ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটক দর্শনার্থীর ভিড়

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২২ মার্চ ২০১৫

কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটক দর্শনার্থীর ভিড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২১ মার্চ ॥ কুয়াকাটা ফের পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে। হরতাল-অবরোধের ভয়কে জয় করে শত শত পর্যটক কুয়াকাটায় আসছেন। সেই সঙ্গে হোটেল-মোটেল মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পর পর দুটি বছর পুরো পর্যটন মৌসুম বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতায় কুয়াকাটার হাজারো ব্যবসায়ীর ব্যবসায় ধস নেমেছে। লোকসানের বোঝায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। যেখানে প্রতি মাসে লাখো টাকা লাভ করবেন, উল্টো লোকসানের ধকলে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছেন। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পরে পর্যটক-দর্শনার্থী ও পিকনিক পার্টির আগমন শুরু হয়েছে। শিক্ষা সফরসহ কয়েকটি পার্টির শত শত নর-নারীর আগমনে গোটা সৈকত এলাকায় কোলাহলমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শুক্র-শনিবার দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। পর্যটকের আগমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের দিবা-নৈশ পরিবহনের বাস চলাচল করছে পুরোদমে। ঝিনুক দোকানি আবু সালেহ জানালেন, কয়েকদিন হলো কিছু বেচাকেনা চলছে। কাওসার জানান, আবার বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে আগের মতো নেই বলে কাওসারের ভাষ্য। অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করলেন। ডাব বিক্রেতা কাঞ্চন আলী জানালেন, লোকজনের আসা শুরু হয়েছে। বেচাকেনা কিছু হচ্ছে। প্রত্যেক আবাসিক হোটেলে কিছু বোর্ডার আসতে শুরু করেছে। হোটেল সানফ্লাওয়ারের মোঃ মাসুম জানালেন এমন তথ্য। এমনিতেই কলাপাড়াসহ পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায় বিগত সাত বছরে বিএনপি জামায়াত জোট একটি মুহূর্তের জন্য মিটিং-মিছিল করতে পারেনি। খুবই নাজুক তাদের দলীয় কর্মকা-। প্রেসরিলিজনির্ভর হয়ে আছে কার্যক্রম। আর হরতাল-অবরোধের পক্ষে মিছিল-মিটিং তো কখনই হয়নি। ফলে পুলিশ প্রশাসনও আছে রিলাক্স মুডে। নিরাপদ জোন হিসেবে চিহ্নিত থাকায় কুয়াকাটায় এখন আবার পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। কুয়াকাটা বীচ পরিদর্শনে আসা পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার জানান, কুয়াকাটার বীচকে পরিচ্ছন্ন এবং পর্যটককে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তিনি জানান, কুয়াকাটা কেন্দ্রিক নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাঃ আজিজুর রহমান জানান এখানে কোন ধরনের সহিংসতা ঘটানোর সুযোগ নেই। তারা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। পর্যটক-দর্শনার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন। একই বক্তব্য সদ্য শুরু হওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি শাহজাহান দেওয়ান মনির। আইন অমান্য করায় বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমতি না নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বেসরকারী একটি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জন্য চুক্তি সম্পাদন করার অভিযোগে জেলার উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা ফিরোজ হোসেনকে অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শরীফা আহমেদ স্মাক্ষরিত গত ৯ মার্চের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বড়াকোঠা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিজ তলায় বেসরকারী ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জন্য চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন তিন বছরের চুক্তি সম্পাদন করেন। এ কারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েও কোন সদুত্তর না পেয়ে চেয়ারম্যানকে অপসারণের আদেশ দেয়া হয়। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৫(২) মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে চেয়ারম্যানের প্যানেল হতে অগ্রাধিকারক্রমে একজন সদস্যকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে সংশিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
×