ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাছ রফতানিতে বাড়তি সহায়তা চায় বিএফএফইএ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৪ মার্চ ২০১৫

মাছ রফতানিতে বাড়তি সহায়তা চায় বিএফএফইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ ও হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানিতে নগদ সহায়তা বাড়ানোসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)। মঙ্গলবার দুপুরে বিএফএফইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এসএম আমজাদ হোসেন এসব দাবি জানান। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সহিংস কর্মসূচী, আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো ও রাশিয়ার মুদ্রা রুবেল’র দরপতনের কারণে আটকে আছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার পণ্য। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছে দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লোকসানের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে রফতানিকারকগণ। ফলে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মজুদকৃত পণ্য কমমূল্যে রফতানি করায় মারাত্মক লোকসান ও তারল্য সঙ্কটে পড়েছে বলে দাবি করেন এসএম আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিগত তিন মাসে ডলারের বিপরীতে রুবলের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সর্বশেষ মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী ডলারের বিপরীতে গত ছয় মাসে রুবলের দরপতন হয়েছে ৬৭ শতাংশ। এ সময়ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার ধরে রাখতে কম দামে চিংড়ি রফতানি করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে করে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ কম মূল্যে আমাদের রফতানি করতে হয়েছে। অন্যদিকে একই কারণে রাশিয়াতে রফতানি বন্ধ হয়ে আছে। বিএফএফইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, টানা অবরোধ ও হরতালে তাদের রফতানির সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে পড়েছে। এ কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত চিংড়ি ও মাছ সরবরাহে প্রকট সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কাঁচামালের সঙ্কটের কারণে কারখানাগুলোর উৎপাদন প্রায় বন্ধ এবং শ্রমিকদের কর্মহীন অবস্থায় মজুরি দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাংক ঋণের বোঝা, সুদ, বিদ্যুত বিলসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যক ওভার হেড খরচ নির্বাহ করতে গিয়ে রফতানিকারকগণ হিমশিম খাচ্ছেন।
×