ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে যুবক খুন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৪ মার্চ ২০১৫

রাজধানীতে যুবক খুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দারুস সালামে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটিতে এনজিও অফিসে অগ্নিকা-ের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছে। সোমবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের হরিরামপুর এলাকায় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে দিপু আহম্মেদ (২৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। নিহতের বাবার নাম আব্দুল হক শিকদার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে দারুস সালাম থানাধীন লালকুঠির ১৭৯/১ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। নিহত দিপুর ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাতে এলাকার বখাটে রানা ও তার সহযোগীরা তার ভাইকে লালকুঠির বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রানা ও তার সহযোগীরা দিপুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও পিটিয়েছে। খবর পেয়ে দিপুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সোমবার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিপুর মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম আরও জানান, ৩-৪ মাস আগে দারুস সালাম লালকুঠি এলাকার রানা, তার (রানার) স্ত্রী ও ছেলে শান্তর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাই দিপুর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভাই দিপুর সঙ্গে তাদের মারপিটের ঘটনাও ঘটে। ভাই দিপুকে মারার পর ওই সময় উল্টো রানা তার (দিপুর) বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় দিপু এক মাস জেলহাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গত বুধবার (১৮ মার্চ) দিপু মুক্তি পান। এই সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই রানাসহ তার সহযোগীরা দিপুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত রফিকুল ইসলাম জানান, থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দিপুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ফতুল্লায় এনজিও অফিসে অগ্নিকা-ে আরও একজনের মৃত্যু ॥ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটিতে এনজিও অফিসে অগ্নিকা-ে মিজানুর রহমান (২৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই অগ্নিকা-ের ঘটনায় মারাত্মক দগ্ধ ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানান, মিজানুর রহমানের শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান। নিহতের বাবার নাম তাজুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার বাহাদুরপুর গ্রামে। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকার সোসাইটি ফর স্যোশাল সার্ভিস নামে একটি এনজিও অফিসে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। এ সময় অফিসের কর্মকর্তা ও বিদ্যুতমিস্ত্রীসহ ৭ জন মারাত্মক দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা যান। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল আহমেদ (২৮), বিদ্যুতমিস্ত্রী নাসির উদ্দিন (৩০), ছোট ভাই মোহাম্মদ আসলাম (২৭) ও ফেরদৌস আহমেদ (৩০) মারা যান। বাকি দগ্ধ আবদুল আলিম (৩০) চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। ওমর নামে দগ্ধ আরেকজন নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
×