ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সমুদ্রপথে কাঁচামরিচ রফতানি বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৮ মার্চ ২০১৫

সমুদ্রপথে কাঁচামরিচ রফতানি বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রপথেও এখন রফতানি হচ্ছে দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচ। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশের মরিচ রফতানি। এমনকি ভারতকে হটিয়ে ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যে মরিচের বাজার দখল করতে চলেছে বাংলাদেশ। গত ৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪৪৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়েছে। দীর্ঘ ৪ দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ভারতীয় কাঁচামরিচ এককভাবে ক্ষমতা দখল করে আসছিল। রফতানিকারক ও চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত নবেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই চালানে ৪০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ রফতানি করে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওই মাসের প্রতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে গড়ে মরিচ রফতানি হয় ১০ মেট্রিক টন। এরপর তা রফতানি হয় বাহরাইন, সৌদি আরব ও কাতারসহ কয়েকটি দেশে। ৪ মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় সপ্তাহে দেড়শ’ মেট্রিক টনে। অর্থাৎ এই ৪ মাসে ব্যবধানে মধ্যপ্রাচ্যে সপ্তাহে গড়ে মরিচ রফতানি বেড়েছে ১৪০ মেট্রিক টন বা ১৫ গুণ। দেশের মরিচের গুণগত মান এবং সমুদ্রেপথে সফলভাবে রফতানিই এতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন রফতানিকারকরা। চট্টগ্রামের এসআর এন্টারপ্রাইজ, প্রভা ফুড স্টোর, আইডিএস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, গ্রিন ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসসহ ৭টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে তারা এখন গড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ রফতানি করছে। রফতানিকারকরা জানান, বাংলাদেশের মরিচের গুণগত মান ভালো হওয়ায় খুব দ্রুতই এ বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। পণ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং কাঁচা পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে রফতানি প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হলে খুব দ্রুতই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মরিচের বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব হবে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্রিন ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী এবং সবজি রফতানিকারক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান রুবেল জানান, গত নবেম্বরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতে আকাশ পথে ২০ মেট্রিক টন মরিচ রফতানি হয়। পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রফতানিকারকরা তখন আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে জানুয়ারি থেকে সমুদ্রপথে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে করে রফতানি প্রক্রিয়া সফল হওয়ায় রফতানি খরচ কমে আসে। এক মাসের ব্যবধানে রফতানি দেড়শ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
×