ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশাল সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক

মুন্সীগঞ্জে খাল ভরাট, পরিবেশ বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১১ মার্চ ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে খাল ভরাট,  পরিবেশ বিপর্যয়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ঐতিহ্যবাহী আড়িয়ল-টঙ্গীবাড়ি খালের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার রংমেহার অংশে অবৈধভাবে ভরাটের মহোৎসব চলছে। গুরুত্বপূর্ণ খালটির এই পয়েন্ট অধিকাংশ ভরাটে এলাকার চাষাবাদ এবং নৌ যোগাযোগ ব্যাহতসহ পরিবেশে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টঙ্গীবাড়ি-সাতুল্লাহ-হাসাইল সড়কের জনবহুল স্থানে এই অবৈধ ভরাট কাজ চললেও সংশ্লিষ্টরা রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। নয়ানন্দ গ্রামের প্রভাবশালী নিরু ভূইয়ার এই দখলকর্মে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। বাঁশের খুঁটিতে বাঁধ নির্মাণ করে মাটি কাটার মেশিন দিয়ে ভরাট কাজ চলছে রাতদিন। প্রতিবেশীর জমির পাশের ওপর দিয়ে সরকারী খালের আরেক অংশ থেকে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে প্রতিবেশীর জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই প্রতিবেশী প্রশাসনে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, টঙ্গীবাড়িসহ সারাদেশে বিশাল সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক রয়েছে নিরু ভূইয়ার। তার অন্যায় কাজের কেউ প্রতিবাদ করলে কিছুদিন পরই তার লাশ পাওয়া যায়। তাই আতঙ্ক কাজ করে। পর্দার আড়ালের খলনায়ক নিরু ভূইয়া প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের উপর মহলে সর্বদা তদবির করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়েছেন। সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবেও তার জুড়ি নেই। এক সময় জাতীয় পার্টির সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টি করলেও সুযোগ বুঝে ভোল পাল্টান। বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক ফায়দা লোটা ছাড়াও এই বিদ্রোহীর প্রার্থীর ক্যারিয়ারের সর্বনাশ করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেও নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। সরকারের উচ্চ মহলে এবং পুলিশে তার বিশেষ লোকজন রয়েছে দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা জানায়, নয়ানন্দ গ্রামে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করে জ্ঞানচর্চার বদলে সেখানে টর্সাল সেলে রূপান্তর করেছেন। অন্যায় রাজত্ব কায়েমে এলাকার মানুষের বিচারের নামে সেখানে প্রহসন এবং অন্যায় নির্যাচন চালানো হয়। বিচারের নামে মানুষের কাছ হতে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় ছাড়াও নির্বাচন এলেই তার উপার্জনের মৌসুম আসে। সরকারী খাল দখল করে তার অবৈধ প্রভাব ও প্রতিপত্তি আরেক ধাপ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমন হুঙ্কারই দিচ্ছেন এলাকায়। এই বিষয়ে তার সঙ্গে দফায় দাফায় চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন অবগত ছিল না। প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×