ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাধান্য

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৯ মার্চ ২০১৫

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাধান্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতন চলছেই। গত সপ্তাহের টানা পাঁচ কার্যদিবসে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনের কারণে সূচক কমার পর রবিবারেও প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে একই প্রবণতা দেখা গেছে। সেখানে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়লেও সূচকের পতন ঠেকাতে যা যথেষ্ট ছিল না। কারণ বেশিরভাগ মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির দর কমার কারণেই সূচকের এ পতন ঘটেছে। দীর্ঘদিন পরে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির দর বাড়ার কারণে অনেকেই পুরাতন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে নতুন কোম্পানির শেয়ার কিনছেন। কিন্তু ওইসব নতুন কোম্পানি সূচকে অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই সূচক বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বস্ত্র খাতের নতুন কোম্পানি শাশা ডেনিমসের বিনিয়োগকারীদের আশাহতের দিনের শুরু থেকেই সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সারাদিনই সূচকের নেতিবাচক প্রবণতার পরে দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স বা সার্বিক সূচকের পতন হয়েছে ৩৯.৯৪ পয়েন্ট। পতন শেষে সার্বিক সূচকটি সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬২৪.৯৪ পয়েন্টে। একইভাবে সেখানকার শরীয়াহ ও বাছাই সূচকটির পতন ঘটেছে। রবিবারে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে। সেখানে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির দর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইফাদ অটোসের। আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। এদিকে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৭ কোটি টাকা কমে দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। বোনাস শেয়ার বিও হিসেবে জমা হওয়ার পরে আবারও লেনদেনের শীর্ষস্থানে ফিরে এসেছে শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি। লেনদেনে শীর্ষে থাকা শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার। ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস। তৃতীয় স্থানে থাকা শাশা ডেনিমসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার টাকার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে লাফার্জ সুরমা, এসএ পোর্ট, আইডএলসি, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সাইফ পাওয়ারটেক, ন্যাশনাল পলিমার ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ইফাদ অটোস, শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ন্যাশনাল পলিমার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সাইফ পাওয়ার টেক, ১ম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ও সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ফারইস্ট ফাইনান্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সোনালি আঁশ, মেঘনা পেট, ন্যাশনাল টিউবস, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও গ্রীন ডেলটা। এদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেখানেও ঢাকার মতো নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির চাহিদা দেখা গেছে। ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির দর হারানোর কারণ দিনশেষে সিএসইএক্স সূচকের কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬১৭.৪১ পয়েন্টে। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ শাশা ডেনিমস, শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো, মবিল যমুনা বিডিম, সাইফ পাওয়ার ও সিঙ্গার বিডি।
×