ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ মার্চ ২০১৫

সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ॥ মুহিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ৬ মার্চ ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সংলাপের এখন কোন বিষয়বস্তু নেই। সংলাপ হয় যখন কোন একটা বিষয়বস্তু থাকে। বেগম জিয়া বোকামি করেছেন। সে সময় সুযোগ যেটা ছিল, সেটা হারিয়েছেন। সুযোগ হারানোর ফলে নিজেই চুপ করে ছিলেন। এখন তাকে কিছু একটা বের করতে হয়েছে। তাই তিনি সংলাপের কথা বলছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কিসের বিষয়ে সংলাপ? নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে? নির্বাচন তো হয়েছে। সংলাপের আর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের উপশহর বাংলাবাজারে ‘স্বাধীনতা জাদুঘর’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ভোলা সরকারী ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ভোলা শহর থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। শহর থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বিভিন্নস্থানে ঢাকঢোল বাজিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগের উন্নয়ন হলেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যতা নিরসন, সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কাজ জনগণের স্বার্থ তুলে ধরা। এ এলাকার সেই কাজ ৫৭ বছর ধরে করছেন তোফায়েল আহমেদ। ভোলার উন্নয়নে কোন অসুবিধা হবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের দিক থেকে অচিরেই ভোলা হবে দেশের উজ্জ্বলতম জেলা। এখানে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস হচ্ছে ভোলার উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। গ্যাসের কারণে ভোলার উন্নয়ন হবে সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলেও কিছু লোক অসুবিধা সৃষ্টি করছে। তারা গুম, হত্যা, সন্ত্রাস করে অর্থনীতির বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যারা দেশের ভাল চায়, তাদের এ থেকে দূরে সরে আসা উচিত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় খালেদা জিয়া। দেশে হরতাল, অবরোধ দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সারাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ভোলায় সত্বরই ২২৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুত কেন্দ্র চালু হবে এবং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ২২৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুত কেন্দ্র। নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে বেশ কিছু প্রকল্প ও নেদারল্যান্ড সরকারের প্রকল্প রয়েছে। ভেলুমিয়া ব্রিজ হলেই ভোলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। ভোলা জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবুল, আব্দুল লতিব এমপি, বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোকাম্মেল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাঈনুল ইসলাম বিপ্লব। অনুষ্ঠান উপস্থপনা করেন বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের প্রভাষক অমিতাব অপু ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদুল আলম। অপরদিকে দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান বিভিন্ন কাজ ও শাহবাজপুর রক্ষা প্রকল্পের পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আলী আজম মুকুল এমপি, পানিসম্পদ সচিব, বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহব্বত জান চৌধুরী, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম খান প্রমুখ। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রী ভোলার নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।
×