ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবিতে ‘নির্মাতার চোখে অভিনয়’ শীর্ষক সেমিনারে ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস

প্রকাশিত: ০৭:২০, ৩১ মার্চ ২০১৫

ঢাবিতে ‘নির্মাতার চোখে অভিনয়’ শীর্ষক সেমিনারে ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমি কখনও দুই বাংলা কথাটাকে মেনে নিতে পারি না। ভৌগলিক সীমারেখা দিয়ে বাংলাভাষা তথা বাংলা সংস্কৃতিকে দুইভাগে বিভক্ত করা আমার কাছে অপরাধীর মতো মনে হয়। আমিতো বাংলাদেশে এসেছি বহুবার এবং চলচ্চিত্রও করেছি। এখানের ফেরদৌস আমার খুব কাছের বন্ধু। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি। এ চলচ্চিত্রগুলো দেখে কি মনে হয় যে আমরা দুই বাংলার মানুষ’-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ আয়োজিত ‘নির্মাতার চোখে অভিনয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে কথাগুলো বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সোমবার সকালে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। আলোচনার শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রের এক স্থির চিত্র ও ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। শুরুতে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, অনেক গুণী নির্মাতার সংস্পর্শে আমার অভিনয় শেখার সৌভাগ্য হয়েছে। চলচ্চিত্র এমনই একটা বিষয় যার মূল চিন্তা চেতনায় থাকে নির্মাতা। এবং তার এই চিন্তা-ভাবনাকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। আর অভিনয় হচ্ছে নির্মাতার কাজকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করার একটা প্রয়াস। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, এই মুহূর্ত আমার জন্য খুবই স্পেশাল। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমার জীবনের অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। বহুবার আমি এখানে এসেছি কিন্তু এবারের আসা এক ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে আমাকে। আমার ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আয়োজনে লোভ সামলাতে পারলাম না। এক সময় আলোচনার বিষয়বস্তু রূপ নেয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তরে। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কমার্শিয়াল ও আর্ট ফিল্মের মধ্যে অভিনয়ের পার্থক্য করতে চাই না। এখানে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলাই আসল। এ্যাক্টর হচ্ছে মাটির পতুলের মতো। অনেক সময় আমাদের নিজেদের জীবনের সঙ্গে চরিত্রের মিলে যায়। আমাদের বাঙালীদের মধ্যে অনেক ভাল ভাল অভিনেতা অভিনেত্রী আছে। এখন অনেক মহিলা নির্মাতারা চলচ্চিত্র নির্মাণে আসছেন এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করে। আমরা অভিনয় শিল্পীরা স্বপ্নের মধ্যে ডুবে থাকি। আগামীতে নতুন নতুন শিল্পীরা যাতে এই চলচ্চিত্র জগতে ভূমিকা রাখতে পারে এজন্য কাজ করে যেতে চাই। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সমষ্টি ও অগ্নিরোথী।
×