ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছয় বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ আইএমএফের

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৫ মার্চ ২০১৫

ছয় বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ আইএমএফের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ছয় বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এগুলো হলো- গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো খাত, প্রয়োজনীয় জমির প্রাপ্যতা, আর্থিক খাতে ঝুঁকি মোকাবেলা ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুতসংক্রান্ত কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবেলা করা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ এমডিজি পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা কিভাবে মোকাবেলা করবে তার ওপরই নির্ভর করছে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে এসব পরামর্শ দেয়া হয়। বৈঠকে আইএমএফের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ডেপুটি ডিভিশন চীফ রোড্রিগো কুবিরো উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম, হুমায়ুন খালিদ, বিআইডিএসএর মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল মুজেরি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী ৫ বছরে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করবে সরকার। তাছাড়া আমরা ঢাকাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে ঢাকার মতো শহর হবে বগুড়ায়, রংপুরে, কুমিল্লায়,গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হবে। তখন আমাদের বিনিয়োগ নিয়ে কোন সমস্যা থাকবে না। দেশী-বিদেশী উভয় বিনিয়োগই বাড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে আইএমএফের কোন মাথাব্যথা নেই। তারা বিশ্বাস করে আমাদের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি। বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে চলমান রাজনীতি নিয়ে একটি সিঙ্গেল ওয়ার্ড আলোচনা হয়নি। সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিবৃন্দ বৈঠকে বলেন, নানা বাধাবিঘœ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছয়টি বিষয়ে সার্বিক সফলতাকে আরও বাড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি, তাহলেই বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেড়ে যাবে। বিশেষ করে জমির প্রাপ্যতা বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে অন্যতম প্রধান বাধা। আমরা এটা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অবকাঠামো খাতে যেভাবে এগোচ্ছে, তা অচিরেই শিল্প বিনিয়োগকে আকর্ষণ করবে। তবে ভূমির প্রাপ্যতার বিষয়টিসহ আর্থিক খাতে সংস্কার সরকারকে প্রাধান্য দিয়ে দেখতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের শেষদিকে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রসহ সরকার যে সব বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফাস্ট ট্রাকভুক্ত এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেড় থেকে ২ শতাংশ বাড়বে। তিনি জানান, এডিপির বাস্তবায়ন গত অর্থবছরের ৮ মাসে যা হয়েছিল চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে তার চেয়ে বেশি হবে।
×