ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা

প্রতিবন্ধীদের সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৪ এপ্রিল ২০১৫

প্রতিবন্ধীদের সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান

বিডিনিউজ ॥ অটিজম আক্রান্তদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান এসেছে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সভা থেকে। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠান ও প্যানেল আলোচনায় এ আহ্বান জানানো হয়। সকালে জাতিসংঘের কমিউনিকেশন ও পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টিনা গ্যালাচের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ভাষণ দেন বলে সংস্থাটিতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিকেলে সদর দফতরের ইকোসক চেম্বারে অটিজম বিষয়ক প্যানেল আলোচনা হয়, যাতে অন্যতম আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। ভারত, কাতার, নাইজিরিয়া ও কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি এবং অটিজম নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আলোচনায় ছিলেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টেক ও জাতিসংঘের চলতি সাধারণ অধিবেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনার গুনারসনও সেখানে বক্তব্য দেন। সকালের অধিবেশনে ‘কর্মসংস্থান : অটিজম সুবিধা’ বিষয়ে মূল আলোচনায় মহাসচিব বান কি- মুন বলেন, ‘অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর বিশাল সামর্থ্য আছে। স্বাভাবিক চাকরির সুযোগ করে দিলে তারাও সমাজে সমান অবদান রাখতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও মানুষের সম্পৃক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারী কর্মকর্তা, চাকরিদাতা, বেসরকারী সংস্থাসহ সবাকেই তৈরি হতে হবে।’ এই অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ার স্টেটের গবর্নর জ্যাক মারকেল। এছাড়া মাইক্রোসফট, এসএপিসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয় ও অটিজম সংস্থার প্রতিনিধিরা অটিজম জনগোষ্ঠীর চাকরির ক্ষেত্রে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। এ অধিবেশনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, অটিস্টিক জনগোষ্ঠীকে বিশ্বের মূলধারার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার লক্ষ্যে তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সেবা দিয়ে কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য বিশ্বের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিকেলে প্যানেল আলোচনায় বিশ্বে অটিজম ব্যবস্থাপনা নিয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতের উদ্যোগ, অটিস্টিকদের জীবনের পুরোটা সময় সেবা নিশ্চিতের উদ্যোগ, দেশভিত্তিক বহু খাত ও স্তরভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, টেকসই ও সাশ্রয়ী কর্মকৌশল বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সামাজিক সেবাসহ প্রতিটি খাতে অটিস্টিকদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। অটিজম আক্রান্তদের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টেক বলেন, ‘বিশ্বে অটিজম আক্রান্ত মানুষের ৮০ ভাগ এখনও বেকার জীবনযাপন করছেন। অনেকে পরিবারের বোঝা হিসেবে অবহেলিত হচ্ছেন, যদিও অটিজম আক্রান্ত মানুষের প্রায় সবাই অত্যন্ত মেধাবী। সুযোগ পেয়ে অনেকে তার প্রমাণ দিয়েছেন।’ অটিস্টিকদের উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনসচেতনতার পাশাপাশি এখন প্রয়োজন হচ্ছেÑ ছোট-বড়-মাঝারি সব ধারনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অটিজম আক্রান্তদের কর্মসংস্থানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকারের। রাষ্ট্রযন্ত্রকেও এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারী অফিসেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে এদের পুনর্বাসনের জন্য। এমনভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাতে অটিজম আক্রান্তরাও তার সুযোগ গ্রহণ করে পুনর্বাসিত হতে পারেন।’ বিশ্বের বহু দেশে অটিজম আক্রান্তরা কারিগরি পেশায় ভাল করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষেদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুনারসন বলেন, ‘অটিজম নিয়ে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এখন প্রয়োজন সবার একযোগে কাজ করার। কাগুজে সিদ্ধান্ত নিয়ে অহঙ্কারের কিছু নেই, যদি তার বাস্তবায়ন না ঘটে।’ অটিজমের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অটিজম এখন শুধু জনস্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন এটি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তাই একে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’ এ বিষয়ে সর্বশেষ জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রতি ৬৮ জনের একজন অটিজম বিষয়ক রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ অটিজম নিয়ে বড় হচ্ছে, যাদের সিংহভাগই শিশু। প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশে অটিজম নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে উন্নয়নশীল দেশে এ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ও কর্মতৎপরতা কী হতে পারে তা তুলে ধরেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। উন্নয়নশীল বিশ্বে অটিজম মোকাবেলায় গোঁড়ামি, কুসংস্কার ও সীমিত সেবা, সেবাদানকারীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের অভাব এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। তবে এসব চ্যালেঞ্জ ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য সায়মা। অটিজম আক্রান্ত শিশুরাও এই সমাজের অংশ এবং তাদেরও সব পর্যায়ে সমান অধিকার থাকার বিষয়টি যত বেশিসংখ্যক মানুষ বুঝতে পারছেন সমস্যাটি ততই হালকা হয়ে আসছে বলে মনে করেন তিনি। ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অটিজমের বহুমাত্রিক কৌশল’ শিরোনামের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশে অটিজম নিয়ে কর্মতৎপরতা সম্পর্কে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, ২০১১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় সম্মেলনের মধ্যদিয়ে অটিজম সচেতনতা ও সেবা নিয়ে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অটিজম বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি, জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং কারিগরি নির্দেশক কমিটির মাধ্যমে সমন্বিতভাবে অটিজম সচেতনতা, দ্রুত চিহ্নিতকরণ, সেবা ও পুনর্বাসনে কাজ চলছে। এজন্য ১৩টি মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবেলায় টেকসই কৌশল করে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির প্রধান সায়মা বলেন, বাংলাদেশে অটিজম সচেতনতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অটিস্টিক শিশুর মা-বাবার ক্ষমতায়ন, নীতি ও আইনী কাঠামো চিহ্নিতকরণ, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী-বেসরকারী সংস্থা ও অভিভাবকের সমন্বয়, দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলা ও অধিকতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সামর্থ্য বাড়ানো, প্রচলিত জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণে অটিজমকে সম্পৃক্ত করা, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও গবেষণা- এই সাতটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয় স্তরে কর্মসূচী গ্রহণ করে কাজ চলছে, যেখানে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যবসা-শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অটিজম নিয়ে এসব উদ্যোগের ফলে এ পর্যন্ত যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে তা তুলে ধরেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেন্টার ফর নিউরোডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড অটিজম ইন চিলড্রেন সেন্টার’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এডকেশনাল এ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি’ বিভাগ এবং অটিস্টিকদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, চিকিৎসক, সেবাদানকারী ও মা-বাবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অটিস্টিক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা দিতে মিরপুরের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন চত্বরে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু করা হয়েছে। অটিস্টিকসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধীকে বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় ১০৩টি সেবা ও সাহায্য কে›ক্র গড়ে তোলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অটিস্টিকদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রকর্ম প্রদর্শনীসহ তাদের সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্পত্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত এবং অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধীর রাষ্ট্রীয় সেবায় বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন’ এবং ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট’ আইন করার কথা তুলে ধরেন সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও তাদের সুবিধামতো অবকাঠামোগত পরিবেশ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অটিস্টিকসহ সব প্রতিবন্ধী শিশুকে মূলধারায় আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষ একাডেমি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘে কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি আলেয়া আহমেদ এস আল-থানি, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অশোক কুমার মুখার্জী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ডেভিড ডান, কোরিয়ার উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হান কুঙ্ঘি, ২০১৫ সালপরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক সহকারী মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ, অটিজম স্পিকসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুজানে রিট প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত একেএ মোমেন এবং কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি আলেয়া আহমেদ এস আল-থানি, কাতার ফাউন্ডেশন ফর সোস্যাল এ্যাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমল আল মান্নাই যৌথভাবে দুই ধাপের এ আলোচনার প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন। দ্বিতীয় পর্বে উপস্থাপনায় ছিলেন এবিসি নিউজের ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক প্রধান সংবাদদাতা রেবেকা জারভিস। জাতিসংঘ সদর দফতরের ইকোসোক চেম্বার ও ইস্ট লাউঞ্জে দুই পর্বে আলোচনা হয়। অটিজম স্পিকসের প্রতিষ্ঠাতা সুজান রিট বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে সাত কোটি মানুষ অটিজমে ভুগছে। এর সঙ্গে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে আরও অনেকে। তবে খুশির খবর হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে সামাজিক সচেতনাও জোরদার হচ্ছে।’ অটিজম নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৩৫ হাজার অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে দিনব্যাপী অটিজম বিষয়ক অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি হয় জাতিসংঘের ইস্ট লাউঞ্জে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অটিস্টিক কিশোর ম্যাট সেভেজের পিয়ানোর সুরের মূর্ছনায়।
×