ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গুরুতর উদ্বেগের বিষয় ॥ মার্কিন এ্যাডমিরাল

সাগরে বিরাট বালুর প্রাচীর গড়ছে চীন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২ এপ্রিল ২০১৫

সাগরে বিরাট বালুর প্রাচীর গড়ছে চীন

চীন দক্ষিণ চীন সাগরে ভূমি উদ্ধারের মাধ্যমে বালুর এক বিরাট প্রাচীন গড়ে তুলছে। ওই সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোর ওপর চীনের দাবিকে জোরদার করাই এর উদ্দেশ্য। এতে চীনের ভূখ-গত অভিপ্রায় নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার এ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস জুনিয়র মঙ্গলবার কথা বলেন। হ্যারিস বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোর ওপর কয়েকটি দেশের পরস্পর বিরোধী দাবি আঞ্চলিক উত্তেজনা ও ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে। তিনি মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রেলিয়ায় এক নৌ সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। দক্ষিণ চীন সাগরের ভূখ- নিয়ে চীন ও এর প্রতিবেশীরা পরস্পর বিরোধী দাবি উত্থাপন করে থাকে। চীন বিরোধপূর্ণ জলসীমার অন্তর্গত ভূমি উদ্ধার করে এসেছে। গত বছর চীন একাজকে সম্পূর্ণভাবেই ন্যয়সঙ্গত বলে দাবি করে। চীনের মতে এ এলাকার ওপর এর সার্বভৌমত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনারা স্প্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের শেলশিরার ওপর নির্মাণ কাজ করছে বলে ছবিতে দেখা যায়। সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সব স্থাপনাসহ কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য। এসব স্থাপনার মধ্যে একটি বিমান ঘাঁটিও রয়েছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানসহ কয়েকটি দেশ ও স্প্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ভূখ-ের ওপর মালিকানা দাবি করছে। এ্যাডমিরাল হ্যারিস চীনের ভূমি উদ্ধার করার পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চীন পাম্পিং মেশিন দিয়ে প্রবাল শৈল শ্রেণীগুলোর ওপর বালু ফেলে এবং সেগুলোর ওপর কংক্রিটের আস্তরন দিয়ে কৃত্রিম ভূমি গড়ে তুলছে। চীন এখন ৪ বর্গকিলোমিটার (১ দশমিক ৫ বর্গমাইল) কৃত্রিম ভূমিস্তূপ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, চীন কয়েক মাস ধরে ড্রেজ ও বুলডোজারের সাহায্যে বালুর এক বিরাট প্রাচীর সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর অধিকার দাবি করে থাকে এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের প্রতি চীন উস্কানিমূলক আচরণের কথা বিবেচনা করলে, চীন যে গতিতে কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তুলছে, তা চীনের অভিপ্রায় নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের উদ্রেক করে। চীন কার্যত দক্ষিণ চীন সাগরের সমগ্রই নিজের বলে দাবি করে থাকে। এ কর্মব্যস্ত সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপিন্স ও অন্যান্য দেশের ভূখ-গত বিরোধ রয়েছে। এসব দেশ চীনের ভূমি উদ্ধার প্রকল্প নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ প্রকল্পগুলো ইতিপূর্বে স্প্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি জলমগ্ন শেল শ্রেণীকে ভবন, রানওয়ে ও জাহাজঘাটযুক্ত কৃত্রিম দ্বীপে পরিণত করেছে। এসব দ্বীপকে চীনের ভূখ-গত দাবি জোরদার করতে সামরিক ও অন্যান্য স্থাপনা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
×