ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল কাল

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ‘চোকার্স’ সাউথ আফ্রিকার বিদায়

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৫ মার্চ ২০১৫

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ‘চোকার্স’ সাউথ আফ্রিকার বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কথায় বলে, ‘লাকি সেভেন’। নিউজিল্যান্ড যেন সেই লাকি দল, ভাগ্যবান দল। এর আগে ৬ বার সেমিফাইনালে খেলে একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি। এবার সপ্তমবার সেমিফাইনালে খেলেই ফাইনালের টিকেট পেয়ে গেল কিউইরা। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটে হারিয়েই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। এবার বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবেও ফাইনালে উঠল। আবারও ‘চোকার্স’ পদবীর সদ্ব্যবহারই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিল বিদায় । ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জিততে আবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করেই জয় তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটিতে অবশ্য যতটানা কিউইরা জিতল, মনে হলো প্রোটিয়ারাই জিতিয়ে দিল। একের পর এক রানআউট মিস, ক্যাচ মিস হলে কী আর ম্যাচ জেতা যায়! কাল ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচটি সিডনিতে হবে। যে দল জিতবে রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ তবে তারাই। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে হয় ম্যাচটি। যেহেতু স্বাগতিক দল, আবার নিজের পরিচিত মাঠে খেলা; নিউজিল্যান্ডই ফেবারিট ছিল। কিন্তু টস জিতে যখন ডুপ্লেসিসের ৮২, ভিলিয়ার্সের অপরাজিত ৬৫ ও মিলারের ৪৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান করল, আবার বৃষ্টি আসায় আইনের মারপ্যাঁচে আরও ১৬ রান স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয়ে গেল; তখন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই ম্যাচটি হেলে পড়ল। বরাবরই বৃষ্টি আইন দক্ষিই আফ্রিকার বিপক্ষে গেছে। কিন্তু এবার পক্ষে তাতেও প্রোটিয়ারা কিছুই করতে পারল না। নিজেদের দোষেই হারল। ৪৩ ওভারে ২৯৮ রান করতে হবে। জিততে হলে রেকর্ডই গড়তে হবে নিউজিল্যান্ডকে। নিজ মাটিতে খেলা বলে একটু ভরসাও যেন ছিল। শুরু থেকেই তাই ‘ছোট্ট’ মাঠে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং শুরু ম্যাককুলাম ও গাপটিলের। যেই ৭১ রানে ম্যাককুলাম (২৬ বলে ৫৯) আউট হলেন সঙ্গে সঙ্গে ১৪৯ রানে নিউজিল্যান্ডের চার উইকেটের পতন ঘটল। কিউইরা বিপাকেও পড়ল। কিন্তু এরপর যে পঞ্চম উইকেটে এ্যান্ডারসন-ইলিয়ট মিলে ১০৩ রানের জুটি গড়ে ফেললেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা চাপ নিতে না পেরে ছন্নছাড়া ফিল্ডিং শুরু করল, তাতেই ধরা দিল নিউজিল্যান্ডের জয়। খেলা এতটাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে যে শেষ ওভারে জিততে ১২ রান প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এক বাই ও একটি রান নেয়ার সুবাদে ৪ বলে জিততে ১০ রানের দরকার তখন। এমন সময় ভেট্টরি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেন। স্টেইনের বলে এ বাউন্ডারি মেরেই ৩ বলে ৬ রান দরকার পড়ে যায়। চতুর্থ বলে আরেকটি বাই হয়। তখন ২ বলে ৫ রানের প্রয়োজন। শেষ ২ বলেই কোন দল ফাইনালে যাবে, তা নির্ধারণ হবে। এরই মধ্যে পঞ্চম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন ইলিয়ট। ১ বল থাকতেই ৬ উইকেটে ২৯৯ রান করে ম্যাচ জিতে গেল নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো ফাইনালেও উঠে গেল কিউইরা। ইলিয়ট অপরাজিত ৮৪ রান করে ম্যাচ সেরাও হলেন। এ্যান্ডারসনের ব্যাট থেকে এলো ৫৮ রান। বিদায় নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
×