ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আফসোস নেই ম্যাককুলামের

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩০ মার্চ ২০১৫

আফসোস নেই ম্যাককুলামের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেট বিশ্বের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ নিউজিল্যান্ড। দুর্ভাগ্য ব্ল্যাক ক্যাপসদের; স্বপ্নের শিরোপাটাই ছোঁয়া হয়নি তাদের। বারবারই তারা সেমিফাইনালে গিয়ে ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু এবার সেমির গেরো কেটে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তারা। কিন্তু ফাইনালের বিশাল মঞ্চে আনন্দ-উল্লাস করতে পারেনি ম্যাককুলাম-গাপটিলরা। বরং তাদের সামনেই শিরোপা জয়ের বাধ ভাঙ্গা উল্লাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ পঞ্চমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল মাইকেল ক্লার্কের দল। তবে ফাইনালে হারলেও কোন ধরনের আক্ষেপ নেই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘ফাইনালে হারলেও আমাদের কোন অনুসূচনা নেই। আপনারা যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলব একজন ক্রিকেটারের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় মঞ্চ।’ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেট মাঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে। আর রবিবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে রেকর্ড ৯৩,০১৩ দর্শক উপস্থিত হয়ে খেলা উপভোগ করেছেন। বিশাল সংখ্যক দর্শকদের সামনে এমন একটি ম্যাচ খেলাটা আসলেই গর্বের বিষয়। হারের পর যা অকপটেই স্বীকার করেছেন কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। তবে একাদশতম বিশ্বকাপের ফাইনালটা ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টই উপভোগ করেছে নিউজিল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপের একমাত্র দল হিসেবে সব ম্যাচে জিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে তারা। পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা শেষ আটের পর সেমিফাইনালেও ধরে রাখে বোল্ট-ইলিয়টরা। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ফাইনালেই উল্টে যায় সব চিত্রনাট্য। তারপরও সতীর্থদের পারফর্মেন্সে নিজেদের গর্বিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা যেভাবে চেষ্টা করেছি এবং ম্যাচগুলো খেলেছি তা আমাদের জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত। দলের সব খেলোয়াড়দের নিয়েই আমি গর্বিত।’ স্বপ্নের বিশ্বকাপের পাঁচবার শিরোপা জিতে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে অস্ট্রেলিয়া। অভিজ্ঞ কোচ ড্যারেন লেহম্যান দলের ক্রিকেটারদের চেয়ে সমর্থকদের প্রতিই নিজের কৃতজ্ঞতা জানালেন। তিনি বলেন, ‘গত ছয় সপ্তাহ ধরে আপনারা (সমর্থক) আমাদের প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। এটা আমাদের জন্য অবিশ্বাস্য ছিল। এই কারণে আপনাদের প্রতি আমার ভালবাসা রইল।’ সাবেক অসি স্পিনার শেন ওয়ার্ন যেন খুশিতে নিজেকে আটকিয়েই রাখতে পারছেন না। রোমাঞ্চিত হয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আমরা বলেছিলাম, আমাদের সেরাটা খেলব। টুর্নামেন্টের শেষদিকে আমরা দারুণ খেলেছি। আর মাঠে এসে সমর্থন দেয়ার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ।’ বিশ্বকাপ জয়ে অবিভূত ফাইনালের ম্যাচসেরা জেমস ফকনার। এখনও যেন ঘোর কাটছে না তার, ‘মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৯০,০০০ দর্শকের সামনে খেলাটাই অনেক বড় বিষয়। আমি ভেবেছিলাম সেরা একাদশেই হয়ত থাকতে পারব না। সবমিলিয়ে বিস্ময়কর এক অনুভূতি।’
×