ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৩০ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বাকির খাতায় মাশুল গণনার হিসেবে দিন-মাসের খাতার ওজন ভারি হয়েছে অনেক আগেই। যথাস্থানে রয়ে গেছে নাশকতা। বিদেশীদের চাপে খালেদা কিছুটা নমনীয় হলেও আইন-আদালত কিছুই মানছেন না, নর হত্যায় অনঢ়, অটল, অবিচল। পুলিশ কিছু গ্রেফতার ব্যতীত কার্যত নাশকতা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি, নীতিনির্ধারক মহল যথাযথ ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে ফলাফল ভিন্ন স্রোতে প্রবাহমান। জনগণ তথা গণতন্ত্রের সপক্ষের জনগণ, দেশ প্রেমে জনগণ ঐক্যবদ্ধ, সহযোগিতায় আবদ্ধ। জনগণ আইন হাতে নিতে পারে না। মিটিং-মিছিল কাজে আসেনি। গরিব, হতগরিব, খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু, নারী, বৃদ্ধ আগুনে দগ্ধ হয়ে শতাধিক মারা গেছেন এবং দগ্ধ অবস্থায় অসংখ্য মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে বার্ন ইউনিটে। এর দায় কে নেবে? তার হিসেব বাকির খাতায় জমা হচ্ছে পাওনা হিসেবে। জামায়াতে ইসলামীকে জঙ্গী দল, আদালত এই ধরনের রায় দিয়েছে। নাশকতার বিরুদ্ধে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার রক্ষা করা উচিত। জনগণ নাশকতার বিরুদ্ধে, হরতাল-অবরোধ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে হবে। সাকা, নিজামী, সাঈদী গংরা যেন পালনোর সুযোগ না পায়। থাকার সুযোগ তৈরি হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, স্বাধীনতা বিক্রি হবে, সাধারণ মানুষ জিম্মি হবে। ধৈর্য, সহ্য, উদারতা, বিলম্ব, সিদ্ধান্তহীনতার খেসারত যেন দেশকে দিতে না হয় সেভাবেই প্রয়াস চালানো উচিত নয় কি। এম আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। বখাটের নৃশংসতা চরমে সমাজে দুর্বৃত্তদের নৃশংসতা যেন বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু ঘটনায় তাদের দুর্বৃত্তপনা ও নৃশংসতার যেসব খবর পাওয়া যায়, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতোই ঘটনা। চরম অমানবিকতা কোন কোন মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তার যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে। অতি সম্প্রতি এক যুবককে প্রাণ দিতে হয়েছে। বোনকে উত্তক্ত করত বখাটেরা। বোনকে তাদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে এই যুবককে। বখাটেরা রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে। ছয় বছর বয়সের এক কন্যা শিশুকে প্রাণ দিতে হয়েছে অত্যন্ত করুণভাবে। সৎ মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবেÑ সৎ মায়ের এই চরিত্র সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মীর্জাপুরের ঘাটে ছেলের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাণ দিতে হয়েছে মা, মেয়েসহ তিনজনের। একসঙ্গে তাদের পুড়িয়ে হত্যা করেছে আর এক বখাটে পাষ-। প্রতিটি ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা ছিল অতীব জরুরী। তারা সমাজের হুমকি। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখামুখি দাড় করাতে না পারলে আরও অবক্ষয় হবে এই সমাজের। রনজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। শিক্ষা বাঁচান, দেশ বাঁচান বর্তমান শিক্ষা ক্ষেত্রে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রাইমারী শিক্ষায় প্রায় শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা, বেসরকারীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও এ ক্ষেত্রে কিছু সঙ্কট ও নানা সমস্যাও আছে। যেমন শিক্ষকের যোগ্যতা, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদানের অভাব, শিক্ষকদের অতিমাত্রায় কোচিং নির্ভর, পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে রাজনীতির কালো ছায়া। গত ১৫-২০ বছরে মেধাবী ছেলে মেয়েরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে পারছে না নৈতিকতার কারণে। হাতে গোনা কয়েকটি বিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান খুব খারাপ। আবার সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করে একজন শিক্ষার্থী মানগতভাবে অনেক পিছিয়ে থেকেও অসাধু উপায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়ালেখা করলেও, তাদের দেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। আবার অনেকে দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা। বিপ্লব বিশ্বাস ফরিদপুর। মানিকগঞ্জে সার কারখানা চাই কৃষি খাতের উন্নয়নের অন্তরায় সার সঙ্কট। যেসব কারণে দেশে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সার। তাই সারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। মানিকগঞ্জে বরাবরই কৃষি উৎপাদনে আগ্রহী ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু এই এলাকায় আজ পর্যন্ত একটি সার কারখানা গড়ে ওঠেনি। মানিকগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, তথা বৃহত্তর ঢাকা জেলায় ধান, পাট, শাকসবজির প্রচুর আবাদ হয়ে থাকে। এসব এলাকায় কৃষকদের সারের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে আমদানির পরিবর্তে সার কারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি এ অঞ্চলের সব কৃষকের। মানিকগঞ্জে একটি সার কারখানা স্থাপন করতে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন। এমএ আওয়াল ঝিটকা, মানিকগঞ্জ।
×