ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফতোয়াবাজির শিকার লালমনিরহাটে এক দম্পতি

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১৪ মার্চ ২০১৫

ফতোয়াবাজির শিকার লালমনিরহাটে এক  দম্পতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৩ মার্চ ॥ জেলার সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের চওড়াটারী মসজিদের সামনে সমাজপতিরা নব বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীকে বিচারের নামে দোররা মারে। পরিবারটির ওপর ফতোয়া জারি করে এক ঘরে করে রাখা হয়। জানা যায়, সাজ্জাদ ও লতার বিয়ের কাবিন তারা দেখে। কাবিনে সাজ্জাদ তার প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করেছে। এই অপরাধে একশ’ বেত্রাঘাত সাজা হয়। সাজার রায় দেয় মসজিদ কমিটির সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু মিয়া। রায় কার্যকর করে গোলাম ফারুক। সাজ্জাদের দেহ বেত্রাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। সাজ্জাদের দ্বিতীয় স্ত্রী জরিনা বেগম লতা তো নির্দোষ। তার বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল হাওলাদার। সাজ্জাদের কথা ও তাকে বিশ্বাস করে বাবা-মার সিদ্ধান্তে পারিবারিকভাবে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে সাজ্জাদ সেখানে তার আত্মীয়স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে যায়। উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সাজ্জাদ-লতার বিয়ে হয়। তাহলে গ্রাম্য সালিশে লতা কেন একশ’ বেত্রাঘাতের সাজা ভোগ করবে? এ প্রশ্ন স্থানীয়দের।
×