ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জগন্নাথে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া

প্রকাশিত: ০৮:২১, ৪ মার্চ ২০১৫

জগন্নাথে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া

জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে (জবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়াÑপাল্টাধাওয়ার ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ধাওয়া দেয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান, জহির রায়হান আগুন (সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বহিষ্কৃত) পরিচালিত গ্রুপটি ছাত্রলীগ নামধারী শতাধিক বহিরাগতদের নিয়ে চাপাতি, রড, হকিস্টিক, ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিদ হয়ে অপর গ্রুপের কর্মীদের ক্যাম্পাসে ধাওয়া দেয়। এ সময় ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীরা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে স্লোগানও দেয়। এক গ্রুপের কর্মীরা অপর গ্রুপের অস্ত্রের মুখে টিকতে না পেরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করলে কোতোয়ালী জোন, ওয়ারী জোন, সূত্রাপুর থানা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতায় শতাধিক স্টাম্প, রড ও কয়েকটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আহাদুজ্জামান, প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদসহ প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যরা ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জরুরী সভায় বসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তাছাড়া ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গত সোমবার গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক ছাত্রলীগ গ্রুপের কর্মী ইমরান বিশ্বাসকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ ময়মনসিংহ আঞ্চলিক গ্রুমের কর্মী পিয়াস ও তার সহপাঠীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে দুই দিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল।
×