ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মূল : হাসান সুরুর;###;অনুবাদ : এনামুল হক

নতুন ইসলাম অভ্যুদয়ের পথে?

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৯ মার্চ ২০১৫

নতুন ইসলাম অভ্যুদয়ের পথে?

[ইসলামী সমাজের অভ্যন্তরে বর্তমানে বিশুদ্ধবাদী ও উদারপন্থী অংশের মধ্যে ভেতরে ভেতরে এক সুতীব্র লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়ে কি শেষ পর্যন্ত উদারপন্থীদের জয় হবে? সেই জয়ের মধ্য দিয়ে কি ইসলামের এক নতুন রূপ হাজির হবে? বেরিয়ে আসবে নতুন ইসলাম? লেখাটিতে এই দিকটির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।] বিশ্বব্যাপী গৃহযুদ্ধে ইসলামী দুনিয়ার ছিন্ন ভিন্ন হবার প্রক্রিয়া তীব্র আকার ধারণ করলে ইসলামের ভবিষ্যত নিয়ে বোধগম্য কারণেই গভীর নৈরাশ্যের ছায়া পড়েছে। ইসলাম কি এই স্ব-আরোপিত অস্তিত্বের সঙ্কট থেকে আদৌ রক্ষা পাবে? যদি পায় তাহলে তা কোন্ রূপ পাবে? সেটা কি সেই বিশেষ ধাঁচের রূপ পাবে যার প্রতীক হলো ইসলামিক স্টেট বা আইএস? অথবা এই সঙ্কট কি এক নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবে। ঊষার আগে অন্ধকার বলে যে প্রবাদ আছে এটা কি তেমনই কিছু? পুরনোর ধ্বংসাবশেষ থেকে কি নতুন এক ইসলামের আবির্ভাব ঘটবে? মুসলমানদের মধ্যে একটা কথা চালু আছেÑ ‘ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হর কারবালা কি বাদ’ (প্রত্যেক কারবালার পর ইসলাম পুনর্জন্ম নেয়।)। একথার দ্বারা কারবালার রণাঙ্গনে ইমাম হোসেনের ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় বরণের পর ইসলামের পুনরুত্থানের ব্যাপারটাই পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে। নিজেকে আলোকিত যুগে খুঁজে পাওয়ার আগে খ্রীস্টান ধর্মকেও সবিশেষ অন্ধকার ও রক্তাক্ত অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। সুতরাং ইসলামকেই বা সেই অধ্যায় অতিক্রম করতে হবে না কেন? অন্তর্দর্শনের লক্ষণ বাহ্যিকভাবে দেখলে কেবলমাত্র জিহাদীরাই সেখানে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তেমন এক নিরানন্দ সময়ে এ জাতীয় আশাবাদ বলতে গেলে উদ্ভট কল্পনার মতো শোনাবে। বস্তুতপক্ষে উদারপন্থী ইসলামের শোক সংবাদ প্রায় প্রতিনিয়ত রচিত হচ্ছে। সম্প্রতি ‘দি ইকোনমিস্ট’ সাময়িকীতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ইসলামের উদারপন্থী অংশ ইতোমধ্যে হয়ত লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছে। তবে নিবন্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বলা হয়েছে তাহলো চার্লি হেবডোর হত্যাকা-ের প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের মধ্যে বিলম্বে হলেও অন্তর্দর্শনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। জিহাদী ভাবধারা মোকাবেলা করতে অধিকতর কিছু করার জন্য পাশ্চাত্যের তর্জন গর্জনকে মুসলমানরা এ পর্যন্ত সদয়ভাবে নেয়নি উল্লেখ করে তাতে বলা হয়, চরমপন্থী ক্রিয়াকলাপে ইসলামী মতাদর্শের ভূমিকা নিয়ে ইদানীং তাদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল মুসলিম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি এ ব্যাপারে তার নীরবতা ভঙ্গ করে বক্তব্য দিয়েছে। সুন্নী ইসলামী শিক্ষার প্রাচীনতম পীঠস্থান আল আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল তায়ীব ইসলামী শিক্ষার আমূল সংস্কারÑ একেবারে খোল নলচে বদলে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। আর মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ইসলামকে চরমপন্থী প্রবণতাসমূহ থেকে মুক্ত করার জন্য ধর্মীয় বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ইসলামী বিশ্ব ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের নিজেদের হাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।’ অবশ্য মিসরের পাঠ্যপুস্তক পুনর্নিরীক্ষায় তিনি সম্মতি দেবেন কিনা সেখানেই নিহিত থাকবে তার প্রকৃত পরীক্ষা। কারণ ‘কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’ নামক প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে জানা গেছে, হিংসাশ্রয়ী জিহাদীরা জিহাদের যে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে মিসরের পাঠ্যপুস্তকগুলোতেও সেই একই ব্যাখ্যা হাজির করা হয়েছে। এদিকে মুসলমানদের তল্লাটে মনমানসিকতার বিরাজমান পরিবেশ সাধারণভাবে বদলে যাচ্ছে বলে মনে হয়। মুসলমান তরুণরা দলে দলে আইএস-এ যোগ দিচ্ছে এমন উত্তেজক বিবরণের মধ্যে পরিবর্তনের এই ধারা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে সমাজ অভিযোগ করে থাকে। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মতে, কাহিনীগত তথ্য প্রমাণ থেকে যা দাঁড়ায় তাহলো এক ব্রিটিশ ভাষ্যকারের ভাষায়- ‘কেন্দ্রভাগ পিছনের দিকে সরে যেতে শুরু করেছে।’ ‘দি টাইমস’-এর নিবন্ধকার জেনিস টার্নার লিখেছেন, এখন উদারপন্থী মুসলমানদের সঙ্গে কথা বললে আশাবাদ শুনতে পাবেন : কেন্দ্রস্থল পেছনে সরে যেতে শুরু করেছে। লোকে মুখ ফুটে কথা বলছে যারা মৌলবাদী ইমাম আলেমদের ভয়ে, পরিবারের অপমান-অমর্যাদা এমনকি সহিংসতার আশঙ্কায় এই সেদিন পর্যন্ত ভয়ে টুঁ শব্দটি করতে পারেনি। মৌলবাদী ইসলামের শাণিত সমালোচনা করায় অনেক মুসলমানের চোখে ঘৃণার পাত্র কানাডার নারীবাদী কর্মী ইরশাদ মানজি বলেছেন, ‘হালে তিনি মুসলমান তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে ঐ অর্থে বলতে গেলে অধিকতর শুভেচ্ছা বার্তা লাভ করেছেন।’ এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘ওরা অতিমাত্রায় ব্যগ্র এই নতুন প্রজন্ম বিতর্ক ও আলোচনার জন্য প্রবল আকাক্সিক্ষত। আমার মনে হয় আমরা সবাই এটা বুঝতে পারলে তাদের পক্ষে রক্ষণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন কম হবে এবং আমাদের দিক থেকে আমাদের সকলের শঙ্কিত বোধ করার প্রয়োজন হবে কম।’ সমস্যাটা হচ্ছে এই যে, এই পরিবর্তন কিছুটা বিলম্বে ঘটেছেÑ বিলম্বটা হয়ত দশ বছরেরও বেশি। এটা ক্রমবর্ধমান আইএস হুমকির প্রতি অনেকটা আতঙ্কের প্রতিক্রিয়ার মতো মনে হয়। উপরন্তু যে আদর্শ থেকে চরমপন্থী গ্রুপগুলোর জন্ম সেই আদর্শের ওপর যতটা না তার চেয়ে ঐ গ্রুপগুলোকে পরাজিত করার বিষয়ের ওপরই বিতর্কটা কেন্দ্রীভূত। উপরন্তু ‘প্রকৃত’ ইসলাম কোন্টি সে ব্যাপারে মতৈক্য না হলে একথা বলা যথেষ্ট নয় যে চরমপন্থীরা যে ইসলামের কথা প্রচার করছে তা প্রকৃত ইসলামের বিকৃতিমাত্র। এটা কি সেই ইসলাম যা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকার করে এবং অন্যান্য ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে আপন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানায় কিংবা এই ইসলাম কি তার কার্যত হেফাজতকারী সৌদি আরবের শাসকদের অনুসৃত মতবাদ অস্বীকার করার জন্য কোন মুসলিমকে মৃত্যুদ- দেয়ার অনুমতি দেয়? জিহাদীদের কাছে মানদ- হিসেবে পরিগণিত ওয়াহাবী মতবাদ যা কিনা কঠোর এবং উগ্র সৌদি মতবাদ, সেটাই কি প্রকৃত ইসলামের প্রতিনিধিত্বকারী? নাকি দক্ষিণ এশিয়ার অনুসৃত অধিকতর নমনীয় চরিত্রের ইসলামই হলো প্রকৃত ইসলাম? কোন ধরনের ইসলাম অধিকতর বিশুদ্ধ তা কে নির্ধারণ করে? ইসলামী ও ইহুদী ধর্মের গবেষণার বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান বিশেষজ্ঞ গর্ডন ডি নিউবি বলেছেন, ইসলামের প্রবক্তা বা প্রতিনিধিত্বকারী কে?Ñ প্রায়শই উত্থাপিত এই প্রশ্নটি একটি স্থায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে থেকে যাচ্ছে। ইসলামের ভবিষ্যত নিয়ে যে কোন আলোচনায় অবশ্যই দুটো বিষয় থাকতে হবে। একটা হচ্ছে, অধিকতর সংখ্যায় মুসলমানরা আজ বহু সংস্কৃতির মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজে এবং প্রধানত পাশ্চাত্যে বসবাস করে তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত ধারণা আদি যুগের ইসলাম নির্ধারিত উপজাতীয় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ যা ইসলামের কায়েমি স্বার্থের ধারণ করা এখনও আঁকড়ে আছে তা থেকে একেবারেই আলাদা। দ্বিতীয়ত জাতি, সংস্কৃতি, লিঙ্গ ও ব্যক্তিগত জীবন ধারার দ্বারা পার্থক্য রচিত হয় না। এমন এক মনোলিথিক আন্তর্জাতিক উম্মার ধারণাটি একটি মিথ বা অতিকথা মাত্র। এ এক অনড় অপরিবর্তনীয় কিছু! পরিহাসের ব্যাপার হলো ইসলামের প্রবক্তা ও সমালোচক উভয়েই তাদের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রচার করে থাকে। দৃষ্টান্ত হিসেবে পাশ্চাত্যে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা মুসলিমদের কথাই ধরুন। অন্য মুসলিমদের কথা বাদ দিন নিজেদের বাবা-মায়ের প্রজন্মের সঙ্গেই ওদের মিল বলতে তেমন কিছু নেই। বাস্তব অবস্থা হলো, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের আমেরিকান ও ইউরোপীয় মুসলমানরা এমন অনেক তথাকথিত ‘ইসলামী’ অনুশাসন বা রীতিনীতি প্রত্যাখ্যান করে থাকে যেগুলো তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে এবং তাদের মুক্ত সমাজের প্রধান প্রধান মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খায় না। ইসলামকে তার বর্তমান আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসতে হলে প্রথম যে কাজটা করতে হবে তাহলো একের মধ্যেই সবাই ও সবকিছু খাপ খায় এমন ইসলামের ধারণা থেকে মুক্ত হওয়া। তুরস্কের সুপরিচিত লেখক ও প্রকাশক লেভেন্ট গুলতেকিন মনে করেন সমস্যাটা ইসলাম নয় বরং একবিংশ শতকের প্রেক্ষাপটে এই ধর্মটিকে অনুধাবন করতে আমাদের অপারগতা। পশ্চিম এশীয় ইসলামী বিষয়ের অনুরাগী ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডিয়া সাইট আল মনিটরের কাছে তিনি বলেন, ‘এ থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে না পারলে আমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনব।’ তিনি ইসলামের নির্ভেজাল ধর্মীয় নীতিমালা এবং সততা, ন্যায়বিচার, সাম্য ও স্বাধীনতার মতো ধর্মবিযুক্ত ধারণাগুলোর মধ্যে পার্থক্য টেনেছেন এবং বলেছেন, ধর্মবিযুক্ত ওই ধারণাগুলো সার্বজনীন, যা ইসলামসহ কার্যত সকল ধর্মের ভিত্তি। মুসলিম সমাজগুলোর সামনে যে পথটি রয়েছে তাহলো ধর্মনিরপেক্ষতাকে আলিঙ্গন করা, যাতে সমাজের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধর্মীয় বিষয়গুলো ক্রিয়াশীলতার অবসান হয়। তিনি বলেন, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে খ্রীস্টান ধর্মের বেলায় যা ঘটেছে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষেত্রে এখনও ভবিষ্যতে তাই ঘটবে।’ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিযোগিতা আমেরিকান মুসলিম বিশেষজ্ঞ আসমা আফসারউদ্দীন ইসলামের সঙ্কটকে মুসলমানদের নিজেদের ভেতরকার দ্বন্দ্বের পরিণতি হিসেবে দেখেন, যে দ্বন্দ্ব পরিচালিত হয়েছে সর্বস্ববাদী ও উদারপন্থীদের মধ্যে। তিনি বলেছেন, এই দ্বন্দ্বে উদারপন্থীরা হাল ছেড়ে দিয়েছে বলে যে ধারণা বিদ্যমান আসল ব্যাপারটা হলো তার বিপরীত। তারা অতিমাত্রায় লড়াই জারি রেখেছে। আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি তা আসলে আমাদের যুগের মুখ্য ইস্যুগুলোর প্রতি দুই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একটি হচ্ছে ‘অতীতকে আজ পাইকারিভাবে অনুকরণযোগ্য এক জমাট, নিথর ও অলীক কোন সত্তা হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা’ এবং অন্যটি হলো ‘স্থায়ী সার্বজনীন মূল্যবোধ এবং সম্ভাব্য কার্যক্রমের একটি সামষ্টিক রূপ প্রদান যা সমকালীন আকস্মিক পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হবে।’ অধ্যাপক আফসারউদ্দীন এক প্রবন্ধে লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের মধ্যে উদারপন্থী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির জয়যুক্ত হওয়ার ওপরই নির্ভর করছে একবিংশ শতাব্দীর ধর্ম হিসেবে ইসলামের ভবিষ্যত। তিনি এই আশাবাদী ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্য দিয়ে উপসংহার টেনেছেন যে ‘উদার দৃষ্টিভঙ্গির জয় হবেই। কারণ এটাই ইতিহাসগতভাবে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য এবং নৈতিক দিক দিয়ে আকর্ষণীয় বিকল্প।’ কেউ কেউ প্রশ্ন তুলবেন, ‘নতুন’ ইসলাম আদৌ ইসলাম হবে কিনা। পুরনো কমিউনিস্টরা যারা ইউরোপের নব্য বামপন্থীদের প্রচলিত মতের বিরোধী হিসেবে ধিক্কার জানিয়েছিলেন। তাদের মতো এরাও ইসলামের এই রূপটিকে প্রহসন বলে নাকচ করে দেবেন। যুক্তি দেবে এই বলে যে, ইসলাম অপরিবর্তনীয়। কিন্তু সেটা একটা সাঁকো যার সামনাসামনি হওয়া মাত্র আমরা তা পাড়ি দিতে পারব? আপাতত প্রশ্নটি হলো : আমরা কি আদৌ সেই সাঁকোর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারছি? সূত্র : দি হিন্দু [হাসান সুরুর ‘ইন্ডিয়াস মুসলিম স্প্রিং : হোয়াই ইজ নো বডি টকিং এবাউট ইট?’ গ্রন্থের লেখক]
×