ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা স্তম্ভে নারী-পুরুষের ঢল

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৭ মার্চ ২০১৫

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যথাযোগ্য মর্যাদা ও শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সারাদেশে নানা কর্মসূচী আয়োজনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস। সারাদেশের প্রতিটি শহর, উপশহর, এমনকি গ্রামীণ জনপদেও ছিল সাড়ম্বর আয়োজন। শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের নারী-পুরুষ শিশু। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আয়োজন করে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। মঞ্চস্থ করে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত নাটক। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর চট্টগ্রাম অফিস বুধবার রাত ১২টা ০১ মিনিটে শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পুলিশের একটি চৌকস দলের গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে শহীদ মিনারে ফুল দেন সিটি মেয়র এম মনজুর আলম, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদ, সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল ম-ল, পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক একেএম হাফিজ আকতার। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ প্রশাসক এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও নেতৃবৃন্দ। শহীদ মিনারে সাক্ষাত ঘটে বর্তমান সিটি মেয়র ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে। রংপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিটি করপোরেশনের মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। একই সময়ে রংপুরের প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতা স্মারক অর্জন এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য দফতরসমূহ। এছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দিবসটি পালিত হয়। রাজশাহী দিবসের প্রথম প্রহরে নগরীর ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। সূর্যোদয়ের পরপর রাজশাহী পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। সকাল জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হেলালুদ্দিন আহমদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে নগরীর উপহার সিনেমা হলে বিনা টিকিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক একাদশ বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ এবং সাড়ে ৪টায় মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রাবি ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় বিভিন্ন আবাসিক হল, ইনস্টিটিউট, বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি, অন্যান্য পেশাজীবী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিক সংগঠন প্রভাত ফেরি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হকসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কুড়িগ্রাম স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোঃ তবারক উল্লা। পরে পর্যায়ক্রমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, টিআইবিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাঙ্গামাটি সকালে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ পুলিশ সুপার, রাঙ্গামাটি পৌর সভা, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংগ সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। শহীদ মিনার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানিয়াচরে বুড়িঘাটস্থ বীরশ্রেষ্ঠ আবদুর রউফের মাজারে ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। মেহেরপুর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কলেজ মোড়ের স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন দোদুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিয়াজান আলী, পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সকালে স্টেডিয়াম মাঠে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার, বয়স্কাউট, গার্লস গাইড, কাব এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চায় অংশ নেয়। ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন নদীরতীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ অপরাজেয় ’৭১-এর পাদদেশে বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি ও রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। এ সময় জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ উপস্থিত ছিলেন। এরপর একে একে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাব, উদীচীসহ সরকারী, বেসরকারী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। ঝিনাইদহ ॥ বৃহস্পবিার সকালে ঝিনাইদহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগরে নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, সাধারণ সম্পাদক পৌরসভা মেয়র হাজী সাইদুল করিম মিন্টুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পুলিশ সুপার বশীর আহমেদ পিপিএম এবং আওয়ামী লীগ, জাসদ, সিপিবি, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সৃংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ । রাজবাড়ী সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যন্যের মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বক্তব্য রাখেন। পাবনা ভোরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় শহীদ স্মরণে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। ময়মনসিংহ আয়োজনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ও পুলিশ সুপার মঈনুল হক। এ সময় এই আয়োজনে যোগ দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ময়মনসিংহ শহর ও এর আশপাশের ১০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু কিশোররা এ সময় শারীরিক কসরত প্রদর্শনসহ নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পারফরমেন্স মেলে ধরে। কিশোরগঞ্জ কর্শাকড়িয়াইল বড়ইতলায় ও গুরুদয়াল সরকারী কলেজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করে। সকালে পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে জেলা প্রশাসক এস.এম আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। ভোলা সকাল ৮টায় ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় পুলিশ, আনছারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অপর দিকে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোলা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। ফরিদপুর সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতি বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, পুলিশ সুপারসহ সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ। গোপালগঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান। এ সময় পুলিশ মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চুসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে ’৭১-এর বধ্যভূমি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে (জয় বাংলা পুকুর পাড়) ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ সভা ও মিলাদ-মাহফিল। সংবর্ধনা দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের। বাকৃবি সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, শিক্ষক ফোরাম, সোনালী দল, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবসিক হলের প্রভোষ্ট, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিরাজগঞ্জ সকালে শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত। জেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করে। জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণসহ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে। ইবি সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকারের নেতৃত্বে র‌্যালি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্মৃতিসৌধের পাদদেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, আবাসিক হল, বিভাগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। মাদারীপুর মাদারীপুরে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও লেকেরপাড় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জেলা পরিষদ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, প্রেসক্লাব, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বাঙালীর আত্মত্যাগ ও অহঙ্কার ৪৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বগুড়া সকালে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লের পর জেলা পরিষদ চত্বরে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রেসক্লাব, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়। সকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর আলোচনা সভা হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শূটিং প্রতিযোগিতা, সিনেমা হল ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ। পরে নিয়াজ স্টেডিয়াম মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা প্রদর্শন করে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগুরা সকালে নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মুহা: মাহবুবর রহমান ও পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির। একই স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। গাইবান্ধা আসাদুজ্জামান হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল ইসলাম জুবেল, মোজাম্মেল হক ম-ল, ফজলুর রহমান রাজা, গৌতম চন্দ্র মোদক, মামুদুল হক শাহজাদা, শাহ শরীফুল ইসলাম ববলু, আলী আকবর, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। নীলফামারী সকাল ৯টায় নীলফামারী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন ও পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়েছে একই স্থানে। কুচকাওয়াজে শেষে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিসপে প্রদর্শন করে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানাসহ ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। খুলনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কেডিএ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। নাটোর শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। জেলা আওয়ামী লীগ শহরের কান্দিভিটায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। পটুয়াখালী সার্কিট হাউস থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মতিসৌধে এসে শেষ হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক শহীদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর মেয়র এবং জেলা বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ স্কুল, কলেজ, এনজিও প্রতিনিধিরা শহীদের স্মৃতিতে ফুল দেয়। মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন ডিসি মোঃ সাইফুল হাসান বাদল ও এসপি বিপ্লব বিজয় তালুকদার। পরে ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া, সাঁতার প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, দেয়ালিকা ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন, স্বাস্থ্য ক্যাম্প, বভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। এ সব অনুষ্ঠানে অংশ নেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ মোঃ মহিউদ্দিন, অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপি, এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান প্রমুখ। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৯টায় স্থানীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হক। সম্মিলিত কুচকাওয়াজে শিশু-কিশোরদের অভিবাদন গ্রহণ করেন, পুলিশ সুপার মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান খান। নওগাঁ স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বক্তব্য রাখেনÑ বাগেরহাটের জেলা প্রসাশক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, হেপী বড়াল এমপি, জেলা পরিষদের প্রসাশক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক মোল্যা প্রমুখ। যশোর সকালে শহরের মণিহার এলাকায় বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার, জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির, সরকারী এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নমিতা রাণী বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোট, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিনাজপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে ডিসি অফিস চত্বরে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী, পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, সিপিবি, ১৪ দল, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএমএ, শিক্ষা বোর্ড, মেডিক্যাল কলেজ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড় দুপুরে পঞ্চগড় পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মির্জা আবুল কালাম দুলাল ও সাবেক কমান্ডার এসএম লিয়াকত আলী। নেত্রকোনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, উদীচী, শিল্পকলা একাডেমি, মহিলা পরিষদ, স্বাবলম্বীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও শিশু সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান স্থানীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। নারায়ণগঞ্জ সকালে শহরের চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জয়পুরহাট সকাল ১১টায় শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে শিশু একাডেমির আয়োজনে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
×