ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওরা মানুষ!

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১১ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য একটি ভিশনকে সামনে রেখে যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই ২০ দলীয় জোট নামক একটি জোট, যাদের মধ্যে মাত্র দুটি দল ছাড়া সারাদেশে অন্যদের কোন অস্তিত্বই নেই। অথচ আন্দোলনের নামে অবরোধ-হরতাল ডেকে রাজপথ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। সেখান থেকে দলের এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে বোমা ককটেল পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিচ্ছে। রেললাইন উপড়ে ফেলে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে, নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। ওরা মানুষ নামের জানোয়ার। বিশ্বে আল কায়েদা তালেবান বোকো হারাম উলফার মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কোনদিন পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারেনি। অথচ পাকিস্তানী হায়েনাদের এদেশীয় নরপিশাচরা তা করে বিশ্ববাসীর ঘৃণা কুড়াচ্ছে। দেশবাসীকে ওরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন গুনছে। তারপরও দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারী অমানুষের দল তাদের সমর্থন দিচ্ছে, উস্কানি দিচ্ছে। যা দেশের জন্য চরম ক্ষতি বয়ে আনছে। কারণ ইদানীং আইএস নামক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী মানুষ পুড়িয়ে মারার বাংলাদেশী সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। মুহম্মদ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। গ্যাসের ব্যবহার সার কারখানা থেকে প্রত্যাহারকৃত গ্যাস ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন ছোটখাটো মিলে উৎকোচের বিনিময়ে ব্যবহার হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে সার কারখানা চললে এখনও বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ টন সার উৎপাদন সম্ভব। ফলে উচ্চ দামে কষ্টার্জিত বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয়সহ সার আমদানির ওপর সরকারের চাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। বর্তমানে দেশে প্রতিটন ইউরিয়া ১৪০০০ টাকা হলেও বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে নিম্নমানের লাখ লাখ টন সার। যার মূল্য সরকারকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪০,০০০ টাকা টনে। অধিক টাকা খরচ ছাড়াও নিম্নমানের জন্য মাটির উর্বরতা নষ্ট ছাড়াও সবচেয়ে বড় কথা হলো কৃষক বিদেশী সার ব্যবহারে অনাগ্রহী। বর্তমানে বিভিন্ন কারখানা থেকে ২ বস্তা দেশী সার ১ বস্তা বিদেশী সার মিলিয়ে জোর করে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সরবরাহ খরচ বেড়ে কারখানাগুলো লোকসানে যাচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার দরুন সার কারখানার কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কারখানা স্থায়ীভাবে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। যন্ত্রপাতি আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। গ্যাসের অপ্রতুলতার কথা বলা হলেও আশুগঞ্জ সার কারখানায় ব্যবহারিত গ্যাসÑ তিতাস/বাখরাবাদ গ্যাসের সংযোগের কূপের অতি বলে কূপের নিজস্ব চাপের স্বাগতিক সুবিধা এ কারখানা পেয়ে থাকে। তাই আশুগঞ্জ সার কারখানা ১০০% লোডে চলা থাকা অবস্থায় পিডিবিসহ আশুগঞ্জের বিদ্যুত কারখানাগুলোর উৎপাদনে গ্যাসের কোনরূপ কমতি হয় না। এমনকি আউট লেটেও গ্যাস চাপের তারতম্য ঘটে না। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতি ও সারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আশুগঞ্জসহ সকল সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রেখে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সাইফুদ্দিন ফারুকী আশুগঞ্জ সার কারখানা।
×