ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আজকের কোয়ার্টার ফাইনাল জিততে আশাবাদী প্রোটিয়া অধিনায়ক

আমরা ‘চোকার’ নই ॥ ভিলিয়ার্স

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ মার্চ ২০১৫

আমরা ‘চোকার’ নই ॥ ভিলিয়ার্স

জাহিদুল আলম জয় ॥ ‘একটা কথাই আমি বলতে চাই, আমরা আর ভুল করতে চাই না। আমরা একটি ভাল ম্যাচ খেলার আশা করছি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই। আমরা যে চোকার নয় সেটি প্রমাণ করতে হবে।’ চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজকের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এই মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। বর্ণবাদের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘চোকার’ তকমা। ১৯৯২ থেকে ২০১১। প্রতিটি বিশ্বকাপেই প্রোটিয়াদের স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস লেখা হয়েছে। গত ছয় বিশ্বকাপের কোনটিতেই নকআউট পর্বে জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাদের বিদায় করেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘টাই’ করে। ২০০৩ সালে নিজেদের দেশে পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্ব! ২০০৭ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে আরেকবার আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়। আর ২০১১ সালে ফর্মের তুঙ্গে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায়। এবারের বিশ্বকাপেও তাই ঘুরে ফিরে আসছে আগের স্মৃতিগুলো। আজ কী প্রোটিয়ারা পারবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অপবাদ ঘোচাতে? অধিনায়ক ভিলিয়ার্স যেমন আত্মবিশ্বাসী তেমনি দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও আশাবাদী। দু’জনকেই মঙ্গলবার অবধারিতভাবে ‘চোকার’ প্রসঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। চোকার অপবাদ যে সত্যি, ডমিঙ্গো সেটি স্বীকার করে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটা অনেক দিন ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের অংশ। যখন আমরা এ ধরনের টুর্নামেন্টে এই পর্যায়ে আসি, প্রশ্নটা শুনতে হয়। এটা সত্যি যে অতীতে আমরা অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। আশা করছি, সেই ভুলগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা এবার আমাদের কাজে লাগবে।’ অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সও বেশ জোর দিয়েই বলেছেন ইতিহাস সবসময়ই অতীত। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের ভিলিয়ার্স বলেন, একটি বিষয়ের ওপর আমাদের সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ভাল খেলতে পারি, সেটা লঙ্কানদের বিরুদ্ধে করে দেখাতে হবে। প্রতিপক্ষের ওপর বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার উপরই জোর দিতে হবে। সম্ভাব্য সবকিছুই করে দেখাতে হবে, এর বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষকে দ্রুত আউট করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি আগে ব্যাটিং করি তবে বড় স্কোর গড়ে তাদের চাপে ফেলতে হবে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই সিডনিতেই গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হার না মানা ১৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন ভিলিয়ার্স। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ছয় ম্যাচের মধ্যে হার মানে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে। এ প্রসঙ্গে ৩১ বছর বয়সী ভিলিয়ার্স বলেন, আমার মনে হয় না আমরা খুব একটা বাজে খেলেছি। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে আমরা সঠিক পথেই আছি। দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছি। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। এই ম্যাচটাকে বাদ দিলে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে আমি খুব একটা হতাশ হইনি। শুধু ব্যাট হাতে আমরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। ভিলিয়ার্স আরও বলেন, আমরা মাত্র দুটো ম্যাচে হেরেছি। যদি বিশ্বকাপ জিততে পারি আমরা তাহলে এ নিয়ে আর কেউ প্রশ্ন করবে না। এ কারণে কোয়ার্টার ফাইনাল জিততে চাই। এরপর অবশ্যই বিশ্বকাপের শিরোপা।
×