ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুরে পাহাড়ী এলাকায় গভীর ফাটল, উৎসুক জনতার ভিড়

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৩ এপ্রিল ২০১৫

মির্জাপুরে পাহাড়ী এলাকায় গভীর ফাটল, উৎসুক জনতার ভিড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল, ২ এপ্রিল ॥ মির্জাপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চল আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা গ্রামে প্রায় ৪শ’ গজ এলাকাজুড়ে গভীর ফাটল দেখা দিয়েছে। কৌতূহলী শত শত মানুষ হঠাৎ এ ফাটল দেখার জন্য দিনভর ভিড় জমাচ্ছেন। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন এই ফাটল থেকে শিশুদের দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার মির্জাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ী অঞ্চলে অবস্থিত তেলিনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামে রফিকেরচালা নামক স্থানে কাঠবাগানে প্রায় একফুট প্রশস্ত ফাটল দেখার জন্য এলাকার শত শত লোক ভিড় জমাচ্ছেন। ফাটলটির পূর্বদিকে প্রায় সাড়ে ৩শ’ গজ এবং উত্তরদিকে প্রায় ৫০ গজ বিস্তৃতি ঘটেছে। এছাড়া উত্তর-পূর্বদিকে খোরশেদ মিয়ার বসতঘর পর্যন্ত ফাটলটি বিস্তৃতি লাভ করেছে। এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে বৃষ্টির পর ফাটলের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল লতিফ এ ফাটল প্রথমে দেখতে পান। পরে তিনি তার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে ডেকে তা দেখান। নাসিমা বেগম কৌতূহলবশত ফাটলে নামলে তার কোমর পর্যন্ত দেবে যায় বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনি বিকট শোঁ শোঁ শব্দও শুনতে পান বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ফাটলস্থানে গ্রামবাসী ভিড় জমান। তেলিনা গ্রামের রফিক উদ্দিন জানান, ওই ফাটল দিয়ে ২০/২৫ ফুট লম্বা বাঁশ ঢোকানো যায়। তেলিনা গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রহিম মিয়া জানান, এ স্থানটির মাটি শত বছরের পুরনো। ফাটল দিয়ে টর্চের আলো প্রবেশ করালে ২৫/৩০ ফুট পর্যন্ত দেখা যায়। এলাকার ইউপি সদস্য আঃ রাজ্জাক মিয়া জানান, এ ধরনের ঘটনা তিনি কখনও দেখেননি। একই কথা জানান, খোরশেদ আলমের স্ত্রী রহিমা আক্তার। তবে গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল মালেক আকন্দ বলেন, হয়ত মাটির নিচে গ্যাস আছে। সেই গ্যাসের চাপের কারণে এ স্থানে ফাটল ধরতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে মির্জাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শিশু-কিশোরদের এ ফাটল স্থানে না যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে পরামর্শ দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
×