ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়াই চাপে থাকবে ॥ সরফরাজ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৮ মার্চ ২০১৫

অস্ট্রেলিয়াই চাপে থাকবে ॥ সরফরাজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে সেরা আটের লড়াই সামনে রেখে এখন চলছে ‘চাপ তত্ত্ব!’ শ্রীলঙ্কা কোচ মারভান আতাপাত্তু বলছেন, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার নকআউট-চাপ নেয়ার সামর্থ্য প্রশ্নবিদ্ধ তাই কোয়ার্টারে এগিয়ে তারা! বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অনেকের মতে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাপ থাকবে ভারতের ওপরই। সেই পথে হাঁটলেন সরফরাজ আহমেদও। পাকিস্তানী তারকা বললেন, স্বাগতিক ও শিরোপাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়ায় তাদের বিপক্ষে চাপে থাকবে অস্ট্রেলিয়াই! শিরোপার মাঝে তিন ম্যাচÑ কে যে চাপে, সেটিই বোঝা মুশকিল। ‘অস্ট্রেলিয়াই চাপে থাকবে। আক্রমণাত্মক মেজাজে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আমরা জয় তুলে নিতে পারব।’ বলেন পুল পর্বে পাকিস্তানের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের নায়ক সরফরাজ। অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক আর চারবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের হারানোর সামর্থ্য পাকিস্তানের রয়েছে বলে মনে করেন আচমকাই লাইমলাইটে উঠে আসা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আরব আমিরাতে কিছুদিন আগেই আমরা ওদের হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছি। ওয়ানডে সিরিজও ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। অনেকে মিচেল স্টার্কের বোলিংয়ের কথা বলছেন, সেখানে আমরা ওকে ভালমতোই খেলেছি।’ কিন্তু এবার ঘরের মটিতে, পরিচিত কন্ডিশনে স্টার্ক আরও বিপজ্জনক। তার ওপর শুক্রবার এ্যাডিলেড ওভালের গ্যালারি ভরা থাকবে অস্ট্রেলিান সমর্থকে। তা সত্ত্বেও সফলতা সম্ভব, যুক্তি তুলে ধরে তিনি আরও যোগ করেন, ‘১৯৯২-এ এই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড থেকেই আমরা ট্রফি নিয়ে ফিরেছিলাম। সেই দলের অধিনায়ক ইমরান খান বলেছেন, নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলে দর্শক কোন সমস্যাই নয়। তার বক্তব্য আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।’ প্রথম চার ম্যাচে সরফরাজকে দলেই রাখা হয়নি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কঠিন ম্যাচে নেমেই করেন ৪৯ রান, উইকেটের পেছনে ৬ ক্যাচের অনন্য রেকর্ড গড়ে হন ম্যাচসেরা। সেই ধারা অব্যাবহত রেখে ফের মাত করেন শেষ ম্যাচে। আইরিশদের বিপক্ষে খেলেন অপরাজেয় ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ১২৪ বলে ৬ চারে সাজান ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর (ইমরান নাজির) কোন পাকিস্তানীর সেঞ্চুরিও এই প্রথম! তুব মাটিতে পা বিনয়ী সরফরাজের, ‘প্রতিটি জয়ে আমাদের বোলারদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। পেসাররা চমৎকার বোলিং করেছে বলে কাজটা সহজ হয়েছে। আমি কেবল পরিস্থিতি বুঝে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। দুটি ম্যাচে সফল হয়েছি। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আসল লড়াই কোয়ার্টার থেকে। দলের সাফল্যে আরও অবদান রাখতে চাই।’ সরফরাজের নৈপুণ্যে মুগ্ধ সাবেক তারকা ইনজামাম-উল হক, ‘বিশ্বকাপের আগে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়। বলেছিল, ব্যাটিংয়ে জাভেদ মিয়াদাদ ওর আদর্শ। ছেলেটা ব্যতিক্রম। ব্যাট হাতে হুট করেই বোলারদের ওপর চড়াও হয় না। বরং সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর বেশি নির্ভর করে। এটা প্রতিপক্ষ বোলারের মনোবল ভেঙ্গে দেয়। গত কয়েক দিনে সরফরাজ তার দুর্বলতাগুলো অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। ওর কাছে এখন দলের প্রত্যাশা অনেক।’
×