ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ভেজাল গুড়ের খনি

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২০ মার্চ ২০১৫

রাজশাহীতে ভেজাল গুড়ের খনি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় বাড়ির অঙিনায়-অঙিনায় ভেজাল গুড় তৈরি করা হচ্ছে। চিটাগুড়ের সঙ্গে ময়দা, রাসায়নিক মিশ্রিত রং আর নিম্নমানের চিনি দিয়ে এসব গুড় তৈরি করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাটির নিচে গর্ত করে এসব গুড় তৈরি করা হচ্ছে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একশ্রেণীর মুনাফালোভীরা এসব গুড় তৈরির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় প্রশাসন এসব বিষয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে এলেও সম্প্রতি রাজশাহী র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কিছু ব্যবসায়ী। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা হলেও থামছে না ভেজালগুড়ের কারবার। যেন ভেজাল গুড়ের ‘খনি’ এখন জেলার চারঘাট বাঘা উপজেলার গ্রামে গ্রামে। সর্বশেষ গত বুধবার চারঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ভেজাল গুড় তৈরির তিন কারখানায় হানা দিয়ে এক হাজার মণ গুড় ও গুড় তৈরির উপকরণ জব্দ করেছে র‌্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেজাল গুড় তৈরি করে তা বাজারজাত করার অভিযোগে তিনজনকে কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া হয়। আর ধ্বংস করা হয় বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড়। রাজশাহী র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মির্জা গোলাম সারোয়ার জানান, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে মাটির নিচে গর্ত করে চিটাগুড়, ময়দা ও রং দিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার মণ ভেজাল গুড় ধংস করা হয়েছে। র‌্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্তমান বাজারে চিনির চেয়ে গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সস্তায় চিটাগুড়, ময়দা রং আর চিনি কিনে তা মিশিয়ে জাল (তাপ) দিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করছে। দুই উপজেলার প্রায় গ্রামে গ্রামে এসব কারবার শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, এসব গুড় মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব গুড়ে মেশানো কেমিক্যালে মানুষের কিডনির সমস্যা হতে পারে। বাকৃবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন নৈতিক স্খলনের অভিযোগ বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ৩০৮ কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক কর্মকা-ের স্থিরচিত্র এবং অডিও ক্লিপ প্রকাশিত হওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এদিকে ওই নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। বৃহস্পতিবার প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন প্রায় শতাধিক শিক্ষক। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেনÑ কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরেশচন্দ্র মোদক, অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুর রহমান, অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল আলীম, অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক রেজুয়ানল হক কনক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৃহৎ কর্মসূচী দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরেশচন্দ্র মোদক বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে চরম দুর্নীতি করে শুধু টাকা এবং সুন্দর চেহারা দেখে কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর এই অপকর্মের দ্বারা শিক্ষক সমাজকে কলুষিত করেছেন। শিক্ষকদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল হক বলেন, কতিপয় শিক্ষক দ্বারা সাইবার ক্রাইম করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ভিসি পদ থেকে সরিয়ে দিতেই তারা পরিকল্পিতভাবে এ ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে।
×