ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার বিদায়

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৯ মার্চ ২০১৫

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচে এসে এত খারাপ খেলবে শ্রীলঙ্কা, তা কল্পনাই করা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা এমনভাবে জ্বলে উঠবে তাও ভাবা যায়নি। মনে হয়েছিল, টান টান উত্তেজনার ম্যাচ হবে। অথচ হয়েছে উত্তাপহীন একটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। যে ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটে শ্রীলঙ্কার। সিডনিতে বুধবার হওয়া এ ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে। শুরু থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। শেষপর্যন্ত কুমার সাঙ্গাকারার ৪৫ ও থিরিমান্নের ৪১ রানে ৩৭.২ ওভারে ১৩৩ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা! কী দুর্দান্ত বোলিংই না করেন স্পিনার ইমরান তাহির। ৪ উইকেট তুলে নেন। তাহিরের সঙ্গে ডুমিনিও নেন ৩ উইকেট। ডুমিনি তো হ্যাটট্রিক করেন। প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন ডুমিনি। এ দুই বোলারের বোলিংয়ের সামনে কুলিয়েই উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। সাঙ্গাকারা, থিরিমান্নের সঙ্গে শুধু লঙ্কান অধিনায়ক এ্যাঞ্জলো ম্যাথুস (১৯) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। কী দুর্দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার। এরপর ম্যাচ জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা, তা কে না বলবে। তাই হয়েছে। সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অনায়াসে ১৮ ওভারেই খেলা শেষ করে দেয়। ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে। ডি কক অপরাজিত ৭৮ ও প্লেসিস অপরাজিত ২১ রান করেন। কী দুর্দান্তভাবেই না দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায়। কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের ওয়ানডেতে বিদায়ী ম্যাচও হয়ে যায়। বিদায়টা তেমন সুখকর হলো না। যদিও গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলেন সাঙ্গাকারা। কিন্তু বিদায় বেলাও এমন একটি ম্যাচ হওয়ায় আফসোস রয়েই গেল। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স এত সব নিয়ে ভাবছেন না। এখন জয় পাওয়াতে খানিক যেন উৎসব করতে চান। বলেছেন, ‘আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু বলতে চাই ম্যাচটি থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস কুড়িয়ে নিয়েছি। মানসিকভাবেও চাঙ্গা করে তুলেছে। অনেক খুশি।’ শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ম্যাথুস হারে হতাশ হবেন এটিই স্বাভাবিক। তবে তার মুখে যেন হারের পরও শুধুই সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে থাকেন, ‘যদি ২৫০ করা যেত তাহলে বোলাররা লড়াই করত। সবচেয়ে বাজে পারফর্মেন্স হয়েছে। সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনের জন্য খারাপ লাগছে। মুহূর্তটা স্মরণীয় হলো না। তাদের দুইজনকেই ধন্যবাদ ১৬-১৭ বছর সার্ভিস দেয়ার জন্য।’
×