ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করতে প্রচার চালানো হচ্ছে মাদ্রাসায় ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩১ মার্চ ২০১৫

জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করতে প্রচার চালানো হচ্ছে মাদ্রাসায় ॥ শিক্ষামন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল একশ’ বছরের। ব্রিটিশ শাসকরা করেনি, ইসলামের ধ্বজাধারী বিএনপি-জামায়াত জোট ও আল্লাহ’র শাসন যারা চায় তারাও করেনি, এমনকি তাদের সাধের পাকিস্তানও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাহস দেখাতে পারেনি। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাহস দেখিয়েছে। সব মাদ্রাসায় জঙ্গীবাদী কর্মকা- হয়, এ অভিযোগ সঠিক নয়। তবে সরকার থেকে প্রতিটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গীবাদকে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করে, সে ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে। সোমবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি বা মদদ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অনুরোধে শুধু ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষার সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধের মধ্যেও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কোন মূল্যে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এজন্য প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় সেজন্য অভিভাবকসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতাও কামনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসলামের ধ্বজাধারী বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে একটি মাদ্রাসায়ও নতুন ভবন নির্মাণ করে যায়নি। বরং ক্ষমতায় থেকে তারা সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের দেশ হিসেবে কলঙ্কিত করে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক হাজারেরও বেশি মাদ্রাসায় আমরা নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে। আমরা বিনামূল্যে বছরের প্রথম দিনে কোটি কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছি। পৃথিবীর কোন দেশে এমন নজির নেই। এ কারণে ৯৯ শতাংশ নতুন শিক্ষার্থী স্কুলে নাম লিখিয়েছেন। আর ৭০ ভাগ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করেছি। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লফিতের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাস/শাখা বন্ধে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের বেতন হ্রাসের লক্ষ্যে সরকার প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য পরামর্শ দিয়েছে। আশা করা যায়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ব্যয় কমে যাবে, ফলে বেতন কমানো সহজ হবে।
×