ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধীর গন্তব্য গুলশান নয় বিচারালয়

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৩০ মার্চ ২০১৫

অপরাধীর গন্তব্য গুলশান নয় বিচারালয়

সময়ের প্রবহমানতায় চলছে ২০১৫। বর্তমানে যারা তরুণ তাদের জন্য যুদ্ধে যাবার সময় এক্ষুণি। পৃথিবীর সব দেশের প্রতি এবং সবার শেষে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের প্রতি দৃষ্টি দিলে যা দেখা যাচ্ছে তা আশ্চর্য হলেও সত্য, প্রায় প্রত্যেক দেশে এবং বাংলাদেশেও চলছে এক অন্ধকার শক্তির তাণ্ডব। আমরা প্রায়ই বলে থাকিÑ আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম ভাষা আন্দোলন দেখেনি, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলখানায় চার জাতীয় নেতা হত্যার প্রেক্ষাপটে প্রথম সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের উত্থান দেখেনি, দেখেনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধের বিপুল ধ্বংসযজ্ঞের ওপর যে বিশাল পুনর্গঠন, পুনর্নির্মাণের কাজ করছিল, ভারত প্রত্যাগত ১ কোটি সহায়-সর্বস্বহীন নারী-পুরুষ-শিশুকে পুনর্বাসন করছিল, লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে অস্ত্র সমর্পণ করিয়ে তাদের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী, নতুন গঠিত রক্ষীবাহিনীতে আত্তীকরণ করা হচ্ছিল, অন্যদিকে লাখ লাখ শহীদের স্ত্রী-পুত্র-মা-বাবা যুদ্ধাপরাধী খুনীদের বিচার দাবি করছিল, যার ফলে দ্রুতই দালাল আইন প্রণয়ন করে সারাদেশে প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করে তখনি প্রতিষ্ঠিত ৭৩টির মতো ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার কাজ শুরু করেছিল। অন্যদিকে খরার কারণে কৃষি ফসল উৎপাদন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, একই সঙ্গে মিত্র দেশ ভারত ও রাশিয়াও খরা আক্রান্ত হলে তারা ’৭৪ সালে খাদ্য সাহায্য দিতে অপারগ হয়। তখন কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএল ৪৮০ ধারায় স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য আমদানি করার পদক্ষেপ নিলে ঐ জাহাজটিকে তদানীন্তন বৈরী যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে আসা আটকে দেয়, যাতে দুর্ভিক্ষাবস্থা ত্বরান্বিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের পতন ঘটে। এইসব আন্তর্জাতিক, দেশী-বিদেশী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু সব দল ও পেশাজীবীকে ঐক্যবদ্ধ করতে শেষ চেষ্টা হিসেবে জেলা গবর্নর ব্যবস্থা ও ‘বাকশাল’ গঠন করেন, যা আজকের এই যুদ্ধাক্রান্ত জঙ্গীআক্রান্ত বিশ্ব ও দেশের প্রেক্ষিতে দেশী-বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গঠনে দু’টি অসাধারণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেই মহাসঙ্কটের সময়েও বঙ্গবন্ধুর স্থির ও বাস্তব বুদ্ধির প্রমাণও মেলে। অতি কঠিন সময় পার করেছে বাঙালী জাতি যখন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে পাকিস্তানী কায়দায় বাঙালী সেনাকর্তা ক্ষমতা দখল করে। ক্ষমতা দখলকারী জিয়ার হাতে শুধু যে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীরা মুক্তি লাভ করল তা নয়, তাদের সবরকম নাগরিক সুবিধা ফিরিয়ে দিয়ে তারা যে দেশের জন্মের বিরোধিতা করেছিল সে দেশের সরকারের মন্ত্রিত্ব প্রদান করে। সে দেশে রাজনীতি চর্চার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। ফলে ’৭৫ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত ও ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর সময় কালকে এক কথায় বলা যায় এটি ছিল দুর্বৃত্তায়িত অপরাজনীতির জন্মকাল। দুর্নীতিবাজদের জন্মকাল। যা ক্রমে ক্রমে জন্ম দিয়েছে খুনীর বিচার বন্ধে কুখ্যাত আইনইনডেমনিটি বিল, যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার খুনীদের আইন-আদালতের উর্ধে তুলে দেয়ার বর্বর ব্যবস্থা গৃহীত হয়। ফলে খুনী ও যুদ্ধাপরাধীরা নিজেদের আইনের উর্ধে বিশ্বাস করতে শুরু করল। অন্যদিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে রক্তদাতা বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধারা মর্যাদাহারা হয়ে গেলেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন হলোÑ মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে যেন দোষী হয়ে গেলেন। তাদের বিচারক হয়ে উঠল বঙ্গবন্ধু সরকার পরবর্তী সেনা ও স্বৈরাশাসকেরা, যুদ্ধাপরাধীরা ও তাদের মিত্ররা। এসব কলঙ্কজনক ঘটনা তরুণ প্রজন্ম দেখেনি। ঐসব সরকারের বাধার কারণে তারা জাতির জন্ম ইতিহাসও পাঠ করতে পারেনি। তবু উপরোক্ত এই কলঙ্কিত ইতিহাস স্বচক্ষে না দেখলেও আমাদের দেশপ্রেমিক তরুণ প্রজন্ম এসব ইতিহাস জেনেছে। দেখেছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ও তরুণ-তরুণীদের বিশাল সমাবেশ, যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সলতে মশালে পরিণত হয়েছে! বড়রা তরুণদের হাতে দেশের পতাকা বহনের, এর সম্মান রক্ষার ভার দিয়েছে। শহীদ জননী, গেরিলা শহীদ রুমীর মাসহ লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা-বীরাঙ্গনা, তাদের স্বজন-সহযাত্রীরা আশ্বস্ত হয়েছে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের যাত্রাপথ সঠিকভাবে অনুসরণ করতে দেখে। তরুণ প্রজন্ম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ কৃষক-শ্রমিক ছাত্র-জনতার ’৭১-এর ৭ মার্চের সমাবেশ না দেখুক, না দেখুক ’৭১-এর ২৫ মার্চের পাকিস্তানী, বিহারী, বাঙালী যুদ্ধাপরাধীদের হত্যাকাণ্ড, বাঙালীর গৌরবের আত্মত্যাগের মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বরের আবারও সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো বাঙালীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নতজানু আত্মসমর্পণ! কিন্তু তারা তো দেখেছেÑ মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকার কিভাবে প্রায় ৩৪ বছর পর ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বন্ধ করে দেয়া বিচার আবার শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু দালাল আইনের সীমাবদ্ধতা দেখে ’৭৩-এ দেশী-বিদেশী বিখ্যাত আইনবিদদের সহায়তায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ৭৩’ প্রণয়ন করেছিলেন। সেই ’৭৩-এ প্রণীত আইনের সাহায্যে গঠিত দু’টি ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। ৩৪ বছর পর দীর্ঘ সময়ে স্বৈরশাসকদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হয়ে ওঠা ’৭১-এর প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে শহীদের দরিদ্র সন্তান-স্বজনরা ট্রাইব্যুনালে এসে এই বর্তমান সময়েও সাহসের সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছেÑ যা এক কথায় অসাধারণ। এই সাক্ষীদের প্রতি রইল হাজার স্যালুট। তবে তরুণ প্রজন্ম তো আরও দেখেছে ২০১৩-তে বিএনপি নেত্রী, যুদ্ধাপরাধীদের পরম মিত্র খালেদা-তারেকের নির্দেশে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-বিএনপির ক্যাডারদের সরকার পতন আন্দোলনের নামে মতিঝিল এলাকাকে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার সেই বিভীষিকাময় রাতটি! তারা আরও দেখেছে খুনী-ধর্ষক সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর প্রধানত উত্তরের জেলাগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, হিন্দু, আদিবাসীদের ওপর ’৭১-এর মতো হত্যা-ধর্ষণ এবং রাস্তাঘাট, বন, বাড়িঘর, ক্ষেতখামার ধ্বংস। এরপর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধে ঐ একই রকম ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা-ধর্ষণ, বিশেষত প্রায় ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সর্বত্র ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ পরিচালনা করে খালেদা জিয়া। বর্তমানের ২০১৫’র ৫ জানুয়ারির আগের দিন থেকে প্রায় আজ আড়াই মাস যাবত খালেদা জিয়া-তারেক, আইএসআই ও আইএস পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনার সরকার পতন, আরেকটু পরিষ্কার করে বললে শেখ হাসিনাকে হত্যা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, উন্নত মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী সংস্কৃতির দেশ বাংলাদেশ ধ্বংস, বাঙালীর ধর্মনিরপেক্ষ দল, আধুনিক মনস্ক তরুণ ব্লগার, যারা জঙ্গী মৌলবাদের বিরোধী ও বিজ্ঞানমনস্ক-তাদের হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনীতির মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে পেট্রোলবোমা, ককটেল ছুড়ে নিরীহ দরিদ্র বাস, ট্রাকচালক, হেলপার, যাত্রী, রেললাইন উৎপাটন করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাত্রী মৃত্যু, কৃষিপণ্য, রফতানি পণ্যের পরিবহন বন্ধ করে আবারও এক দুর্ভিক্ষাবস্থায় শ্রমজীবী-কৃষকদের ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়ে দেশকে অকার্যকর করার যুদ্ধে নেমেছে। কারা কী কারণে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করে দুর্বৃত্ত-যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গী-মৌলবাদীদের সাহায্যে ধর্মনিরপেক্ষ, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ও আদিবাসীদের বাংলাদেশকে চিরতরে ধ্বংস করতে চাইছে আজকের আধুনিক, অগ্রসর তরুণরা তা ঠিকই বুঝতে পেরেছে। সুতরাং, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে কিছু কর্তব্য নির্ধারিত হয়ে গেছে, যদি তারা দেশকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর হয়। তাদের প্রধান যে কাজগুলোকে কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে তা হলোÑ ’৭১-এর প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে তারা সক্রিয় থাকবে এবং এ দাবি শেষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার পর্যন্ত চলবে। ২০১৩ এবং ২০১৫-এর পেট্রোলবোমা মারার প্রধান নির্দেশদাতা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এ বিচারের দাবি থেকে কখনও সরে আসবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, আইনের উর্ধে থাকার সংস্কৃতির মূলোৎপাটন তাদের করতে হবে। ২০১৫-তে খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রোলবোমার আঘাতে যত চালক, হেলপার, যাত্রী নিহত-আহত হয়েছে তাদের সবাইকে, পরিবারকে খালেদার সম্পদ বাজেয়াফত করে তা থেকে ক্ষতিপূরণ দেবার দাবি করতে হবে এবং এর ব্যবস্থা করতে হবে। ’৭১-এর প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পত্তি বাজেয়াফত করে দরিদ্র, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থার দাবি তুলতে হবে এবং সে লক্ষ্যে সক্রিয় হবে। তরুণ প্রজন্মকে দেশের রাজনীতিকে দুর্বৃত্তমুক্ত, অপরাজনীতিক, জঙ্গীমুক্ত, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, যুদ্ধাপরাধী-মিত্রমুক্ত করতে প্রথমেই খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যার দ্বিতীয় কোন বিকল্প দেশ রক্ষার জন্য আর নেই। এ লক্ষ্যে আইন করতে হবে, নির্বাচন কমিশনে কোন মানবতাবিরোধী অপরাধী প্রার্থী হতে, ভোটার হতে পারবে না। কোর্টের সমন, আদালতের ডাক মানে না এমন নাগরিকের নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে হবে এবং তা কার্যকরে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে ও সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে তরুণ প্রজন্ম উপলব্ধি করেছেÑ বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রধান শত্রু হচ্ছে সেনাশাসক জিয়া, খালেদা ও তারেক। এদের কারণেই কিন্তু ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী, বিডিআরে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারী, বাংলাভাই গং, হিযবুত তাহ্রীর, হরকত-উল জিহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, বাঁশেরকেল্লার দল এবং সর্বোপরি জামায়াতে ইসলামী ও শিবির, হেফাজতে ইসলামের জঙ্গী মৌলবাদীরা বার বার উত্থান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ ও এর ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী সংস্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এ সত্য ভুললে আর রক্ষা নাই। সুতরাং, আর বিলম্ব নয়। এই অপরাজনীতির নামে ভ-ামি, হত্যাকা-, বর্বরতা, মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, দেশের আইন-আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো খালেদা-তারেক গংদের হয় বন্দী করতে হবে, নতুবা বাধ্যতামূলকভাবে দেশান্তরে পাঠাতে হবে। এভাবেই কেবল দেশকে শত্রুমুক্ত করা সম্ভব হবে। এভাবেই দেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শত্রু চিনতে ভুল করে বাঙালী সময়ের এক ফোঁড়কে দশ ফোঁড়ে পরিণত করেছে। আজ যেন আবার সেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধুয়া তুলে এ শত্রুরা রক্ষা পেয়ে না যায়। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা মানুষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সংলাপ হতে পারে না। অপরাধীর গন্তব্য গুলশান নয়, বিচারালয়Ñ এ কথা যেন বাঙালী না ভোলে, তরুণ প্রজন্ম বাঙালীকে ভুলতে না দেয়।
×