ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ার্টার আজ শুরু ॥ কাল বাংলাদেশের খেলা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৮ মার্চ ২০১৫

কোয়ার্টার আজ শুরু ॥ কাল বাংলাদেশের খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র তিন ম্যাচ। ৭ ঘণ্টা করে একেক ম্যাচে (কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচ) ২১ ঘণ্টা। যে টানা এই ৩ ম্যাচ, ২১ ঘণ্টা জিততে পারবে, তারাই বিশ্বকাপ জিতে নেবে। আর একটি ম্যাচে হার মানেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। আজ সিডনিতে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। শুরু হয়ে যাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে সেমিফাইনাল এরপর ফাইনালে ওঠার পালা। সঙ্গে থাকছে বিদায়ের পালাও। যে দল জিতবে সেমিফাইনাল উঠবে। যে দল হারবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে। আজকের ম্যাচটি শেষে বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে বাংলাদেশ-ভারত, শুক্রবার এ্যাডিলেডে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ও শনিবার ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচেই থাকছে টান টান উত্তেজনা। কোন দলই কোন দলের চেয়ে কম নয়। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দুই গ্রুপ থেকে সেরা আট দলই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ; ‘বি’ গ্রুপ থেকে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে। সেই কোয়ার্টার ফাইনালে এবার নামার পালা। কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে চার দল সেমিফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে ২৯ মার্চ সেমিফাইনালের দুই জয়ী দল খেলবে ফাইনালে। আজ সেই ফাইনালে খেলার প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই শক্তিশালী। ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার যেখানে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কুমার সাঙ্গাকারা, অভিজ্ঞ তিলকারতেœ দিলশান, মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন; সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, ভিলিয়ার্স, ডুমিনিরা আছেন। বোলিংয়ে দুই দলে দুই তুখোড় বোলার রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন। যে দল দিনটি নিজেদের ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারবে, সেই দলই জিতবে। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজে অবশ্য ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতেছিল। তবে ম্যাচটি হবে বিশ্বকাপের। খেলাটিও নকআউট পর্বের। যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কা সবসময়ই পরাশক্তি। সেই তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো ‘চোকার’ই বলা হয়ে থাকে। আজই না আবার সেই দিন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এসে পড়ে। বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াইয়ে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাই এগিয়ে থাকছে। চারবার দুই দল বিশ্বকাপের পরস্পরের বিপক্ষে খেলায় একবারই শুধু শ্রীলঙ্কা জিততে পেরেছে। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে। এক ম্যাচ টাই হয়েছে। আর দুটি ম্যাচেই হেরেছে। ১৯৯৯ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। দুই দল অবশ্য বিশ্বকাপে কখনই নকআউট পর্বের কোন খেলায় মুখোমুখি হয়নি এখনও। না কোয়ার্টার ফাইনালে, না সেমিফাইনালে, না ফাইনালে। এবারই প্রথম পরস্পরের বিপক্ষে নকআউট পর্বে খেলবে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য ম্যাচে এসব বিষয় কোন কাজেই আসে না। দিনটিতে যে দল ভাল খেলে, তারাই জয় তুলে নেয়। সে দিকেই দুই দলের দৃষ্টি আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স যেমন বলেছেন, ‘আমরা কোন কিছু (চোকাস নিয়ে ভাবা) নিয়েই ভাবছি না। আমরা শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে ভাবছি। কিভাবে জেতা যায় তা নিয়ে ভাবছি।’ ঠিক তেমনি শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক এ্যাঞ্জলো ম্যাথুসেরও ভাবনা সেই রকমই। ম্যাথুস বলেছেন, ‘টস কোন পার্থক্য গড়ে দেবে না এমনটিই চাচ্ছি। উইকেট অনেক ভাল। ৩০০ রানও অতিক্রম করা যাবে। যদি প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০০ রানও তোলা হয়, ম্যাচ জিতে গেছে; তা ভাবা যাবে না। আমরা যেভাবেই হোক জিততে চাই।’
×