ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি

মোবারকপুর তেল ও গ্যাস কূপ খনন এক মাস বন্ধ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৮ মার্চ ২০১৫

মোবারকপুর তেল ও গ্যাস কূপ খনন এক মাস বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৭ মার্চ ॥ পাইলিং ধসের কারণে সাঁথিয়ার মোবারকপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের খনন কাজ দীর্ঘ ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান কাজ বন্ধ থাকায় সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকা অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, উরাঞ্চলে প্রথম মোবারকপুর প্রকল্পে একূপে সাড়ে ৪ কিলোমিটার গভীরে প্রায় ২০০ থেকে ১ হাজার বিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস এবং প্রায় ২.১ মিলিয়ন (২১ লাখ) ব্যারেল তেল মজুদ থাকার সম্ভাবনার সন্ধান পাওয়া যায়। এ গ্যাস উত্তোলনের জন্য ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ২০০৬ সালে একনেক বৈঠকে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার ‘মোবারকপুর অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প’ নামে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্থায়নে ওই প্রকল্পটি পুনরায় অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পের কূপ খননে পাইলিংয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খনন কাজের ৭০ শতাংশ কাজ শেষে হঠাৎ পাইলিংয়ে ধস দেখা দেয়। এ ধসের কারণে খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পাইলিং ধসের পরে বাপেক্সের মোবারকপুর প্রকল্পের কর্মকর্তারা খনন এলাকার সকল গেট বন্ধ রেখে পুনরায় ৪০ ফুট নিচ পর্যন্ত ৭ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে জি আই পাইপ দ্বারা পাইলিং কাজ শেষ করে বলে প্রকল্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান। তিনি আরও জানান, ১৫ দিন আগে প্রায় ৬০০ টন পাইপ পাইলিংয়ের ওপর রাখায় তা ধসে যায়। পরে তা নতুন করে মেরামত করা হয়েছে। স্থানীয় এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানান, পূর্বের পাইলিংটি ছিল দুর্বল। যার কারণে তা ধসে যায়। ১ মাস প্রকল্পের খনন কাজ বন্ধ থাকায় সরকারের প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে মোবারকপুর তেল ও গ্যাস খননের খোঁজ নিতে প্রকল্পে গেলে গেট বন্ধ পাওয়া যায়। গেটে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে কর্মকর্তারা দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। নেত্রকোনায় পাগলা শেয়ালের কামড়ে আহত ৩০ নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৭ মার্চ ॥ মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা শহরের ছোটবাজার থেকে মসজিদ কোয়ার্টার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পাগলা শেয়ালের কামড়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এজন্য শহরজুড়ে শেয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, খুব সকালে একটি পাগলা শেয়াল ছোটবাজার থেকে মসজিদ কোয়ার্টার পর্যন্ত প্রধান সড়কে ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় শেয়ালটির কামড়ে ছোটবাজার, মসজিদ কোয়ার্টার ও মোক্তারপাড়া এলাকায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার কর্মচারী ও এলাকাবাসী শেয়ালটিকে আটক করে মেরে ফেলে। নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ নীলোৎপল তালুকদার জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত শিয়ালের কামড়ে আহত ২৪ রোগীকে জরুরী চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
×