ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার কাইল মিলসের অবসর

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২ এপ্রিল ২০১৫

এবার কাইল মিলসের অবসর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। এবার সেই ড্যানিয়েল ভেট্টরির পথে হাঁটলেন নিউজিল্যান্ডের পেস বোলার কাইল মিলস। বুধবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার বিষয়টি নিজের মুখেই নিশ্চিত করেন ৩৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার। তবে বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত কাইল মিলস সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে দারুণভাবে সমর্থন করা মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে দেশের জার্সিতে গর্বের সঙ্গে খেলা ক্রিকেটকে খুব মিস করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে কাইল মিলস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারাটা আমার জন্য বিরাট সম্মানের এবং দারুণ সুযোগও। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলেছি যে কারণে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে সত্যিই খুব মিস করব। যাই হোক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। এই মুহূর্তে আমার পরিবারকে বেশি সময় দিতে চাই যাদের কারণেই প্রিয় খেলায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেরেছি।’ এ সময় প্রিয় সব কোচের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কাইল মিলস। এ বিষয়ে তার অভিমত, ‘যেসব কোচের অধীনে থেকেছি তাদের সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সহায়তা করেন। কিউই ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা রইল।’ নিউজিল্যান্ডের বর্তমান কোচ মাইক হেসন। তার অধীনেই প্রথমবারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। কিউই কোচ মাইক হেসনই কাইল মিলসের সেরা কোচ। আর প্রিয় শিষ্যের বিদায় বেলায় কিছুটা আবেগ নাড়িয়ে গেছে হেসনকেও। তাই কাইল মিলসকে ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি শুভকামনাও জানিয়েছেন মাইক হেসন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একদিনের ক্রিকেটে মিলস সেরা বোলারদের মধ্যে অন্যতম। ওয়ানডে বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ দশে থাকাটাই এটি প্রমাণ করে। দেশের হয়ে সে নিজের সেরাটাই দিয়েছে। আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’ ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল কিউইদের হয়ে শারজায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কাইল মিলসের। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার বড় প্রতিপক্ষ ছিল ইনজুরিও। চোটের কবলে না পড়তে হলে তার একদিনের ম্যাচ সংখ্যা দুই শ’র কাছাকাছি হয়ে যেত বলে মনে করছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাইল মিলস একজন চমৎকার ওয়ানডে ক্রিকেটার। দীর্ঘ সময়ই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে সে। কিন্তু চোটের কারণে অনেক ম্যাচেই খেলতে পারেননি তিনি। তা না হলে তার ম্যাচ সংখ্যা প্রায় দুই শ’র কাছাকাছি থাকত।’ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে একাদশতম বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেলেও কিউইদের অসাধারণ এই টুর্নামেন্টের এক ম্যাচেও প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি মিলস। তাই গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল ক্যারিয়ারের শেষ ওডিআই। ওয়েলিংটনে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটিতেও দুই উইকেট লাভ করে নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। কাইল মিলস তার সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে ১৯ টেস্ট, ১৭০ একদিনের এবং ৪২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৪৪ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেটে ৪.৭২ ইকোনমি রেটে ২৪০ উইকেট দখল করেছেন অকল্যান্ডে জন্ম নেয়া এই পেসার। আর টি-টোয়েন্টি ফরমেটে ৪৩ উইকেট দখল করেন কাইল মিলস। এপ্রিলে অভিষেক আর একই মাসে ক্রিকেটকে বিদায় বলে অন্তত মাসটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন এই কিউই পেসার।
×