ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেউ থামাতে পারবে না ॥ ভিলিয়ার্স

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৪ মার্চ ২০১৫

কেউ থামাতে পারবে না ॥ ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকার গায়ে সেঁটে আছে ‘চোকার্স’ অপবাদ। তবে সেটা অনেকখানিই সত্য। কারণ এখন পর্যন্ত ওয়ানডে বা টি২০ কোন বিশ্বকাপেরই নকআউট পর্বে জিততে পারেনি তারা। কিন্তু এবার বিশ্বকাপ সম্ভবত প্রোটিয়াদের জন্য ভিন্নরকম কথাই বলছে। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে নাস্তানাবুদ করে সেমিফাইনালে উঠেছে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফলটাই যেন আরও বেশি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নকআউট ম্যাচগুলোয় অতীত ইতিহাসে শুধু পরাজয় লিখা ছিল। প্রথম জয়ের মুখ দেখার পর এখন বেশ আত্মবিশ্বাসী তারা। সে কারণেই স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ আত্মপ্রত্যয়ী দলের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি জোরগলায় দাবি করেছেন কেউ থামাতে পারবে না এবার দক্ষিণ আফ্রিকার অগ্রযাত্রা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সোমবার এ মন্তব্য করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ১৯৯২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ মঞ্চে এসেই চমক দেখায় প্রোটিয়া শিবির সেমিফাইনালে উঠে। এরপর ১৯৯৯ ও ২০০৭ বিশ্বকাপেও হট ফেবারিট তকমা থাকার পরও সেমি থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। এবার আরেকটি সেমিফাইনাল তাদের সামনে। প্রতিপক্ষ আয়োজক ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এ কারণেই এবার ফাইনাল নামের অজানা একটি অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়া শিবির। কারণ নিউজিল্যান্ডের দুঃখটা আরও বেশি। এর আগে সর্বাধিক ৬ বার সেমি খেলেও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। তাই কিউইরা প্রতিপক্ষ হওয়াতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ফাইনাল নামের অচেনা জায়গায় পৌঁছতে আত্মবিশ্বাসী দলের সবাই। মেলবোর্নে ফাইনাল খেলতে আত্মবিশ্বাসী ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস আছে এবার। পেছনের ম্যাচগুলোই এ আত্মবিশ্বাসের কারণ। আমি অনুভব করছি দল এখন ভাল একটি সময়ে দারুণ এক গতিতে আছে। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট কারণ আছে। আমরা যদি আমাদের পূর্ণ সামর্থ্য অনুসারে খেলতে পারি সেক্ষেত্রে আমাদের আটকানোর কেউ নেই। আমাদের থামাতে পারবে না কেউ।’ গত বছর অক্টোবরেই নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মের শুরুটা দারুণ কাটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ওই সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে কিউইদের কাছে। ১৩৪ রানের পরাজয় বরণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে আগের ৬ বার মোকাবেলায় নিউজিল্যান্ড এগিয়ে আছে ৪-২ ব্যবধানে। সর্বশেষ তিনবারের বিশ্বকাপ সাক্ষাতে একবারও জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু অতীতের দিকে কোন মনোযোগই দিচ্ছেন না ভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতের ওপর খুব বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপগুলোয় কখনও খুব বেশি ভাল করতে পারেনি। আমি এই আবেগী বিষয়টার সঙ্গে লড়াই করে, এটাকে গ্রহণ করে নিজেও সেটার মধ্য দিয়ে গেছি। কিন্তু আবারও লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সে কারণে সত্যি কথা হচ্ছে এখন নিজে আর আমি সেসব নিয়ে কোন চিন্তাই করছি না। আমি জানি যদি আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারি সেক্ষেত্রে আমরাই এগিয়ে থাকব। ক্রিকেট দল হিসেবে আমাদের সেই সামর্থ্য দেখানোর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে।’ অকল্যান্ডের এডেন পার্কে গ্রুপপর্বে একটি ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লো-স্কোরিং ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর হেরে গিয়েছিল তারা। তবে সেই অভিজ্ঞতাই এখন সেমিতে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন ভিলিয়ার্স। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ২৩০ রানের কিছু বেশি এখানে করলে সেটা তাড়া করে জেতা সম্ভব হবে। আর এই ছোট কিন্তু বাজে বিষয়টা জেনেই সেমি খেলতে নামা খুব খারাপ না বলেই মনে হচ্ছে। যদি দ্রুতই কিছু উইকেট খুঁইয়ে বসতে হয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় না সেটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু থাকবে। সবসময়ই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কোনভাবেই পেছনে কী ঘটেছে- সেদিকে মনোযোগ দেয়া যাবে না।’
×