠফাটা রোদের কারণে তৃষ্ণা মেটানোর এ ফলটির চাহিদাও ব্যাপক বেড়েছে। দামও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ভাল দাম পেয়ে তরমুজ চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি। প্রতিদিন সড়ক ও নৌপথে হাজার হাজার টন তরমুজ যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। এবার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো পর্যাপ্ত সার কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহজলেভ্য হওয়ায় ফলনও হয়েছে ব্যাপক। রাঙ্গাবালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, প্রতি হেক্টরে এবার গড়ে সাড়ে ৫ হাজার তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এ হিসেবে দুই উপজেলায় ৮০ থেকে ৮৫ লাখ তরমুজ হয়েছে। খরচের তুলনায় এবার লাভের পরিমাণও অনেক বেশি। প্রতি হেক্টর জমি চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে গড়ে সোয়া লাখ টাকা। অথচ এরই মধ্যে হেক্টর প্রতি বিক্রি হয়েছে গড়ে দু’ লাখ টাকার বেশি। এরপরও ক্ষেতে প্রচুর তরমুজ রয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, তরমুজ চাষ করে এবার অসংখ্য কৃষকের আর্থিক অবস্থা পাল্টে গেছে। বহু কৃষক কোটিপতিও হয়েছে। আরও এক-দেড় মাস ক্ষেতে তরমুজ থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। গলাচিপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা গেলে এ দুটি উপজেলা তরমুজ উৎপাদনে মডেল উপজেলায় পরিণত হতে পারে। এতে কৃষকরা আরও লাভবান হবে। এদিকে, হরিদেবপুর, পানপট্টি, চরবিশ্বাস, চরকাজল, বাহেরচরসহ কয়েকটি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্র তরমুজের স্তূপ গড়ে উঠেছে। ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে উৎপাদিত তরমুজের ব্যাপক বাজার গড়ে উঠেছে।
×