ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাহজাহান মিয়া

বাংলাদেশ হারেনি হেরেছে ক্রিকেট

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশ হারেনি হেরেছে ক্রিকেট

কে বলেছে বাংলাদেশ হেরেছে? হেরে কুপোকাত হয়েছে ক্রিকেটের মহাশক্তিধর দেশ ভারত। সন্দেহ নেই, গত ১৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের ফলাফলে ভারতের জয়ের কথাই লিপিবদ্ধ থাকবে। কিন্তু বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ তাদের মনের গভীরে বাংলাদেশকেই প্রকৃত বিজয়ী বলে ধারণ করেছে। মাঠে অবস্থানকারী দুই আম্পায়ার পাকিস্তানের আলিম দার ও ব্রিটেনের ইয়ান গোল্ডের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেয়া তিন তিনটি সিদ্ধান্ত ও রিভিউ আম্পায়ার অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ডেভিসের সন্দেহজনক নির্লিপ্ততা গভীর ষড়যন্ত্রেরই বহির্প্রকাশ। তাই নির্দ্বিধায়ই বলা যায়, হেরেও জিতেছে বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জোর করে হারানো হয়েছে বাংলাদেশকে। তাই কথাটি দৃঢ়ভাবে বলা যায়, নানা ভ-ামির আশ্রয় নিয়ে জিতেও এলে হেরেছে ভারত। হেরেছে ক্রিকেট। হেরেছে ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত বিশ্ব ক্রিকেট। জয়-পরাজয় খেলারই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর আগেও আমাদের দেশ অনেকবার পরাজিত হয়েছে। কিন্তু ১৯ মার্চের জবরদস্তি করে ঘটানো পরাজয়টি জয়ের চেয়েও বড়। টাইগার বলে পরিচিত বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের পেশাদারিত্বের চেতনা লক্ষ্য করেছে সারাবিশ্ব। মাঠে ঘটা বিষয়গুলো সারাবিশ্বের মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়েছে। কিন্তু মাঠের বাইরে পর্দার অন্তরালে যা ঘটেছে তা তো কারও দৃষ্টিগোচর হয়নি। তবে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের অন্তর্দৃষ্টির পর্দায় তা পরিষ্কারভাবেই ভেসে উঠেছে। পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটিতে যে প্রহসন মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে তাতে সারাবিশ্বেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের প্রবল প্রতিপত্তিশালী ভারতের প্রতি আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব হরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশের গৌরবময় বিজয়কে। ক্রিকেট খেলায় ভারত বেশ শক্তিশালী দেশ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা হয়ত জয় পেতেই পারত। তবে কি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের এশিয়া কাপে তারা বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছিল বলে তাদের মনে কি পরাজয়ের ভয় ঢুকে গিয়েছিল? আর সে কারণেই কি প্রতিবেশী দেশটিকে হারানোর জন্য এত ষড়যন্ত্রের আয়োজন? তাই হয়ত ক্রিকেটবোদ্ধারা বলছেন, ভারতের জয় শতভাগ নিশ্চিত করতেই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মাঠ মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে ষড়যন্ত্রের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। তা না হলে ম্যাচ পরিচালনার নামে একটা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের এত ন্যক্কারজনক কুৎসিত খেলা! আম্পায়ারদের একমাত্র টার্গেট ছিল যেভাবেই হোক ভারতকে জেতাতে হবে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রথম ১৫ ওভারে ৭০ রান করে। এরপর শিখর ধাওয়ান সাকিবের বলে স্টাম্প ও ভারতের বিরাট ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি রুবেলের কাছে উইকেট হারালে ওদের রান দাঁড়ায় দুই উইকেট হারিয়ে ৭৯। রুবেল বল করতে এসে টানা ছয় ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে এক উইকেট তাঁর ঝুলিতে তোলেন। বিশ্বখ্যাত ও নন্দিত ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা সঙ্গে সঙ্গেই বলেছিলেন, ‘এটাই বাংলাদেশের শক্তি, এই স্পিরিট ধরে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশ সেভাবেই এগোচ্ছিল। অপরদিকে উইকেটে রোহিত ও রায়না কিছুটা গুটিয়েই ছিলেন। মাশরাফির করা ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রায়না এলবিডব্লিউ হয়ে গেলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম হতে পারত। রায়নার বিপক্ষে পরিষ্কার এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তটি দিলেন না ব্রিটিশ গোল্ড। মাশরাফি রিভিউ নিলেও নিয়মের মারপ্যাঁচে রায় চলে যায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাশরাফির বলটি পুরোপুরি লেগ স্টাম্পের লাইনে না থাকায় বেঁচে যায় রায়না, অথচ এ অবস্থায় আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড সাড়া দিয়ে রায়নাকে আউট দিতে পারতেন। না, তিনি তা করেননি। করতে পারেন না। তাহলে তো তাঁদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। তাই ব্রিটিশ সাহেবের আঙ্গুল ওঠেনি। আর এটা যে আম্পায়ারদের শয়তানির সূচনা মাত্র তা তো বোঝার কোন উপায় ছিল না। ১৯৯৬ সালে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা আয়োজিত ওয়ার্ল্ড কাপের কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এক বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে আমি কভার করেছি। এছাড়া, ১৯৭২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশে এবং বিদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ আমি কভার করেছি। এটা এদেশের সিনিয়র সাংবাদিক ও সিনিয়র ক্রিকেটার এবং খেলোয়াড়রা ভাল করেই জানেন। এ বছর বই মেলায় ‘স্পোর্টস লিজেন্ডস ইন মাই আইজ’ নামে আমার লেখা একটি বই বেরিয়েছে। বইটিতে দেশ-বিদেশের ৩২ জন কিংবদন্তি ক্রিকেটার-ফুটবলার-এ্যাথলেট সম্পর্কে ফিচার এবং বেইজিং এশিয়ান গেমস, ইসলামাবাদ ও মাদ্রাজ সাফ গেমসসহ দেশে-বিদেশে আমার কভার করা বিভিন্ন স্পোর্টস টুর্নামেন্ট ও ইভেন্টের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ক্রিকেট খেলাটা আমি ভাল করেই বুঝি। তাই আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই যে, পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দুটি মারাত্মক প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত। রোহিত শর্মার ১৩৭ রানের ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ৯০ রানের মাথায়ই। কিন্তু আম্পায়ারদের বদান্যতা বা বদামিতে তা থেকে বেঁচে যান রোহিত। ইনিংসের ৪০তম ওভারে রুবেলের বল তুলে মেরেই তার বুঝতে বাকি থাকেনি বলটি সোজা যাচ্ছে ডিপ মিডউইকেটে থাকা ফিল্ডারের হাতে। অমনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানটি একজন অভিজ্ঞ অভিনেতার মতো অঙ্গভঙ্গি শুরু করল যে, বলটি ওপরে ছিল বলে তা তার মারতে নিদারুণ কষ্ট হয়েছে। অবশ্য ইমরুল কায়েস সুন্দর করে ক্যাচটি লুফে নিয়েছিল। রুবেলের বলটি ছিল ফুলটস। অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে বলটি কোমরের ওপরে ছিল বলে লেগ আম্পায়ার পাকিস্তানী আলিম দার বোলিং প্রান্তে থাকা ইয়ান গোল্ডকে সংকেত দেন। বলটি আসলেই কোমরের ওপরের উচ্চতায় ছিল কিনা তা যাচাই না করে রোহিত শর্মাকে আউট করা বলটিকে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ইয়ান গোল্ড ‘নো বল’ ডেকে বসেন। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে বলটি রোহিতের কোমরের নিচেই ছিল। বৈধ ‘বল’-এ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একটি মূল্যবান উইকেট থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। ভারত প্রথম ২৫ ওভারে করতে পেরেছিল মাত্র ৯৯ রান। সেই ভারতই শেষ ২৫ ওভারে করে ফেলে ২০৩ রান! কারণ আম্পায়ারদের উপর্যুপরি কারসাজিতে আমাদের ফিল্ডাররাও একটু হতাশ হয়ে পড়েছিল। অনেকেই বলছেন, আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে নিজের নামটি অটুট রাখতে ক্রিকেট বিশ্বে পরাক্রমশালী ভারতকে খুশি করার জন্য ইয়ান গোল্ডের এটা ছিল একটা নির্লজ্জ প্রয়াস। আর পাকিস্তানী আলিম দারের বেলায় বিষয়টি হতে পারে বাঙালীর স্বাধীনতার মাসে তাদের ওপর একহাত নেয়া। ভারতের ৩০২ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে আসার পর সৌম্য সরকারেকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করছিলেন আগের দু’ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ উইকেটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ২১ রানের মাথায় আরেকটি উদ্ভট সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফিরে আসতে হয় মাহমুদুল্লাহকে। শামির বলে ক্যাচ নেয়ার সময় বাউন্ডারি লাইন ছুঁয়ে গিয়েছিল শিখর ধাওয়ানের পা। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে ধাওয়ানের হাতে যখন বল ঠিক তখনি তার পা স্পর্শ করে ফেলেছে বাউন্ডারি লাইন। অর্থাৎ মাহমুদুল্লাহর মারে ছক্কা হওয়ার বদলে তিনি হলেন আউট। ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান যখন দলের হাল ধরে রানের চাকা ঘোরাতে শুরু করেছিলেন তখনই বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো ঘটনাটি ঘটানো হলো। আরেক দফা বিস্ময়ের পাল উড়িয়ে দিয়ে মাহমুদুল্লাহর ছক্কাকে আউট বানিয়ে দিলেন নির্লজ্জ বেহায়া আম্পায়াররা। ক্যাচ ধরেই উল্লাস শুরু করেছিলেন ইমরুল কায়েস। উল্লাসে যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। ধারাভাষ্যকাররাও চিৎকার করে বলেছিলেনÑ খেলার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ দল। সব উল্লাস উবে গেল আম্পায়ারের ‘নো বল’ কলে। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে ‘নো বল’ কলের দিকে চেয়ে থাকলেন রুবেল। অবাক হয়ে ভাষ্যকার শেন ওয়ার্ন বললেন, ‘এটা অসম্ভব।’ হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল গোটা ক্রিকেটবিশ্বই। গত ১৯ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে রোহিত শর্মাকে করা বলটাকে ‘নো বল’ ঘোষণা করে পুরো বিশ্বই আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। উপরন্তু মাহমুদুল্লাহর ছক্কাকে আউট বানিয়ে দিয়ে আম্পায়াররা বজ্রাহত করেছেন বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বকে। বিষয়টি নিয়ে তাই দেশের মানুষ ফেসবুক, টুইটার ও ক্রিকেটের ওপর আলোচনায় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত এতটাই নির্মম হয়েছে যে, বিষয়টি সম্পর্কে ভারতের মিডিয়া, সাধারণ মানুষ এবং ক্রিকেট অনুরাগীসহ ক্রীড়ামোদীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, জি নিউজ, দ্য হিন্দুসহ ছোট-বড় অনেক মিডিয়া রোহিতের শতরান উদ্যাপন করার মতো নয় বলে স্বীকার করেছে। সবাই বলেছে এই শতরান এসেছে আম্পায়ারের ভুলে। আর সে ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আউট হওয়ার পর রোহিত যে বাড়তি রান করেছে সেই রানগুলোই বাংলাদেশের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল বলে মন্তব্য করা হয় ঐসব প্রতিবেদনে। ভারতের ‘ওয়ান ইন্ডিয়া’ নামক একটি নিউজ পোর্টালে বলা হয়, আম্পায়ার অত কাছে থেকে যে বলটিকে ‘নো বল’ বানিয়ে রোহিতকে বাঁচিয়ে দিলেন, গ্যালারি থেকেও পরিষ্কার বোঝা গেছে যে, বলটা রোহিতের উরুতে আঘাত হানত। কোমরের ওপরে নয়। অপরদিকে, ইন্ডিয়া ডটকম লিখেছে, আম্পায়ার আলিম দারের ভয়ঙ্কর বাজে আম্পায়ারিং বাংলাদেশের দর্শকদের চরম ক্ষুব্ধ করেছে। রুবেলের একটা নিশ্চিত উইকেট কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নেয়ার অভিযোগ এড়াতে পারছেন না তিনি। নকআউট স্টেজের মতো জীবন-মরণ ম্যাচে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আম্পায়াররা একে অপরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিয়ে থাকেন। সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে থার্ড আম্পায়ারের কাছে রেফার করেন। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার ঐদিন যা করেছেন তাতে ক্রিকেটের শুভাকাক্সক্ষী যে কাউকে বেদনাহত করবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নেয়া দু’টি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইসিসির আগামী সভায় আনুষ্ঠানিকভাব অভিযোগ করবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপিও বলেছেন, পরবর্তী আইসিসি সভায় বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব আনবেন। পরিকল্পনামন্ত্রী ও আইসিসি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘খেলা দেখে মনে হয়েছে, খুব বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে। মনে হচ্ছিল কেউ বুঝি সব ঠিকঠাক করে নেমেছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘অভিযোগগুলো আলোচ্য বিষয় হিসেবে আইসিসি গ্রহণ না করলে তিনি পদত্যাগ করার কথাও ভাববেন।’ ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষণ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত স্পিনার শেন ওয়ার্ন আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করেছেন। সবাইকে ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক কিংবদন্তি রিকি পন্টিং বলেন, ‘যেভাবে আমরা ভুল সিদ্ধান্ত দেখলাম তা অভাবনীয়। এমনটা মেনে নেয়া খুবই কঠিন। এসব বাজে সিদ্ধান্তের কারণেই আজ হারল বাংলাদেশ। পুরো আসরে দলটি দুর্দান্ত খেলেছে। আমার মনে হয় আবারও এ ম্যাচটি হলে ভারতই হারবে।’ তাই বলতে হয়, শাবাশ বাংলাদেশ। হেরেও তোমরা জিতে গেছ। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
×