ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মান্নার সুচিকিৎসা দামান্না ফের কারাগারে, সুচিকিৎসা দবি স্ত্রী মেহের নিগারের

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২০ মার্চ ২০১৫

মান্নার সুচিকিৎসা দামান্না ফের কারাগারে, সুচিকিৎসা দবি স্ত্রী মেহের নিগারের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। এদিকে মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে জেল গেটে চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেহের নিগার। কারা সূত্র জানায় দুপুরে কারাগারের একটি দল ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে মান্নাকে কারাগারে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্য কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বামীর নানা রোগের কথা তুলে ধরে জামিন চান স্ত্রী মেহের নিগার। মান্নার মেয়ে নিলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মেহের নিগার বলেন, গ্রেফতার হওয়ার আগে ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর (মান্নার) বুকে তিনটির বেশি ব্লক ধরা পড়েছিল। সম্প্রতি গ্রেফতার ও মানসিক নির্যাতনের কারণে তার হার্টের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে তাঁর (মান্নার) শরীরের যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা ও সুচিকিৎসার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। সেনা বিদ্রোহে উস্কানির মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মান্নার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় রিমান্ডের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩ মার্চ তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মেহের নিগার বলেন, প্রথম দফার ১০ দিনের রিমান্ড চলাকালে মান্নাকে ওষুধপত্র দেয়ার সুযোগ তারা পাননি। মান্নার নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ছাড়াও হৃদরোগ, মেরুদ-ের হাড় ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেন কোন প্রকার অবহেলা না হয়, সরকারের কাছে সে নিশ্চয়তা চান নিগার। রিমান্ডে মান্নার ওপর নির্যাতনের সুস্পষ্ট অভিযোগ না থাকলেও পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, একজন অসুস্থ মানুষের প্রতি রিমান্ডের নামে কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হওয়া থেকেই বোঝা যায়। উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি মান্নার সঙ্গে নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং আরও এক ব্যক্তির টেলিফোন আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। খোকার সঙ্গে কথোপকথনে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়। এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মান্নার নামে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
×