ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার

হরতালে কক্সবাজারের শুঁটকি ব্যবসায় ক্ষতি ৭শ’ কোটি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১২ মার্চ ২০১৫

হরতালে কক্সবাজারের শুঁটকি ব্যবসায় ক্ষতি ৭শ’ কোটি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টানা অবরোধ-হরতালে দেশের সর্ববৃহত শুঁটকি মহাল শহরতলীর নাজিরারটেকসহ জেলার শুঁটকি বাণিজ্য কেন্দ্রে হাহাকার বিরাজ করছে। গত দুই মাসে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাতশ’ কোটি টাকা। সাগর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করে তারা শুঁটকি ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকে প্রতি বছর। শীতকালীন মৌসুমে প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কক্সবাজার থেকে ট্রাকভর্তি সরবরাহ করে থাকে শত শত টন শুঁটকি। এমনকি কক্সবাজারে উৎপাদিত উন্নত মানের শুঁটকি বিদেশেও রফতানি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি মৌসুমে অবরোধ-হরতালের কারণে সীমাহীন আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। বুকভরা আশা নিয়ে ব্যবসায় নেমে শুঁটকি বিকিকিনির বদলে অবরোধ-হরতালে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন সৈকত শহরের শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। অন্য বছরের মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুঁটকি সরবরাহ করতে না পারায় মহাজনের কাছ থেকে নেয়া অগ্রিম দ্বাদন টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা, খরচও এ পর্যন্ত উঠে আসেনি বলে জানিয়েছেন অনেকে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও টেনাফের প্রায় লক্ষাধিক শুঁটকি ব্যবসায়ী ও জেলে বর্তমানে বেকারত্ব অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সরবরাহ করতে না পারায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপন্ন লাখ লাখ টাকার শুঁটকি জায়গাতেই নষ্ট হয়ে গেছে। পর্যটন শহর ও সেন্টমার্টিনসহ জেলার পর্যটন স্পট ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে শুঁটকি মাছের পসরা সাজানো দুই শতাধিক দোকানে ক্রেতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছে। শুঁটকি কাজে সম্পৃক্ত অনেকে জানান, অবরোধ ও হরতালের কারণে চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলার শুঁটকি বিপণন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছ বিকিকিনি এবং প্রক্রিয়াজাত করতে না পেরে ওই কাজে জড়িত লক্ষাধিক লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি মহালে লক্ষাধিক নারী-পুরুষ মাছ বাছাই ও মাছ শুকানোর কাজে জড়িত রয়েছে। ওই ব্যবসার সঙ্গে এসব নারী-পুরুষের ভাগ্য জড়িয়ে থাকলেও হরতাল-অবরোধে তাদের কপাল পুড়েছে।
×