ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের আড়াই যুগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৩১ মার্চ ২০১৫

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের আড়াই যুগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একে একে ২৯ বছর কেটে গেছে। ১৯৮৬ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছিল। এই ২৯ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন নাম পেয়ে গেছে ‘টাইগার্স’। খেলেছে মর্যাদার বিশ্বকাপ আসর ৫ বার। মর্যাদার টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনাতেও পা রেখেছে। শুরুটা দুর্বলতম দল হিসেবে হলেও এখন বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ানক হুমকি টিম বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসর। সেবার ভারতীয় দল অংশ না নেয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সুযোগ পায়। মোরাতুয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩১ মার্চ ইতিহাসের পাতায় নতুন ওয়ানডে দল হিসেবে পদার্পণ ঘটে বাংলাদেশের। ওই ম্যাচে মাত্র ৯৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ প্রথম ব্যাট করে। হেরে গিয়েছিল ৭ উইকেটে। তখন থেকেই শুরু। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে প্রথমবার অংশ নেয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল; ১৯৯৭ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ক্রিকেটকেই আমূল পরিবর্তন করে দেয়। আকরাম খানের নেতৃত্বে আইসিসি ট্রফিজয়ী দল প্রথমবারের মতো ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে দেশকে করে গর্বিত। সেই আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেরা বিস্ময়টার জন্ম দেয় টাইগাররা। ২০০০ সালে এরই ধারাবাহিকতায় টেস্ট মর্যাদা পায় বাংলাদেশ দল। তখন থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটে নিয়মিত যাত্রা শুরু হয়। অনেক বেশি বেশি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এরপর টানা আরও চার বিশ্বকাপ খেলেছে দল। এবার সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরে পেয়েছে নিজেদের সেরা সাফল্য। গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তিনটি জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে। ভারতের বিরুদ্ধে কোয়ার্টারে নিজেদের আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। ৩০০তম ওয়ানডে খেলে। বিশ্বকাপ শেষ, আপাতত আরও তিন সপ্তাহ কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। ২৯ বছর শেষ করা বাংলাদেশ ৩০০ ওয়ানডে খেলে অনেক মর্যাদা ও প্রাপ্তিই নিয়ে এসেছে। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন ৯ নম্বরে স্থান টাইগারদের। বাংলাদেশের নিচে আরেক টেস্ট খেলুড়ে দল জিম্বাবুইয়ে। ৯২ রেটিং নিয়ে খুব বেশি এগিয়ে নেই আট নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের রেটিং ৭৬ আর জিম্বাবুইয়ের ৫০। ৩০০ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ৮৮ জয় তুলে নিয়েছে। আর হেরেছে ২০৮ ম্যাচে। ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ৩৬ জয় আছে টাইগারদের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ এবং ভারত ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ১ বার করে জয়ের মুখ দেখেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এবার সাবিনার ১০ গোল স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে বিদেশের কোন ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে আগেই ইতিহাস গড়েছেন। আর এখন ফুটবল বিশ্বে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রতিটি ম্যাচেই উদ্ভাসিত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাচ্ছেন অসংখ্যবার। জিতছে তার দলও। ‘মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা’ নামের নারী ফুটবল প্রতিযোগিতায় রবিবার রাতে সাবিনার দল মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১৩-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে এমআরডিসি ক্লাবের বিরুদ্ধে। সাবিনা একাই করেন তিনটি হ্যাটট্রিকসহ ১০ গোল! সাবিনা ম্যাচের প্রথমার্ধে করেন ৭ আর দ্বিতীয়ার্ধে করেন ৩ গোল। আগামী ৩ এপ্রিল এই এমআরডিসি ক্লাবের বিপক্ষেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে সাবিনার ক্লাব। সাবিনা প্রথম ম্যাচে ৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ এবং তৃতীয় ম্যাচে করলেন ১০ গোল!
×