ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক আইনে জঙ্গীদের যেভাবে বিচার হয় বাংলাদেশে একইভাবে হবে ;###;খালেদা হুকুমের আসামি তাই খুনের আসামির মতো তাঁর বিচার হবে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ॥ খালেদা খুনের আসামি

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৮ মার্চ ২০১৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ॥ খালেদা খুনের আসামি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী নেত্রী অভিহিত করে তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে বিশ্বাসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আদালতে না গিয়ে মানুষ মারবেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। জঙ্গী নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সারা বাংলার মানুষ আজ জেগে উঠেছে। জঙ্গী নেত্রীর স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে। বিএনপি নেত্রী শুধু দুর্নীতির মামলার আসামি নন, বহু মানুষ খুনের হুকুমের আসামি। তাই একজন খুনীর যেভাবে বিচার হয়, তাঁরও সেভাবে বিচার হবে। আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের বিচার হবে, বাংলাদেশের মাটিতেও সেভাবেই হবে। অনেক ধৈর্য ধরেছি। সন্ত্রাস-নাশকতা ও জঙ্গীবাদী তৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই কোন ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আপনার পাশে কেউ-ই নেই। আপনি ভেবেছিলেন গুটিকয়েক সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, আর কেউ এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাবে! কিন্তু আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে আসেনি। আবার ভেবেছিলেন আন্তর্জাতিক নেতারাও আপনার পাশে এসে দাঁড়াবেন। কিন্তু উল্টো তাঁরা স্পষ্টভাবে আপনাকে বলেছেন, এসব সন্ত্রাস-নাশকতা ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। তাই গুটিকয়েক সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের নিয়ে আপনার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত আর হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল এ জনসভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মাহবুবউল আলম হানিফ, এম এ আজিজ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রমিক লীগের ফজলুল হক মন্টু, যুবলীগের হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, মহিলা আওয়ামী লীগের আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের অধ্যাপিকা অপু উকিল, ছাত্রলীগের এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিল। বিএনপি-জামায়াতের একটানা অবরোধ-হরতালের নামে নাশকতা-সহিংসতা উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শো-ডাউন করে। দুপুর তিনটায় জনসভা শুরুর সময় নির্ধারণ করা থাকলেও বেলা ১২টা থেকেই মানুষের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগেই পুরো জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাদ্য বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে, রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন, ডিজিটাল ব্যানার নিয়ে যেন মিছিলের স্রোত নামে জনসভাস্থলকে কেন্দ্র করে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের বিশাল বিশাল মিছিল সবার নজর কাড়ে। এছাড়া আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ছাপও ছিল স্পষ্ট আওয়ামী লীগের এ জনসভাকে কেন্দ্র করে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে দলের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে যোগ দেন এ জনসভায়। মেয়র প্রার্থীদের মিছিলও ছিল বর্ণাঢ্য। শুধু মিছিলই নয়, অসংখ্য ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বর্জ্রকঠিন ভাষণ বাজিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। তবে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি ও অজস্র মিছিলের স্রোতের কারণে হাজার হাজার মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে না পেরে হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিতে দেখা যায়। এছাড়া আগের মতো পুরো এলাকায় মাইক না থাকায় অসংখ্য মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন-অবরোধের নামে নির্বিচারে বিএনপি-জামায়াত জোটের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি নেত্রী মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। মনে করছেন মানুষ খুন করলেই তাঁর বিজয় হবে! কিন্তু উনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। জঙ্গী নেত্রী খালেদা জিয়ার নাশকতা-সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর হরতাল-অবরোধ দেশের কেউ মানে না। একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর, দালাল ও ইয়াহিয়ার চামচারাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতেও বিএনপি নেত্রী দেড় শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছেন শত শত কোরআন শরিফ পুড়িয়েছেন, জাতীয় মসজিদে পর্যন্ত আগুন দিয়েছেন। সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদী কর্মকা- ঘটিয়েও উনি নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর একটি বছর দেশের মানুষ শান্তি, স্বস্তিতে ছিল। দেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। তখনই আবার উনি (খালেদা জিয়া) পুরনো খেলা শুরু করেছেন। দেশের মানুষের শান্তি দেখে অশান্তির আগুনে জ্বলে উঠেছেন বিএনপি নেত্রী। নিজের অশান্তির আগুনে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাড়ি ছেড়ে অফিসে বসে উনি কী বিপ্লব করছেন? বাড়ি ছেড়ে অফিসে বসার রহস্য কী তা আমরা জানি না। কিন্তু ওই অফিসে বসে টেলিফোন করে করে নাশকতা-সহিংসতা ও মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। নিজে দুর্নীতি করেছেন জেনেই শাস্তি এড়াতে খালেদা জিয়া আদালতে যাচ্ছেন না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া অরফানেজের নামে এতিমের নামে আসা অর্থ উনি (খালেদা জিয়া) মেরে খেয়েছেন। আর এই মামলা আমরা দেইনি। তাঁর প্রিয় মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরাই দিয়ে গেছেন। যাদের বিএনপি বড় পদে বসিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, এই মামলার ৬৭টি তারিখের মধ্যে বিএনপি নেত্রী মাত্র ৭ দিন আদালতে গিয়েছিলেন। শেষবার লাঠিসোটা নিয়ে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে আদালতে গিয়ে বিচারকদের ভয় দেখাতে গিয়েছিলেন, যাতে বিচার তাঁরা না করেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনার যদি সততা-বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস থাকে যে আপনি দুর্নীতি করেননি, তবে আদালতে গিয়ে মামলা মোকাবেলা করতে এত ভয় পান কেন? সৎসাহস থাকলে মামলা মোকাবেলা করুন। আসলে বিএনপি নেত্রী ভাল করেই জানেন যে তিনি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, আদালতে বিচার হলে তাঁর শাস্তি হতে পারে। এজন্যই উনি আদালতে যান না। প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের নামে নিজের কার্যালয়ে নিজেকে অন্তরীণ রেখে উনি (খালেদা জিয়া) মানুষ হত্যা করিয়ে যাচ্ছেন। ফোনে মানুষ মারার নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতি করে আদালতে যাবেন না, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন- আমরা তা মুখ বুঝে সহ্য করব না। অফিসে বসে হুকুম দিয়ে মানুষ মারবেন সেটা বরদাস্ত করা হবে না। যারা বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করছে- তাদের দেশবাসী চেনে। কাউকেই ছাড়া হবে না। আর যারা এদের নিরাপত্তা ও সমর্থন দেবে তারাও সমান অপরাধে অপরাধী। তারাও কেউ পার পাবেন না। এ প্রসঙ্গে দেশের কিছু সুশীল সমাজের কর্মকা-ের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণীর লোক আছে তারা বিএনপি যতই অপরাধ করুক তাদের চোখে পড়ে না। বিএনপি-জামায়াত নির্বিচারে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে, এটাও তারা নাকি দেখেন না! তিনি বলেন, এরা তো শিক্ষিত লোক, এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও রয়েছেন। তাদের কী কিছুই চোখে পড়ে না। কে মানুষ মারছে তারা না কি জানেন না! আসলে কেউ চোখ থাকতেও অন্ধ হলে তাদের দেখাবে কে? তিনি বলেন, মিথ্যাচার ও ভাওতাবাজি বিএনপির জন্মগত অভ্যাস। এ প্রসঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি প্রধানের সঙ্গে মিথ্যা টেলিফোনালাপ এবং ৭ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিবৃতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শুধু দেশেই নয়, বিদেশীদের নিয়েও মিথ্যাচার ও ভাওতাবাজি করছেন বিএনপি নেত্রী। আর তার ভাওতাবাজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাচ্ছেন দেশের একশ্রেণীর আঁতেল শ্রেণী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করে বিএনপি নেত্রী এতই পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক এফবিআই এজেন্টকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিয়ে জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র করেছিল। এ ঘটনায় জড়িত এক বিএনপি নেতার পুত্র ধরা পড়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তার শাস্তি হয়েছে। আদালতে সে স্বীকার করেছে বিএনপি নেতাদের নির্দেশেই এই ষড়যন্ত্র করেছিল। শুধু এ ঘটনাই কেন, ক্ষমতায় থাকতেও বিএনপি নেত্রী ও তার পুত্র ২১ আগস্ট আমাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, কী অপরাধ এ দেশের মানুষের? কেন তাদের পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে? কার স্বার্থে বিএনপি নেত্রী এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন? নির্বাচনে না এসে বিএনপি নেত্রী মহাভুল করেছে। সেই ভুলের খেসারত কেন দেশের মানুষকে দিতে হবে? তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, শুধু দুর্নীতি নয়, পুড়িয়ে মানুষ হত্যার জন্য হুকুমের আসামি হিসেবে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও হয়েছে। একজন খুনীর যেমন বিচার হয়, তারও একদিন বিচার করা হবে। এত মানুষ হত্যার শাস্তি বিএনপি নেত্রীকে পেতেই হবে। বাংলাদেশে কোন জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের স্থান নেই। আন্তর্জাতিকভাবে জঙ্গীদের যেভাবে বিচার হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে বিচার করা হবে। বিএনপি নেত্রী সন্ত্রাসী-জঙ্গী ও পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মেরে দেশের মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবেন না। দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। সব অপকর্মের জন্য বিএনপি নেত্রীকে শাস্তি পেতেই হবে। আমির হোসেন আমু দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। উনি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও ধ্বংস করে দিতে চাইছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সন্ত্রাস-নাশকতা ও জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে একাত্তরে মতোই দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতেই খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করছেন, মানুষকে হত্যা করছেন। উনি অনেকবারই শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছেন, এবারও হবেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিদেশী কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কার সঙ্গে সংলাপ করতে বলেন? আপনারা কী কখনও আল-কায়েদা, তালেবান ও আইএস জঙ্গীদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন? তবে কেন আপনারা বাংলাদেশের জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন? এ দ্বৈতনীতি সবাইকেই পরিহার করতে হবে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, পাক সখী খালেদা জিয়া নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা চালিয়েই যাচ্ছেন। আইএসআইয়ের এজেন্ট হয়ে আপনি বাংলাদেশকে খতম করতে চান, কিন্তু পারবেন না। দানবরা চিরকালই পরাজিত হয়েছে, মানবেরই বিজয় হয়েছে। দানবরূপী খালেদা জিয়াকে দেশের মানুষই আবারও আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গী-খুনী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সালের একদিন আগেও নির্বাচন হবে না। খুনী ও হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন সংলাপও হতে পারে না। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, একাত্তরে মতোই বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করতে খালেদা জিয়া গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ হত্যার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার হবে, দেশের জনগণ তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেবে। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতেই হবে। খালেদা জিয়া ও তার দোসর একাত্তরে ঘাতকদের চিরতরে উৎখাত করতে হবে। এ জন্য সব নেতাকর্মীকে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
×