ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১৪ মার্চ ২০১৫

আবারও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী প্রথমে বলেছিলেন, মুক্তিবার্তা (লালবই) যাচাই-বাছাই করা হবে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার ঘোষণা দেন যে, মুক্তিবার্তা (লালবই) এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মুক্তিবার্তা (লালবই) ও যাচাই-বাছাই করা হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট অভিযোগ পড়েছে বলেও প্রতিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে অবগত করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো- অভিযোগগুলো কেন দিল, তা কতটুকু সত্য বা যুক্তিযুক্ত তা বিচার বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার মধ্যকার সৃষ্ট প্রতিপক্ষ যাঁরা জেলা ও উপজেলায় নির্বাচনে বা অন্য কোন উপায়ে কমান্ডের নেতৃত্বে আসতে পারেননি মূলত তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসছে যাঁরা এখন নেতৃত্বে আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে। আবার উল্টোটাও ঘটছে। যাঁরা পরাজিত হয়েছেন তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন বিজয়ীরা।’ মূলত এটাই বাস্তব সত্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশে ১৯৯৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে সারাদেশে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছিল। সে সময় যথেষ্ট শক্তিশালী, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের মাধ্যমে অত্যন্ত দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে মুক্তিবার্তা (লালবই) প্রস্তুত করা হয়। এনিয়ে কোন সমালোচনা ছিল না, কিন্তু কালান্তরে নানা কারণে এনিয়েও (লালবই) কিছু কিছু সমালোচনার জন্ম দেয়। গোপনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৬১ নাম লালবইয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়। লালবই ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত তালিকা নির্ভরযোগ্য সন্দেহ মুক্ত।’ সুস্পষ্টভাবে প্রতিরমান হয় যে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত তালিকা (লালবই) নির্ভরযোগ্য ও সন্দেহমুক্ত। আমরাও বিশ্বাস করি লালবই আওয়ামী লীগ সরকারের একটি কষ্টের ধন, মূল্যবান জাতীয় সম্পদ, এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার। মুক্তিবার্তা (লালবই) কে বাছাইয়ের বাইরে রাখুন- প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণকে অহেতুক হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করুন। হাফিজুর রহমান তরগাঁও, কাপাসিয়া, গাজিপুর। অভিজিতের জন্য শোক ড. অভিজিত রায়, জামায়াত-শিবির উগ্র মৌলবাদী কিলিং স্কোয়াড তোমাকে নৃংশসভাবে হত্যা করেছে বলে আমার ধারণা। তোমার হত্যার কথা শুনে শোকে আমরা মুহ্যমান। তোমার পরিবারকে সান্তনা দেয়ার ভাষা আমাদের জানা নাই। উগ্র মৌলবাদীরা অসম্প্রদায়িক একজন অনন্য মানুষকে জাতির সেবা থেকে বঞ্চিত করল। তারা জানে, মেধাবীরা বেঁচে থাকলে মৌলবাদীরা এদেশে থাকতে পারবে না। ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য উদয়ের মাত্র দু’দিন পূর্বে বাঙালী জাতিকে মেধা শূন্য করার জন্য তারা অনেক মেধাবী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ নিজেকে বড় অপরাধী বলে মনে হয়। জাতির জনক স্বাধীনতাত্তোর জাতিকে এই মূল নীতির সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্বাধীনতাবিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে এ দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশে আগমনের কারণে আমরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনক কন্যার সরকার না থাকলে, স্বাধীনতার পক্ষের অগননিত মানুষকে তোমার মতো অপঘাতে জীবন দিতে হতে পারে। আমরা অতিব উদ্বিগ্ন। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। তোমার রক্ত ছুঁয়ে শপথ নিলাম। জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে আমরা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবই করব। এক মুক্তিযোদ্ধা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবধান বাংলাদেশ! বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে বার বার মনে পড়ছেÑ বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণের একটি লাইন- ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।’ কারণ হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার লোভে যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচার বানচাল করার জন্য দুর্নীতির বরপুত্রদের এবং নিজের এতিমদের টাকা আত্মসাত মামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এবং বিশ্বস্বীকৃত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে আজ সারাদেশে আন্দোলনের নামে নিজেকে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ রেখে নেতারা আত্মগোপনে থেকে বিদেশ অবস্থানরত দুর্নীতিবাজ পলাতক আসামি পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে অবরোধ আর হরতালের নামে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে। যারা রাতের অন্ধকারে রেললাইন উপড়ে ফেলে লঞ্চ ইস্টিমারে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে বাস-ট্রেনে পেট্রোলবোমা মেরে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে। ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে ধ্বংস করতে ঠিক পরীক্ষার দিনগুলোতে হরতাল দিচ্ছে। যে অবরোধের কারণে কৃষকের উৎপাদিত ফসল ক্ষেতে পচে নষ্ট হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিক আর দিনমজুররা কাজের অভাবে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। দেশবাসী চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন গুনছে। দেশ বিদেশের সচেতন নাগরিক, বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এই অমানবিক হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও তারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে জনগণের কোন দাবি নাই। লক্ষ্য একটাই দেশ ধ্বংস হোক আর মানুষ পুড়ে মরুক। ‘আমার চাই ক্ষমতা আর যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি’, অতএব সাবধান বাংলাদেশ। ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতুর কাজ। সেতু নির্মাণে নিয়োজিত চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব প্রথা অনুযায়ী আাচর মেনে পাইলিংয়ের মাধ্যমে মূল সেতুর কাজের সূচনা করেছে। ইতোমধ্যেই এই সেতুর প্রায় ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।এই সুসংবাদটি বিভিন্ন মিডিয়ায় আসলেও দেশে অব্যাহত নাশকতার কারণে তা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে বলে মনে হয়। অথচ কিছুদিন আগেও এই সেতু নিয়ে দেশে এক ধরনের সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। অনেককেই বলতে শুনেছি এই সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না। এমনকি এই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে এবং বিদেশে একটি বিশেষ গোষ্ঠী প্রমত্তা পদ্মার স্বচ্ছ জল ঘোলা করেও শেষ পর্যন্ত এই সেতুর বাস্তবায়ন ঠেকাতে পারেনি শুধুমাত্র সরকারের সাহসী এবং স্বাধীনচেতা সিদ্ধান্তের কারণে। সরকার প্রমান করতে পেরেছে পরমুখাপেক্ষী না হয়েও সৎ সাহস থাকলে এই ধরনের প্রকল্প আমরাও বাস্তবায়ন করতে পারি এবং আমাদেরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তাই বলতে চাই, পদ্মা সেতু এখন এদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। এখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমরাও পারি। শহীদুল আলম শহীদ রাউজান, চট্টগ্রাম। ষড়যন্ত্র বন্ধ হোক বর্তমানে বিএনপি ষড়যন্ত্রের রূপকার। ২০১৩ সালের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ছলে-বলে-কলে-কৌশলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাতে পারলেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই উগ্র-মৌলবাদী, জঙ্গী, সশস্ত্র-শিবিরকর্মী, বিএনপি সশস্ত্র ক্যাডার, দুর্নীতিবাজ, যুদ্ধাপরাধীদের, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের অবৈধ সুবিধাভোগীদের মাধ্যমে এ দেশের স্বাধীনতার পক্ষের সকল মানুষকে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করবে। সে স্বপ্ন তাদের বাস্তবায়ন হয় নাই। বর্তমানে পেট্রোলবোমা মেরে দেশের মানুষের জানমালের ক্ষতি করে দেশকে বিশ্ব দরবারে অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে প্রমাণ করে বিদেশের সহযোগিতায় কুপথে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়। সরকারকে শক্ত হাতে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল মানুষ সরকারের পক্ষে আছি। মুক্তিযোদ্ধা বৈদ্যনাথ দত্ত ঢাকা। মিথ্যাচারের রাজনীতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও তারা কিন্তু নির্বাচন ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে প্রায় ছয় হাজার ভোটকেন্দ্র তথা স্কুল মাদ্রাসা পুড়িয়ে দিয়েছিল। পোলিং প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করেছিল। তাছাড়া প্রায় ৭০০০ রাস্তার দুই ধারের গাছ কর্তন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তারপরও প্রায় ৪১% লোক ভোট দিয়েছিল, দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এখন ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবস হত্যা পালন করতে গিয়ে সারাদেশে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে। অনবরত আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। যা মানুষের কাম্য নয়। সবচেয়ে আশ্চর্য এবং হাস্যকর বিষয় হলো, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান অমিত শাহ টেলিফোনে খালেদার খোঁজখবর নেন বলে কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হলো। অথচ তাঁর পক্ষ থেকে কোন ফোন করা হয়নি। এটা দেশ ও জাতি এবং বিভিন্ন দলের জন্য লজ্জাজনক অধ্যায়ের সূচনা করল জাতীয়তাবাদী দল। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। আবাসিক এলাকায় স্কুল খিলগাঁও বিওসি ব্লক মূলত একটি পরিকল্পিত আবাসাকি এলাকা। এই এলাকার মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী এখানকার একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্কুল কলেজগুলো প্রতিষ্ঠিত করা আছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন অলিগলি, আনাচে-কানাচে ছোট ছোট দালান ভাড়ায় নিয়ে তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এবং পর্যায়ক্রমে আরও নতুন দালান/ভবন ভাড়ায় নিয়ে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে। মূলত রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য স্কুল পরিচালানা করা সম্পূর্ণ বে-আইনি। ঢাকায় অন্যান্য আবাসিক এলাকাগুলোতেও এ রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গুটিয়ে আনতে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে (২০১১ সালের রিট পিটিশন নং ১০৫৮)। আবাসিক এলাকায় স্কুল পরিচালনায় অনুমোদনহীন এসব স্কুল/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে খিলগাঁও এলাকাবাসী চরম অতিষ্ঠ ও তাদের দৈনন্দিন জীবন অত্যন্ত বিঘিœত এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণও সম্পূর্ণ নিরুপায় ও বঞ্চিত। আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্কুলের রাস্তাগুলো অলিগলি, নানারকম প্রাইভেটকার, জিপ, মোটরসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানে পরিপূর্ণ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মাইকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু সময় অন্তর স্কুলের আনুষ্ঠানিকতা ও কার্যকলাপ প্রচার হওয়ায় শব্দদূষণ তীব্রতর। এতসব অনিয়মের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কীভাবে এসব স্কুলগুলো বছরের পর বছর পরিচালিত হয়ে আসছে তা অতীব চিন্তার বিষয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। রোস্তম হাসান চৌধুরীপাড়া, ঢাকা। প্রয়োজন গণ সচেতনতা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত অনেক বরেণ্য নেতার কথা মনে পড়ে। তবে সব সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফল নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। কিন্তু যে মহান নেতা সারাজীবন জেল-জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে বাংলার মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং এতটুকু বিশ্রামের অবসর পাননি সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। ১০ বছরের শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়া হলো না। এরপর রাতের গ্যারান্টিযুক্ত সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জাতীয় ৪ নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো। তারপর একুশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। এই ২১ বছর সামরিক শাসকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পদদলিত করে পাকিস্তানী ভাবধারায় দেশ শাসন করতে থাকে এবং স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। শুধু তাই নয় জিয়া জেল থেকে বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেয় এবং বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রীর আসনে বসায়। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী কর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে জাতীয় পার্টিকে সারাদেশে কোথাও একটি জনসভায় দাঁড়াতে দেয়নি। এই কি গণতন্ত্রের নমুনা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে সরকার। প্রথম থেকেই বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে। এই অজুহাত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। নতুন মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন শুরু করে। মাত্র ৮ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এরই মধ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি ও জামায়াত জ্বালাও-পোড়া শুরু করেছে। কমল হায়দার মানিকগঞ্জ। কেন হত্যা করছেন? পেট্রোলবোমা হামলাকারী, আশা করি আপনারা ভাল নেই, থাকতে পারেন না, কারণ আমার মতো বিধাতা আপনাদের রক্তে মাংসে সৃষ্টি করেছেন, আমার মতো আপনাদের হৃদয়েও ভালবাসা আছে মায়া আছে, বাঙালী জাতির জন্য মানুষের জন্য, মা-বাবা ভাই-বোনের জন্য, অফুরন্ত মায়া মমতা হৃদয়ের টান ইত্যাদির কমতি নেই। প্রিয় বোমা হামলাকারী ভাই ও বন্ধুরা, প্লিজ আপনারা আল্লাহ প্রদেয় জ্ঞান বিসর্জন দেবেন না। কথায় বলে মানুষ মানুষের জন্য তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আপনারা কার জন্যে? আমি আপনাদের শুভবুদ্ধি কামনা করছি। নম্র-ভদ্র ভাষায় বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, মানুষ হত্যা করবেন না। একটা বার চোখ বন্ধ করে ভাবুন, যে গাড়িতে আপনি অন্যের প্ররোচনায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছেন, ঠিক সেই গাড়িতেই আপনার জন্মদাতা পিতা অথবা আপনার গর্ভধারিণী মা ছোট ভাই-বোন জীবনের তাগিদে হোক বা অতি জরুরী প্রয়োজনে হোক একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাচ্ছিল, আপনার হাতে নিক্ষিপ্ত পেট্রোলবোমায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর আপনার নাম ধরে ডাকছে বাবা ‘হৃদয়হীন’ তুমি কোথায় আমাকে বাঁচাও। প্লিজ একটু ঠা-া মাথায় ভেবে দেখুন। আমি অন্যদের মতো আপনাদের আঘাত করে অমানুষ কা-জ্ঞানহীন পশু কিংবা মানবতার শত্রু সন্ত্রাসী অথবা জঙ্গী বলব না, আমি আপনাদের বিনীত অনুরোধ করব, প্লিজ অন্যের দেয়া সামান্য অর্থলোভে কিংবা ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার প্রলোভনে এ ধরনের জঘন্য কাজে নিজকে ব্যবহার করবেন না, কারণ আপনি একজন আল্লাহর সৃষ্ট মানুষ। যারা আপনাকে ব্যবহার করছেন তারা একসময়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে আপনাকে চিনবে না। ‘শুকনো পুষ্প’ অথবা ‘ছেঁড়া পাদুকা’ ভেবে ছুড়ে ফেলবে ডাস্টবিনে বা নর্দমায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম আর ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। তাদের আজ আওয়ামী লীগ আর বিএনপি নয় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে, বাংলার দামাল ছেলেরা অক্লান্ত যুদ্ধ করে দেশকে করেছেন স্বাধীন। জাতি পেয়েছে বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসি বাংলা। আর মুক্তিযোদ্ধারা পেয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উপহার। কিন্তু আপনারা পাবেন কি? প্লিজ এই মুহূর্ত থেকে থেমে যান। পেট্রোলবোমাসহ সকল ঘৃণিত কাজকে না বলুন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোক। কাজী নুরুল আমিন কলেজ রোড, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। যানজট থেকেই যাবে বেশি দিনের কথা নয়, তখন দেশের মানুষ ১০-১২ মাইল রাস্তা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করত, কালের প্রবাহে সে জমানা পাল্টে গেছে। বর্তমানে মানুষ যানবাহন ছাড়া যাতায়াত করে না বলেই দেশব্যাপী সকল প্রকার যানবাহন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। দেশের শহর, বন্দর, জেলা, উপজেলা শহরগুলো এমন কী ইউনিয়ন পর্যায়ে যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। বাড়ি থেকে গন্তব্যে যেতে যেখানে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগত, সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অপ্রশস্ত রাস্তা, সড়কের উভয় পাশে দোকান পশারি, অবৈধ রিকশা, ছোট-বড় ট্যাক্সি, কার, অদক্ষ চালক, বাস, ট্রাক, লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন যানবাহন, ট্রাফিক আইন উপেক্ষা, জনগণের অসেচতনতা, যেখানে-সেখানে যানবাহনের পার্কিং, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা, ইত্যাদি কারণে জনগণ সেখানে গণ-যানজটের কবলে পরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দেশের সর্বত্র ট্রাফিক ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হলে জনগণ যানজটের মতো অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারে। কিনউত তা হবার স্ভবনা অতিক্ষীণ। মুর্শেদ উদ্দিন বাদশা মিয়া নন্দকুমার দত্ত রোড।
×