ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু হাসান নিহত, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১৩ মার্চ ২০১৫

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু হাসান নিহত, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ কয়রা উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হাসান আলী সানা (৩০) নামের এক বনদস্যু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হংসরাজ চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত হাসান জলদস্যু রাঙ্গা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং কয়রা গ্রামের আব্দুল হালিম সানার ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের গাবুরা নামক এলাকা থেকে বনদস্যু রাঙ্গা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসান আলী সানাকে আটক করা হয়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে রাত ৪টার দিকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সুন্দরবনের হংসরাজ চর এলাকায় গেলে তার সহযোগী অস্ত্রধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বনদস্যু হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়। তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে হাসান আলী সানার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এএসআই মিঠুন কুমার দাশসহ পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী বন্দুক, ৩টি পাইপগান ও ১০ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হাসানের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় ৫টি ও দাকোপ থানায় ১টি মামলা রয়েছে। ফটিকছড়িতে গণপিটুনিতে ৩ ডাকাত নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি থেকে জানান, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ‘কারবালা টিলা’এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী ৩ ডাকাতকে ধরে ফেলে। পরে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ডাকাত সর্দার ওসমানসহ ৩ ডাকাত ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনস্থলে দ্রুত পৌঁছে নিহত ৩ ডাকাতকে উদ্ধার করে। পুলিশ নিহত ডাকাতদের সঙ্গে ২টি বন্দুক উদ্ধার করে। গ্রামবাসী ডাকাতদের ধরতে গেলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ২ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয় ৫জন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নিহত ওসমান আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার। তার নেতৃত্বে ঐদিন উত্তর পাইন্দং মাওলানা বজলুল করিমের বাড়িতে ডাকাতির করার মানসে ১০/১২ জন স্বশস্ত্র ডাকাত দল রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঝোপের ভিতর ওৎপেতে থাকে। স্থানীয় জনগণ ডাকাতদের তৎপরতা লক্ষ্য করার পর স্থানীয় মসজিদগুলোতে মাইকিং করলে গ্রামবাসী চতুর্দিক থেকে ছুটে আসে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থ’ল থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে কারবালটিলা এলাকায় ডাকাত সর্দার ওসমানসহ ৩ ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হয়।
×