ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ১৩ মার্চ ২০১৫

খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে  স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত স্থানান্তর চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দায়ের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি না থাকায় খালেদার আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক। এই বেঞ্চের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান। তিনি বৃহস্পতিবার অন্য বেঞ্চে ছিলেন। পরে এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কনিষ্ঠ বিচারপতি না থাকায় বসন্তকালীন অবকাশ শেষে সুপ্রীমকোর্ট খোলার দিন শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়েছে।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ মামলা হাইকোর্টে শুনানির জন্য আসে। তবে এ আদালতে শুনানি চলতে পারে কি-না, সেই প্রশ্নে তা পিছিয়ে যায়। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। পরে ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হয়ে যায়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুই মামলার বিচার চলছে ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্মিত অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে আবু আহমেদ জমাদার এ মামলার বিচার কাজ করছেন। টানা কয়েকটি ধার্য দিনে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ আদালত খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগেও এ মামলায় বিচারক পরিবর্তনে একই ধরনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তবে ওই আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ওই বিচারক বদলি হয়ে যান। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ॥ ২০১১ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন উর রশীদ। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু হতেই পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। খালেদাসহ বাকি দুই আসামি জামিনে রয়েছেন। অরফানেজ ট্রাস্ট ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশী ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন উর রশীদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন ছিলেন, তবে বুধবার খালেদাসহ তাদের জামিনও বাতিল করে আদালত। বাকি দুইজন পলাতক।
×