অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কেন্দ্রীয়ভাবে অনিশ্চয়তা দূর না হলেও ভারতে আরেক ধাপ এগিয়েছে লাফার্জ সিমেন্ট ও হোলসিমের প্রস্তাবিত একীভূতকরণ প্রক্রিয়া। দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কমপিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (সিসিআই) এই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। তবে এর জন্য দেশটিতে ৫০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট ছেড়ে দিতে হবে লাফার্জ সিমেন্টকে। ইউনিট দুটি দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। নিক্কেই এশিয়ান রিভিউর খবরে জানা যায়, সংস্থাটি শিগগিরই তাদের ওয়েবসাইটে মার্জার প্রক্রিয়ার সংক্রান্ত অনুমোদনের বিষয়টি প্রকাশ করবে। তাতে হোলসিমের সঙ্গে একীভূত হতে লাফার্জকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ইউনিটগুলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জাপানের ওই সংবাদ মাধ্যমটিকে বিষয়টি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় এ দুই কোম্পানি বৈশ্বিকভাবেও মার্জার হওয়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্জার হলে যৌথ গ্রুপটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিমেন্ট সরবরাহকারী কোম্পানি। একীভূতকরণে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৫ মাসের মধ্যে লাফার্জকে তাদের ছত্রিশগড় ও ঝাড়খ-ের দুই প্লান্ট বিক্রি করতে হবে। ভারতের কমপিটিশন আইনে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই এই বিক্রি প্রয়োজন। ভারতে হোলসিম মূলত আম্বুজা সিমেন্ট এবং এসিসির মাধ্যমে ব্যবসা করে। আর লাফার্জ ব্যবসা করে লার্ভার্জ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে। দেশটিতে লাফার্জের সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে মোট ১১ মিলিয়ন টন; পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব রাজ্য, ছত্রিশগড় এবং ঝাড়খ-ে যার ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয়ে থাকে। একীভূত হওয়ার পর যৌথ কোম্পানিটি এই অঞ্চলের ৪০ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, একীভূতকরণ চুক্তি বাজার প্রতিযোগিতাকে থামিয়ে দিয়ে সিমেন্টের দামের ওপর অতিরিক্ত প্রভাব ফেলাতে পারে।
বর্তমানে লাফার্জ আন্তর্জাতিক বাজারে ৩৪ কোটি ৭০ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন করে; যার প্রায় ২০ শতাংশ আসে ভারতের ৩টি ইউনিট থেকে। এই ৩ ইউনিটের যৌথ উৎপাদন ৬ কোটি ৮২ লাখ টন; যা ভারতের বাজারে বর্তমানে শীর্ষ উৎপাদনকারী আল্ট্রাটেক সিমেন্টকেও অতিক্রম করবে।
আল্ট্রাটেক কোম্পানি আদিত্য বিরলা গ্রুপের গ্রাশিম ইন্ডাস্ট্রিজের একটি অঙ্গসংগঠন, যার উৎপাদন রয়েছে ৬২ মিলিয়ন টন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: