ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৭ মার্চ ২০১৫

ঝলক

মানুষের মলে সোনা-রুপা আগে জানলে কি কেউ প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সোনা-রুপার মতো মূল্যবান ধাতু কমোডে ফ্লাশ করে! কারণ, বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের মলে থাকতে পারে বহু মূল্যবান সোনা-রুপা এমনকি প্লাটিনামও। হ্যাঁ, বিষয়টি অস্বস্তিকর হলেও এমনই দাবি করছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, আমাদের নিত্যদিনের খাবারেও ধাতুর উপস্থিতি থাকে। তাই মানুষের মলেও এসব ধাতু থেকে যায়; যা মলত্যাগের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। সংস্থাটির বিজ্ঞানী ক্যাথলিন স্মিথ বলেন, মানুষের মলের কয়েকটি নমুনায় সোনা-রুপার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শুধু মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভেই নয়, চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক জার্নালেও প্রকাশ করা হয় মজার এই তথ্য। তাতে দেখা গেছে, প্রতিবছর ১০ লাখ মার্কিন নাগরিক যে মল ত্যাগ করে তার ভেতর সোনা, রুপা, টিটেনিয়াম, সীসা ও দস্তার উপস্থিতি রয়েছে; যা উদ্ধার করা গেলে এর আর্থিক মূল্য দাঁড়াবে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। রান্নার তেলে উড়ল বিমান রান্নার পর বেঁচে যাওয়া ভোজ্যতেল দিয়ে কী করা হয় চীনে? পরদিন আবার ব্যবহারের জন্য রাখা হয়, নাকি বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া হয়? উত্তর শুনে বিস্ময় জাগবে! এই তেল দিয়ে সেখানে ওড়ানো হচ্ছে বিমান! এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে চীনের একটি বেসরকারী বিমান পরিবহন সংস্থা। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে সংগ্রহ করা রান্নার তেলে তৈরি জৈব জ্বালানি দিয়ে বাণিজ্যিক বিমান উড়িয়েছে তারা। সাংহাই থেকে বেজিং পর্যন্ত সফলভাবে ভোজ্যতেলে বিমান উড়িয়েছে চীনের হাইনান এয়ারলাইন্স। বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনে বিষয়টিকে মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। হাইনান এয়ারলাইন্সের ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি সাংহাই থেকে যাত্রা শুরু করে ১০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে। ওই উড়োজাহাজে বিমানের জন্য নির্ধারিত জ্বালানি তেলের (জেট অয়েল) পাশাপাশি ভোজ্যতেলও ব্যবহার করা হয়। বিমানটির দুটি ইঞ্জিন চালানো হয় জেট অয়েল ও ভোজ্যতেল দিয়ে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি চালাতে অর্ধেক জেট অয়েল এবং অর্ধেক ভোজ্যতেল ব্যবহার করা হয়। নিরাপদে এবং সফলভাবেই গন্তব্য বেজিং পর্যন্ত ওড়ে বিমানটি। মদ খেয়ে বেহুঁশ ছাগল কথায় আছে - পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়! এরই নমুনা পাওয়া গেল ভারতের আহমেদাবাদে। ভাঙ্গা বোতলের মদ পান করে বেহুঁশ হলো একপাল ছাগল। সম্প্রতি ভারতের আহমেদাবাদের মোহসেনা জেলার খেরালু গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। খেরালু গ্রামে অবৈধ মদের দোকান রয়েছে এমন অভিযোগে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় মদের দোকান। এ সময় বেশ কিছু মদের বোতলও ভেঙ্গে ফেলা হয়। ভেঙ্গে ফেলা বোতল থেকে মদ খায় একপাল ছাগল। এর পরই ছাগলগুলো বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকে। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসএইচ বাওয়া জানান, ওই মদের দোকানটি ভাঙ্গার সময় মদের বোতলগুলো রোড রোলার দিয়ে ভেঙ্গে-গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ই মদ ছাগলের খামারে গড়িয়ে যেতে পারে। ছাগলের খামারের মালিক পাটনি জানান, প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা পরে জ্ঞান ফিরে আসে ছাগলগুলোর। আর নেশা কাটাতে ওগুলোকে মাখন-দুধও খাইয়েছেন বলে জানান তিনি। বই খুলে পরীক্ষা ক্ষমতায় এলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বই খুলে লিখতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। বলেছেন, বই খুলে পরীক্ষা দিতে দিলেই নকল নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যদি বিহারে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে পরীক্ষার্থীদের বই খুলে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করব। যারা বই পড়বে, শুধু তারাই বই দেখে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।’ লালু প্রসাদ যাদব বিহার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার বলছে তারা নকল রোধ করতে পারবে না। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন, আমি সব পরীক্ষার্থীর হাতে বই দিয়ে বলেছিলাম, এখান থেকে দেখে দেখে লেখ। আপনি কি ভাবেন, তারা তা পারবে? তারা লেখা শুরু করে এবং তিন ঘণ্টা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ফল ঘোষণার সময় দেখা যায়, অধিকাংশই ফেল করেছে। এভাবেই নকল বন্ধ করা সম্ভব।’
×