ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নব্য আইনজীবীদের নৈতিকতা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২২ মার্চ ২০১৫

নব্য আইনজীবীদের নৈতিকতা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইনের শিক্ষার্থীদের এবং নব্য আইনজীবীদের নৈতিকতা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া। তিনি বলেন, এজন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইনশিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কোন চিকিৎসক তার চিকিৎসায় ভুল করলে একজন রোগী মারা যায়। কিন্তু একজন আইনজীবী তার পেশাদারিত্বের জায়গায় ভুল করলে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই একজন আইনজীবীকে অবশ্যই বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। টাকা উপার্জনের পাশাপাশি মক্কেলকে তার প্রাপ্য সেবাটাও দিতে হবে একজন আইনজীবীকে। আইনশিক্ষাবিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন সুপ্রীমকোর্টের এ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। ‘সেন্টার ফর রাইট এ্যান্ড গভর্ন্যান্স’ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নতুন আইনজীবীদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দেশের খ্যাতিমান আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষার্থীরা চতুর্থবর্ষে পদাপর্ণ করতেই আইনী পেশার বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাদের পরিচয় করানো উচিত। এর জন্য অন্তত চারমাস দেশের সৎ, নীতিনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের এনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দিতে হবে। আইন পেশায় বাংলা-ইংরেজী উভয় ভাষার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি নব্য আইনজীবীদের বাস্তব এবং তাত্ত্বিক জ্ঞান সমৃদ্ধ হওয়ার দরকার। এ সময় তিনি ১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল আইন এবং আদেশ ভালভাবে আত্মস্থ করারও আহ্বান জানান নব্য আইনজীবীদের। উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. শাহদীন মালিক বলেন, গত ৩৭ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাদের মধ্য থেকে একশ’ জনও আইন পেশায় সম্পৃক্ত নন। আইন পেশায় সম্পৃক্ত না হয়ে তাদের একটি অংশ সরাসরি চলে যাচ্ছে বিচার বিভাগে। এই আইন বিশেষজ্ঞও আইনের শিক্ষার্থী এবং আইনজীবীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের অপরিহার্যতার কথা তুলে ধরেন। সুপ্রীমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেনÑ আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শাহ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বোরহান উদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সরকার আলী আক্কাস, অধ্যাপক শাহনাজ হুদা প্রমুখ। পাকিস্তান ভারতের ঘটনায় খ্রীস্টান সমাজের প্রতিবাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান চার্চে বোমাহামলা ও ভারতে ব্রতধারী সিস্টারকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশর খ্রীস্টান সমাজ। পাকিস্তান ও ভারত সরকারের কাছে পৃথকভাবে এ দুটি ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খ্রীস্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিউবার্ট গমেজ, সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সম্পাদক ফাদার জয়ন্ত এস গমেজ, খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুস গমেজ, এ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা ওয়াইএমসিএ-এর সভাপতি উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া, সিস্টার রেবেকা রোজারিও, মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়া সাহা প্রমুখ।
×